1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দেশে ফিরতে চান সালাউদ্দিন আহমেদ

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১৯ জানুয়ারি ২০১৬

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বন্দি বিনিময়ের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মানবাধিকার কর্মীরা৷ বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমেদ দেশে ফিরতে চান বলে জানান তাঁর স্ত্রী৷ তবে তাঁর কথায়, কারুর বিনিময়ে তাঁকে ফেরত আনার প্রয়োজন নেই৷''

Bangladesch Salahuddin Ahmed Ex-Minister
ছবি: Getty Images/AFP/Str

[No title]

This browser does not support the audio element.

সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বাংলাদেশে আটক ভারতের মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিমের সহযোগী দাউদ মার্চেন্টকে ভারতে ফেরত পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ৷ আর এর বিনিময়ে ভারতে আটক বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাউদ্দিন আহমেদকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে বাংলাদেশে৷

তবে সোমবার ঢাকায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল সংবাদমাধ্যমকে জানান, ‘‘এক্সচেঞ্জ করে কাউতে দিতে হবে বা আনতে হবে, তা নয়৷ যে বিদেশিদের সাজার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাদের কয়েকজন আমাদের কারাগারে রয়েছে৷ যাদের সাজার মেয়াদ শেষ হয়েছে, তাদের ফেরত পাঠাতে আমরা সাধারণত সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাসগুলোতে যোগাযোগ করি৷ দাউদ মার্চেন্টের ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি অবলম্বন করা হবে৷''

দাউদ মার্চেন্টকে ২০০৯ সালে ঢাকায় গ্রেপ্তার করা হয়৷ ভারতে সে গুলশান কুমার হত্যা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত৷ এরইমধ্যে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগ আদালতে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহরের আবেদন জানিয়েছে৷

[No title]

This browser does not support the audio element.

অন্যদিকে ঢাকার বাসা থেকে নিখোঁজ হওয়ার কয়েকমাস পর, গত বছরের ১১ই মে, ভারতের শিলংয়ে আটক হন বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমেদ৷ সেখানে তাঁর বিরুদ্ধে ‘ফরেনার্স অ্যাক্টে' মামলার বিচার চলছে৷ সালাউদ্দিন আহমেদের স্ত্রী হাসিনা আহমেদ ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমি গত সপ্তাহে ভারতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করে এসেছি৷ বিচার শেষে তিনি দেশেই ফিরতে চান৷''

তিনি বলেন, ‘‘আমি পত্র-পত্রিকায় দেখেছি যে তাঁকে ফেরত আনতে চায় সরকার৷ কিন্তু বিচার শেষ হওয়ার আগে কীভাবে সেটা সম্ভব! কারুর বিনিময়ে তাঁকে ফেরত আনার প্রয়োজন নেই৷''

এর আগে গত ১১ই নভেম্বর বাংলাদেশের কারাগারে আটক ভারতের উলফা নেতা অনুপ চেটিয়াকে ভারতের হাতে তুলে দেয়া হয় ১৮ বছর পর৷ এর পরদিনই ভারত সেখানকার কারাগারে আটক নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের আসমি নূর হোসেকে ফেরত দেয়৷

মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পরিচালক নূর খান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি আছে৷ সেই নিয়ম অনুযায়ী, বন্দি বিনিময় হওয়া উত্তম৷ বিনিময় জিনিসটা ভালো না৷ একজন রাজনীতিবিদ বা বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার সঙ্গে ফৌজদারি অপরাধে জড়িতদের বিনিময় শোভন নয়৷''

বন্ধুরা, আপনারা কি নূর খানের সঙ্গে একমত? জানান নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ