1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

১৮ দলের হরতাল

সমীর কুমার দে, ঢাকা৭ মার্চ ২০১৩

গাড়িতে আগুন, মুহুর্মুহু ককটেলের বিস্ফোরণ আর সংঘর্ষের মধ্যে দিয়ে বিএনপি-জামায়াত জোটের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল বৃহস্পতিবার পালিত হয়েছে৷ এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে হরতাল সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে৷

ছবি: Reuters

বিএনপি-জামায়াতের ডাকা বৃহস্পতিবারের হরতালের শুরুতেই রাজধানীতে বাস ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগসহ পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে পিকেটাররা৷ তবে গত কয়েকদিনের হরতালের তুলনায় বৃহস্পতিবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীর সড়কে যান চলাচল বেড়েছে৷ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অন্তত ৫টি যানবাহনে আগুন দেয় হরতাল সমর্থকরা৷ এছাড়া রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, শনির আখড়া, মালিবাগ, রাজারবাগ ও মহাখালীসহ বিভিন্ন স্থানে শতাধিক ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়৷

হরতালের শুরুতে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে থেকে বিএনপির চার জন মহিলা সংসদ সদস্যকে আটক করে পুলিশ৷ সৈয়দা আশিফা আশরাফি পাপিয়া, রেহেনা আক্তার রানু, রাশেদা বেগম হীরা ও শাম্মী আক্তার বিএনপি কার্যালয়ের ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশ তাঁদের বাধা  দেয়৷ এ সময় চার বিএনপি নেত্রীরা রাস্তায় বসে স্লোগান দিতে থাকেন৷ এক পর্যায়ে পুলিশ তাদের আটক করে৷

নেতাকর্মীদের গ্রেফতার প্রসঙ্গে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, এটা অন্যায়, অগণতান্ত্রিক৷ এটা সরকারের ফ্যাসিবাদের দৃষ্টান্ত৷ যা ঘটল, তা শুধু ন্যাক্কারজনই নয়, নারকীয়ও৷ তিনি অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করেন৷

বিএনপি এমপি শাম্মী আক্তারকে আটক করছে পুলিশ৷ পরে অবশ্য তাঁকে ছেড়ে দেয়া হয়৷ছবি: Reuters

পুলিশের মতিঝিল বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মেহেদী হাসান বলেন, শান্তিপূর্ণ হরতালের নামে রাজপথে নৈরাজ্য সৃষ্টি করা হলে পুলিশ বসে থাকতে পারে না৷ বাসে আগুন, ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করা কোনভাবেই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি হতে পারে না৷

এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার পোলাডাঙ্গায় বিএনপি-জামায়াত কর্মীদের ধারালো অস্ত্র ও লাঠির আঘাতে যুবলীগের এক কর্মী নিহত হয়েছেন৷ তাঁর নাম আব্দুর রহমান৷ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, পোলাডাঙ্গা বাজারে হরতাল সমর্থকরা ভাঙচুর চালানোর সময় যুবলীগ কর্মীরা তা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করে৷ এ সময় হরতালকারীরা তাদের ধাওয়া করলে যুবলীগ কর্মী আবদুর রহমান পার্শ্ববর্তী এক বাড়িতে আশ্রয় নেয়৷ বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা সেখানে গিয়ে তাকে লাঠি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে৷ ভোলাহাট থানার ওসি এসএম ফরহাদ জানান, মারাত্মক আহত যুবলীগ কর্মী আবদুর রহমানকে পুলিশের গাড়িতে করে ভোলাহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার সময় তার মৃত্যু হয়৷

পিকেটাররা এই গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়ছবি: Reuters

তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীর বলেছেন, পরিস্থিতি সরকারের নিয়ন্ত্রণেই আছে৷ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে৷ শুধু জামায়াত অধ্যুষিত কিছু এলাকায় বিশৃঙ্খলা হয়েছে৷ তবে পুরো পরিস্থিতি আইন শৃঙ্খলা বাহিনী শান্তিপূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছে৷ 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ