ঠিক এই প্রশ্নটাই আমরা করেছিলাম আমাদের ফেসবুক পাতায়, এবং টুইটারে৷ মতামত জানিয়েছেন অনেকে৷ তাদের মতামতের মধ্যে আপনার ইচ্ছারও প্রতিফলন থাকতে পারে৷
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে৷ এবার দলীয়ভাবে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন মন্ত্রিসভা, যা দেশটির অন্যতম বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি'র জন্য বেকায়দার হয়ে যাচ্ছে৷ কেননা, দলটি সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয়নি তাদের দাবি পূরণ না হওয়ায়৷ তবে স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে তাদের সমর্থকদের অংশ নিতে দেখা গেছে৷
এবার পরিস্থিতি ভিন্ন৷ এই ভিন্ন পরিস্থিতিকে ডয়চে ভেলের পাঠকরা কিভাবে দেখছেন? সেটা জানতেই ফেসবুকে প্রশ্ন করা হয়, দলভিত্তিক স্থানীয় সরকার নির্বাচনে কি বিএনপির অংশ নেয়া উচিত? মো. আজাদ হোসেন মনে করেন, বিএনপি যদি নির্বাচনে অংশ নেয় তাহলে ‘‘দেশের মানুষ তাদের সবপ্রার্থীকে'' জিতিয়ে আনবে৷ তবে তিনি গ্যারান্টি দিয়ে বলছেন, ‘‘দলীয় ব্যানারে নির্বাচন হলে একদম পিছনের ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং উপজেলা নির্বাচনের মতোই হবে৷ সকাল ৯ টার আগে সকল কেন্দ্র আওয়ামী লীগ এবং পুলিশ লীগ আর নির্বাচন কমিশন লীগ ভোটের কার্যক্রম সেরে ফেলবে৷''
ভোটকেন্দ্রে হামলা, ভাঙচুরের ছবি
দশম জাতীয় নির্বাচনের ভোট গ্রহণের সময় ব্যাপক সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে৷ পাঁচ জানুয়ারি বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে হামলা, ভাঙচুর এবং জনপ্রতিক্রিয়ার কিছু ছবি পেয়েছে ডয়চে ভেলে৷ পাঠকের জন্য গ্যালারি আকারে সেসব ছবি প্রকাশ করা হলো৷
ছবি: STRINGER/AFP/Getty Images
আওয়ামী লীগ সমর্থকদের মারধর
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের দিন রাজশাহীর বাগমারায় নির্বাচনকেন্দ্রিক সংঘর্ষ চলাকালে আওয়ামী লীগ সমর্থকদের পেটায় বিএনপি সমর্থকরা৷ পাঁচ জানুয়ারি ভোট গ্রহণের সময় বিরোধী দলের সঙ্গে ক্ষমতাসীন দল এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন বেশ কয়েকজন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
সংঘর্ষে আহতকে সহায়তা
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় নির্বাচন চলাকালে সংঘর্ষে আহত এক ব্যক্তিকে সহায়তা করছেন অন্যরা৷ নির্বাচন চলাকালে একশো’র বেশি ভোটকেন্দ্রে হামলা চালায় নির্বাচন বিরোধীরা৷ সহিংসতা এবং ভোটকেন্দ্র পুড়িয়ে দেয়ার কারণে ১৩৯টি ভোটকেন্দ্রের নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo
আগুনে পোড়া ভোট কেন্দ্র
নির্বাচনের দিন চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার আজিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্র পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা৷
ছবি: DW
পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ
গাইবান্ধায় ভোট গ্রহণ চলাকালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় স্লোগান দিচ্ছে নির্বাচন বর্জন করা বিরোধী দলের সমর্থকরা৷ বিরোধী দলবিহীন রবিবারের নির্বাচনে ভোটারের উপস্থিতি কম ছিল৷ তাছাড়া এই নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে ইতোমধ্যে দেশি-বিদেশি মহলে প্রশ্ন উঠেছে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কমনওয়েলথ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচন পর্যবেক্ষণ থেকে বিরত থেকেছে৷
ছবি: Reuters
আহতকে সেবা
গাইবান্ধায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত এক ব্যক্তিকে ঘিরে রেখেছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা৷ রবিবারের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার পর বিরোধী দল বিএনপি ‘‘নির্বাচনের ফলাফল বাতিল ও ভোটের দিন সারা দেশে নেতা-কর্মীদের হত্যার প্রতিবাদে’’ সোমবার সকাল ছ’টা থেকে ৪৮ ঘণ্টার হরতাল আহ্বান করেছে৷
ছবি: Reuters
ভোটকেন্দ্রে হামলা
বগুড়ার একটি ভোটকেন্দ্রে হামলা চালায় নির্বাচন বিরোধীরা৷ এসময় তারা ভোটকেন্দ্রে রাখা ব্যালট বাক্স ভাঙচুর করে এবং তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়৷ প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মস্থান বগুড়া৷
ছবি: STRINGER/AFP/Getty Images
ভোটকেন্দ্রের সামনে আগুন
বগুড়ার একটি ভোটকেন্দ্রের সামনে নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন দ্রব্যে আগুন ধরিয়ে দেয় নির্বাচন বিরোধীরা৷
ছবি: STRINGER/AFP/Getty Images
লাঠিসোঁটা নিয়ে উচ্ছ্বাস
বগুড়ার একটি ভোটকেন্দ্রে নির্বাচন বিরোধীরা হামলা চালানোর পর লাঠিসোঁটা নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা৷ ঐতিহাসিকভাবে বগুড়া বিএনপির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত৷
ছবি: STRINGER/AFP/Getty Images
সন্দেহভাজনকে আটক
বগুড়ায় একটি ভোটকেন্দ্রে হামলায় সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে আটক করছে পুলিশ৷ নির্বাচন চলাকালে অনেক ভোটকেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে নির্বাচন বিরোধীরা৷ এসময় হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে৷
ছবি: STRINGER/AFP/Getty Images
বাদ যায়নি বাড়িও
বগুড়ার এক আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে হামলা চালায় নির্বাচন বিরোধীরা৷ হামলার পর আগুনে পোড়া অবশিষ্টের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু পাওয়া যায় কিনা, তা খুঁজে দেখছেন সেই নেতার এক আত্মীয়া৷
ছবি: STRINGER/AFP/Getty Images
টায়ার জ্বেলে অবরোধ সৃষ্টি
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন নারায়ণগঞ্জে সড়কে টায়ার জ্বেলে অবরোধ সৃষ্টি করে জামায়াত-শিবির কর্মীরা৷
ছবি: DW
আহত ভোটার
ঢাকায় বিরোধী দলের সমর্থকদের ছোড়া হাতে তৈরি বোমার আঘাতে আহত এক ভোটার৷ ভোট গ্রহণ চলাকালে নির্বাচন বিরোধীরা বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ভোটকেন্দ্রে বোমা ফাটিয়েছে৷
ছবি: STRINGER/AFP/Getty Images
12 ছবি1 | 12
আমাদের পাঠক মুজতবা আলীও একইরকম প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘অংশ নিয়েই কি হবে? ভোটাভুটি তো আগের রাতেই শেষ হয়ে যায়৷'' আর মো. অনিক হোসেনের মতে, ‘‘বিএনপি অংশ না নিলে চরম ভুল করবে৷'' ইমনের বক্তব্য অবশ্য উল্টো৷ তিনি মনে করেন, ‘‘শতভাগ বিএনপি নির্বাচনে যাবে, একই ভুল বিএনপি করবে৷''
ডয়চে ভেলের পাঠক জাকির মোল্লা চান শান্তিপূর্ণ পরিবেশে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনে যেখানে তারা নিশ্চিন্তে ভোট দিতে পারবেন৷ সেলিম মিয়ার বক্তব্য হচ্ছে, ‘‘বিএনপি দল হিসেবে এতে অংশগ্রহণ করবে কি না সে প্রশ্নটির আগে বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে স্থানীয় নির্বাচন দলীয় ভিত্তিক হওয়াটা কতটা যৌক্তিক! অধিকতর সংঘর্ষ এড়াতে এবং এখনকার অবস্থা বিবেচনা করলে বিদ্যমান এবং সর্বজনগৃহীত ব্যবস্থাটি রাখাই শ্রেয় বলে আমি মনে করি৷''
বিএনপির কি স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নেয়া উচিত? মতামত জানান নীচে মন্তব্যের ঘরে...