1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিএনপির সাবেক সাংসদ মোমিনের ফাঁসির রায়

২৪ নভেম্বর ২০২১

মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যা, হত্যা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগের মত মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকায় বিএনপির সাবেক সাংসদ আব্দুল মোমিন তালুকদার খোকার ফাঁসির রায় ঘোষণা করেছে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল৷

প্রতীকী ছবিছবি: picture-alliance/dpa

ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারকের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ মামলার রায় ঘোষণা করেছে বুধবার৷

ট্রাইব্যুনাল পলাতক আব্দুল মোমিন তালুকদারের বিরুদ্ধে আনা তিনটি অভিযোগেই তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে৷ এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে হলে তাকে আত্মসমর্পণ করতে হবে৷

আব্দুল মোমিন তালুকদার চারদলীয় জোট সরকারের আমলের বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও রাজশাহী বিভাগীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন এবং তিনি বগুড়া-৩ আসন থেকে দুইবার এমপি হয়েছিলেন৷

এ মামলার শুনানি করেন রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সিমন ও রেজিয়া সুলতানা চমন৷ আসামিপক্ষে ছিলেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী মো. আবুল হাসান৷ গত ৩১ অক্টোবর মামলার রায়ের জন্য অপেক্ষমান রাখা হয়৷

যুদ্ধাপরাধের তিন অভিযোগ

১৯৭১ সালের ২২ এপ্রিল দুপুর ১২টার দিকে আসামি আব্দুল মোমিন তালুকদারসহ ৫ থেকে ৬ জন স্বাধীনতাবিরোধী ও ২০ জন পাকিস্তানি সেনা সদস্যকে নিয়ে বগুড়া জেলার আদমদিঘী থানার কলসা বাজার, রথবাড়ী এবং তিয়রপাড়ায় মুক্তিযোদ্ধা ও হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনকে হত্যা করতে অপারেশন চালান৷ ওই দিন আসামি নিজে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে কলসা গ্রামের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ইসলাম উদ্দিন প্রামানিকসহ হিন্দু-মুসলিম মিলিয়ে ১০ জনকে গুলি করে হত্যা করেন৷

১৯৭১ সালের ২৪ অক্টোবর থেকে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে একই থানার কাশিমালা গ্রামের ১৬ থেকে ১৭টি বাড়ি লুট করেন মোমিন৷ সেদিন ৫ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়৷

১৯৭১ সালের ২৫ অক্টোবর রাতে আব্দুল মোমিন তালুকদার রাজাকার ও পাকিস্তানি বাহিনী নিয়ে আদমদিঘী থানার তালশন গ্রামের  অভিযান চালিয়ে চারজনকে হত্যা করেন৷

তদন্তকারী কর্মকর্তা জেডএম আলতাফুর রহমান ২০১৬ সালের ১৮ জানুয়ারি থেকে এ মামলার তদন্ত কাজ শুরু করেন৷ মামলায় জব্দ তালিকা ছাড়াও ২৯ জনকে ঘটনার স্বাক্ষী করা হয় এবং তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ মোট ১৫ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়৷

স্বাধীনতার পর ১৯৭৮ সালে আবদুল মোমিন তালুকদার বিএনপিতে যোগ দেন৷ পরে আদমদীঘি উপজেলা বিএনপির সভাপতি হন৷ বিগত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্বেও ছিলেন তিনি৷

২০০১ ও ২০০৮ সালে বিএনপি থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন৷ সেসময় বগুড়া জেলা বিএনপির সহসভাপতি এবং রাজশাহী বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বেও ছিলেন আবদুল মোমিন তালুকদার৷  

এনএস/কেএম (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)

 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ