বিএনপি অফিসের নিরাপত্তা জোরদার
১৭ অক্টোবর ২০১৩বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বিএনপি কার্যালয়ের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়৷ বাড়ানো হয় গোয়েন্দা নজরদারি৷ বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু ডয়চে ভেলেকে জানান, বিএনপির কোনো নেতা-কর্মীকে কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকতে বা বের হতে দেয়া হচ্ছে না৷ তাঁদের কাছে খবর আছে যে, বিএনপির কোনো নেতা কার্যালয়ের সামনে গেলেই নাকি তাঁকে গ্রেপ্তার করা হবে৷
এদিকে, বিএনপি অফিসে তালা লাগানো৷ দু'জন সার্বক্ষণিক কর্মচারি থেকেও নেই৷ ঈদের পর নেতা-কর্মীরা সাধারণত শুভেচ্ছা বিনিময়ে কার্যালয়ে আসলেও এবার তার ব্যতিক্রম হয়েছে৷
ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, বিএনপি অফিসের নিরপত্তা বাড়ানো হয়েছে৷ তাই কোনো নেতা-কর্মীকে বিএনপি অফিসে ঢুকতে বা বের হতে বাধা দেয়ার অভিযোগ সত্য নয়৷
কিন্তু হঠাত্ করে ঈদের পরদিনই বিএনপি অফিসের নিরপত্তা বাড়ানোর প্রয়োজন দেখা দিল কেন? জানতে চাইলে যুগ্ম কমিশনার জানান, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করেই নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে৷ এখনো কোনো খারাপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি৷ তবে তেমন কিছু হলে নাগরিকদের জান-মালের নিরাপত্তায় ব্যবস্থা নেয়া হবে৷
ওদিকে, পুলিশের মতিঝিল জোনের উপ-কমিশনার আশরাফুজ্জামান জানিয়েছেন, বিএনপি নেতারা দা-কুড়ালের যে প্রস্তুতির কথা বলেছেন, তার জন্যই নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে৷
তবে বিএনপির পক্ষ থেকে কার্যালয়ের নিরাপত্তা বাড়ানোর কোনো আবেদন করা হয়নি৷ শামসুজ্জামান দুদু বলেন, তাঁরা পুলিশের কাছে ২৫শে অক্টোবরের জনসভার অনুমতি চেয়েছেন৷ কিন্তু পুলিশ এখনো সে ব্যাপারে কোনো সাড়া না দিয়ে কথিত নিরপত্তার নামে বিএনপি কার্যালয় অবরুদ্ধ করে রেখেছে৷ তিনি বলেন, বিএনপি পুলিশের কাছে কোনো নিরাপত্তা চায় না৷ যারা দেশের মানুষের নিরাপত্তা দিতে পারে না তাদের কাছে বিএনপিও নিরপত্তা চায় না৷
শামসুজ্জামান দুদু দাবি করেন, ২৫শে অক্টোবর থেকে যে চূড়ান্ত আন্দোলন শুরু হবে তাতে ভীত হয়ে পড়েছে সরকার৷ তাই পুলিশকে ব্যবহার করে দমন-পীড়ন চালানোর পায়তারা করছে৷ কিন্তু তাদের এই চেষ্টা সফল হবে না৷ জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করবে৷
অন্যদিকে, যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকা দা-কুড়ালের যে হুমকি দিয়েছে তার জন্য প্রস্তুত পুলিশ প্রশাসন৷ ২৫শে অক্টোবরকে সামনে রেখে কোনো বিশৃঙ্খলা বা নাশকতা সৃষ্টির সুযোগ দেয়া হবে না৷