1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিএনপির নির্বাচন দাবি ও অপরাধতত্ত্ব

৬ মে ২০২৫

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির নেতারা অভিযোগ করছেন, ডিসেম্বরের মধ্যে তাদের নির্বাচনের দাবিকে সুকৌশলে অপরাধের মতো করে তুলে ধরা হচ্ছে।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন বিএনপি-র কর্মীরা।
ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায় বিএনপি। ছবি: Munir Uz Zaman/AFP

শুক্রবার আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)-র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রধান অতিথি হিসাবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, "আমরা খেয়াল করছি, গত কিছুদিন ধরে অত্যন্ত সুকৌশলে এমন একটি আবহাওয়া তৈরি করা হচ্ছে, যেখানে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি করাটাই যেন একটা অপরাধ।''

বিএনপির কয়েকজন নেতা মনে করেন, নির্বাচন নিয়ে এখন নানা ধরনের তৎপরতা চলছে। ডিসেম্বরে যাতে নির্বাচন না হয় তার জন্য একটি পক্ষ দাঁড়িয়ে গেছে। তাদের সঙ্গে সরকারের কথার মিল পাওয়া যায়। তারা এমনও বলছেন যে, বিএনপিও দ্রুত নির্বাচন চায়, ভারতও দ্রুত নির্বাচন চায়। এটা দিয়ে একটি সমীকরণ তৈরি করা হচ্ছে। আবার বিএনপিকে সংস্কারবিরোধী ট্যাগ লাগিয়েও একটি বয়ান তৈরির চেষ্টা চলছে।

‘কোনো ‘মহামানব’ তৈরির জন্য মানুষ জীবন দেয়নি’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, "অতীতেও অনেক মহামানব তৈরি করা হয়েছে, যার ফলাফল কী হয়েছে, সেটা দেশের মানুষ দেখতে পেয়েছে। এখানে ব্যক্তিবিশেষের বিষয় নয়, কোনো ‘মহামানব' তৈরির জন্য মানুষ জীবন দেয়নি, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য জীবন দিয়েছে।”

তিনি ডয়চে ভেলেকে বলেন, "তারেক রহমান যা বলেছেন, তার তো কারণ আছে। একটি অনির্বাচিত সরকারকে দীর্ঘায়িত করার চেষ্টা চলছে। এতে কারো কারো লাভ আছে। এখন দরকার নির্বাচন। আমরা তো যেসব সংস্কারের বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে, সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য বলছি। কিন্তু নতুন নতুন ইস্যু তৈরি করে নির্বাচনকে দীর্ঘায়িত করার চেষ্টা দেখছি। আমরা নির্বাচনের কথা বললেই অমাদের সংস্কারবিরোধী বলে অভিহিত করা হচ্ছে।”

নির্বাচনের কথা বললেই নানা ধরনের অপবাদ দেয়া হয়: এমরান সালেহ

This browser does not support the audio element.

বিএনপির একাধিক নেতা ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, কেউ কেউ বলছেন  বিএনপিকে ক্ষমতায় পাঠানোর জন্য অভ্যুত্থান হয়নি। নির্বাচন করা নাকি এই সরকারের  প্রধান কাজ নয়। বিএনপিকে ইঙ্গিত করে বলা হয়, একটি দল এখন ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য পাগল হয়ে গেছে। এর মধ্য দিয়ে বিএনপিকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। সরকারের কিছু উপদেষ্টা ছাড়া বিভিন্ন গোষ্ঠী ও কিছু রাজনৈতিক দল এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, "প্রফেসর ইউনূসের ওপর আমাদের এখনো আস্থা আছে। আমি মনে করি, তার পক্ষে একটি সর্বোত্তম নির্বাচন দেয়া সম্ভব। কিন্তু তার উপদেষ্টা পরিষদের অনেকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন আছে, সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন আছে। উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন করা দরকার।”

তার কথা, "সরকারের কোনো কাজ বা কথা নির্বাচন বিলম্বিত করার যদি ইঙ্গিত দেয়, তাহলে তা তো দুঃখজনক।”

বিএনপির  যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সের মতে, ‘‘এমন একটি প্রেক্ষাপট তৈরি করা হয়েছে যে, নির্বাচনের কথা বললেই নানা ধরনের অপবাদ দেয়া হয়।'' তার কথা, "আসলে নির্বাচন চাওয়ার কারণে আমাদের সংস্কারের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করানো হচ্ছে। বলা হচ্ছে, বিএনপি নির্বাচন চায়, ভারতও নির্বাচন চায়।”

তিনি বলেন, "আমরাও সংস্কারের পক্ষে। আমরা তো বলেছি, রাজনৈতিক দলগুলো যেসব বিষয়ে একমত হয়েছে, সেগুলো প্রকাশ করা হোক, দ্রুত নির্বাচন দেয়া হোক। কিন্তু সরকারের কিছু লোক এবং তাদের সমর্থক কয়েকটি রাজনৈতিক দল আমরা নির্বাচন চাইলেই নানা সংস্কার সামনে আনে, গণভোট সামনে আনে, সংবিধান পাল্টে দেয়ার কথা বলে, বিচারের কথা বলে। বলা হয়, বিএনপি আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে চায়। কিন্তু আমরা তো বলেছি ৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগ শেষ হয়ে গেছে। গণহত্যার বিচার হতে হবে। কিন্তু তার বিপরীতে নির্বাচনকে দাঁড় করানো হচ্ছে। বিএনপিকে হেয় করা হচ্ছে। সরকারই তো আইনে সংগঠনের বিচারের ব্যবস্থা রাখে নাই।”

‘‘একটা বিতর্কিত পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে নিবাচন নিয়ে। বয়ান তৈরি করা হচ্ছে। এর মূল উদ্দেশ্য হলো, নির্বাচন বিলম্বিত করা, তারেক রহমান সাহেব তার কথায় সেটাই তুলে ধরেছেন বলে আমি মনে করি,” বলেন তিনি।

বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, "একটি মহল সূক্ষ্মভাবে নির্বাচন আগে না সংস্কার আগে-এই ধরনের একটি বিতর্ক তৈরি করছে। ফ্যাসিস্ট হাসিনা যেরকম বলেছে, ‘উন্নয়ন, না নির্বাচন'। একটি ভেস্টেড কোয়ার্টার নির্বাচনকেই বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে। তারেক রহমান সাহেব সেই কথাই বলার চেষ্টা করেছেন।”

কতটুকু সংস্কারে রাজী বিএনপি?

আর রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. জাহেদ উর রহমান মনে করেন, যতটা না সরকার তার চেয়ে বেশি নতুন দল এনসিপি নির্বাচনের সঙ্গে সংস্কার ছাড়াও কতগুলো শর্ত জুড়ে দিচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কয়েকজন ইনফ্লুয়েন্সারও এই কাজ করছেন। জামায়াতও কখনো কখনো বলছে। তারা আরো এগিয়ে গিয়ে বলছে ভারতও নির্বাচন চায়, বিএনপিও নির্বাচন চায়। কেউ যখন নির্বাচনের কথা বলছে, তখন ‘ভারতের দালাল' ট্যাগ লাগিয়ে দেয়া হচ্ছে। বিএনপির জন্য এই ধরনের একটি পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে।

‘‘সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ‘কেউ তো আমাদের চলে যেতে বলছে না। মানুষ অন্তর্বর্তী সরকারকে এখনকার জন্য সমাধান মনে করছে। আমার মনে হয়, বাইরে আলাপ হচ্ছে আগে সংস্কার, পরে নির্বাচন।' প্রধান উপদেষ্টা এসব কথার মধ্য দিয়ে ইনফ্লুয়েন্স করছেন। যদিও তিনি আল জাজিরার সাথে সাক্ষাৎকারে ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচনের কথাও বলেছেন,” বলেন এই বিশ্লেষক।

বিএনপি চায় নির্বাচনের জন্য যতটুকু সংস্কার প্রয়োজন ততটুকু করে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন। আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, "ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে তো আমরাসহ আরো অনেক রাজনৈতিক দল কথা বলেছে। সরকার সেটা প্রকাশ কললেই হয়। সবাই যেসব ব্যাপারে একমত হয়েছে, সেইসব বিষয়ে সংস্কারে আমাদের আপত্তি নাই। ওই সংস্কার করে ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন দিতে হবে।”

জাতীয় ঐকমত্য কশিনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ রোববার বলেছেন, "আগামী ১৫ মে'র মধ্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রাথমিক আলোচনা শেষ হবে, এরপরে শুরু হবে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা। আর যেসব বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য হবে, সেগুলোর ভিত্তিতে জাতীয় সনদ তৈরি হবে।”

‘‘আমাদের সবাইকে এক জায়গায় আসতে হবে। আমরা সব বিষয়ে একমত হতে পারবো না, কিন্তু রাষ্ট্র গঠনের মৌলিক জায়গায় আমাদের একমত হয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে,'' বলেন তিনি।

খালেদা জিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা সম্ভব: জাহেদ উর রহমান

This browser does not support the audio element.

খালেদার ফেরা ও বিএনপির রাজনীতি

চিকিৎসা শেষে প্রায় চার মাস পর লন্ডন থেকে মঙ্গলবার দেশে ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। তার এই দেশে ফেরার খবরে নেতা-কর্মীদের মধ্যে আছে ব্যাপক উচ্ছাস। খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জে এম জাহিদ হোসেনও খালেদা জিয়ার সঙ্গে লন্ডন গিয়েছিলেন। ফিরেছেন তার সঙ্গেই। তিনি ডয়চে ভেলেকে জানান, "বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে অনেক ভালো। দেশে ফেরার পর লন্ডনের চিৎিসকদের পরামর্শেই চলবেন তিনি। তিনি মানসিকভাবেও বেশ উৎফুল্ল আছেন।”

খালেদা জিয়া ফিরে আসায় বিএনপির রাজনীতি আরো গতি পাবে বলে মনে করছেন বিএনপির অনেক নেতা। বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, "তিনি সুস্থ হয়ে ফিরে এসেছেন, এটা আমাদের উজ্জীবিত করছে। তিনি তো আমাদের অবিসংবাদিত নেতা। তিনি রাজনীতিতেই আছেন। তিনি এখন আরো সক্রিয় হলে সেটা আমাদের দলের জন্য আরো সহায়ক হবে।”

যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেকও খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেশে ফিরেছেন। তিনি বলেন, "আমরা আশা করছি, খালেদা জিয়া রাজনীতিতে আরো সক্রিয় হতে পারবেন। তিনি অসুস্থ অবস্থায়ও দলের হাল ধরে ছিলেন। এখন আরো সময় দিতে পারবেন। বিএনপিকে অতীতেও কেউ ভাঙতে পারেনি, ভবিষ্যতেও পারবে না। সামনে নির্বাচনে তার বড় ভূমিকা থাকবে বলে মনে করছি। আর আমরা বড় জয় পাবো।”

বিএনপির রাজনীতিতে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানকে নিয়েও উচ্ছ্বাস আছে। মালেক বলেন, "আমরা তো চাই ডা. জোবায়দা রহমান রাজনীতিতে যোগ দেবেন। তিনি যোগ দিলে বিএনপি  লাভবান হবে। তবে তিনি রাজনীতিতে আসবেন কিনা তা বলা যাচ্ছে না। আমি যতদূর জানি তিনি চিকিৎসা পেশায় খেকেই দেশের মানুষের সেবা করতে চান।”

খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা প্রসঙ্গে সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, " চিকিৎসা শেষে খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা বিএনপির রাজনীতিকে আরো উজ্জীবিত করবে এবং সাহস যোগাবে। তার কথা, তার হাসি  আমাদের সাহস দেয়। তিনি কোনো সিদ্ধান্ত দিলে নেতা-কর্মীরা মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তার আরো সক্রিয় উপস্থিতি আমরা চাই।”

আর রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. জাহেদ উর রহমান বলেন, ‘‘খালেদা জিয়া কতটুকু সুস্থতা নিয়ে দেশে ফিরেছেন, সে বিষয়ে আমি নিশ্চিত নই। তবে তিনি যদি মোটামুটি সুস্থ থাকেন, তাহলে বিএনপিতে তার একটি বড় ভূমিকা থাকবে। যেহেতু তারেক রহমান দেশে নাই, তাই বিএনপিতে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা সম্ভব। এবং এটা বিএনপিকে  অনেক উজ্জীবীত করবে। বিএনপির রাজনীতিতে অবশ্যই গুণগত পরিবর্তন আনবে।”

তারেক রহমান ফিরবেন কবে?

তারেক রহমান ‘সহসাই ফিরবেন' বা ‘সময় হলেই ফিরবেন' এ ধরনের কথা চলছে বেশ বিছুদিন ধরে। যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক বলেন, "দেশের মানুষও চায় তিনি দেশে ফিরুন। আর তিনিও ফেরার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছেন। তিনি সহসাই ফিরবেন বলে আমরা আশা করি। তার বিরুদ্ধে এখন কোনো মামলা নাই। ফলে ফিরতে তার কোনো বাধা নাই।”

তবে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে তার বিরুদ্ধে যে ৮২টি মামলা হয়েছিল, তারমধ্যে একটি মামলা এখানো নিস্পত্তি হয়নি। ওই মামলায় তার দণ্ডাদেশ আছে। আদালতে আত্মসমর্পণ করে আপিল করার শর্তে ওই মামলাটির দণ্ডাদেশ স্থগিত করা হয় গত বছরের ২ অক্টোবর। বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, "তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা আমরা আইনগত এবং সাংবিধানিকভাবেই মোকাবেলা  করে আসছি। আমরা সিআরপিসি অনুযায়ী ডিল করছি। ওই মামলাটিও আমরা আইনতগভাবে দেখবো। এটাকে আমরা অন্য কোনোভাবে দেখছি না। তারেক রহমান দেশে ফিরে আসবেন। দেশের ফেরার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ যথা সময়ে নেবেন।”

তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান ১৭ বছর পর তার শাশুরি খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেশে ফিরেছেন। তার জন্য চার স্তরের নিরাপত্তার আবেদন করা হয়েছে পুলিশের কাছে। বিএনপির এক নেতা জানান, তার নিরাপত্তার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপুর্ণ, যেহেতু তিনি তারেক রহমানের স্ত্রী। একইভাবে তারেক রহমানের নিরাপত্তার বিষয়টিও অনেক গুরুত্বপূর্ন। তার দেশে ফেরার সঙ্গে নিরাপত্তা ইস্যুটিও খুবই জড়িত।”

অন্যদিকে গত ২৯ এপ্রিল খালেদা জিয়ার ভাগ্নে ও তারেক রহমানের খালাতো ভাই শাহরিন ইসলাম তুহিন দুর্নীতির দুইটি মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। ওই দুইটি মামলায় তিনি বিচারিক আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত।

এগুলো সরকারের দিক থেকে বিএনপির ওপর কোনো চাপ কী না জানতে চাইলে বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, "ওগুলো কিছু না। ওগুলোকে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি না।”

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ