1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিএনপি-র আন্দোলন নিয়ে সংশয়

সমীর কুমার দে, ঢাকা২৫ জুলাই ২০১৪

আগামী ঈদের পর সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনে যাচ্ছে বিএনপি৷ অথচ তারা নিজেরাই সংগঠিত নয়৷ দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিতে গিয়ে একে অপরকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিচ্ছেন৷

Aktivisten sammeln sich vor dem Sitz der Nationalistischen Partei BNP in Dhaka
ছবি: DW

এই অবস্থায় আন্দোলনের সফলতা নিয়ে নেতারা নিজেরাই আছেন সংশয়ে৷ বিএনপি-র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অবশ্য দলের ভেতরের এসব সমস্যাকে খুব একটা বড় করে দেখছেন না৷ তিনি বলেছেন, আন্দোলন শুরু হলে সব ঠিক হয়ে যাবে৷ আর দলের ঢাকা মহানগরের নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক মির্জা আব্বাস দাবি করেছেন, দলের মধ্যে কোন গ্রুপিং নেই, এটা মিডিয়ার সৃষ্টি৷

সম্প্রতি মির্জা আব্বাসকে আহ্বায়ক ও হাবিব-উন নবী খান সোহেলকে সদস্য সচিব করে ঢাকা মহানগর বিএনপি-র কমিটির গঠন করা হয়েছে৷ নতুন কমিটি গঠনের ৬ দিন পর বৃহস্পতিবার নতুন নেতৃত্বকে নিয়ে শেরে বাংলা নগরে জিয়ার সমাধিতে ফুল দিতে যান বিএনপি-র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর৷ সেখানেই ঘটে বিব্রতকর পরিস্থিতি৷ শত শত কর্মীর সামনেই নেতারা ধাক্কাধাক্কি করেন, নেত্রীরা চুলোচুলি করেন৷

প্রত্যক্ষদর্শী বিএনপি কর্মীরা জানান, বেলা পৌনে ১২টার দিকে মির্জা ফখরুল জিয়ার সমাধিস্থলে হাজির হন৷ এ সময় মহাসচিবের পাশে দাঁড়ান ঢাকা মহানগরের নতুন কমিটির সদস্য সিনিয়র নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মির্জা আব্বাস ও আবদুল আউয়াল মিন্টু৷ এই সময় পেছনে দাঁড়ানো নতুন কমিটির সদস্য সচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেল স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর রায়কে ঠেলে ফখরুলের পাশে দাঁড়ালে সৃষ্টি হয় উত্তেজনা৷ এতে গয়েশ্বর রাগান্বিত হয়ে চলে যেতে চান৷ ক্ষুব্ধ কণ্ঠে সোহেলকে ধমক দেন৷ তখন ফখরুল ও আব্বাস বুঝিয়ে গয়েশ্বরকে ঠেকান৷

মির্জা ফখরুল সমাধিস্থলে আসার কিছু সময় আগে সাবেক সংসদ সদস্য নিলোফার চৌধুরী মনির সঙ্গে ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নাসিমা আখতার কেয়ার কথা-কাটাকাটি হয়৷ কেয়া সাবেক সাংসদ মনির ওপর চড়াও হয়ে তার চুল ধরে টানতে থাকেন এবং ঘুষি মারেন৷ একই সময়ে মহিলা দলের সভানেত্রী নুরী আরা সাফাকে অন্য এক নারী নেত্রী ঠেলা দিয়ে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা চালায়৷ তখন উপস্থিত অন্য নেত্রীরা এগিয়ে গিয়ে তাদের নিবৃত্ত করেন৷

জিয়ার সমাধিস্থলে উপস্থিত বিএনপি-র একজন সিনিয়র নেতা ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমরা নিজেরাই সংগঠিত না৷ কী ভাবে আন্দোলনে যাব? আর এভাবে নিজেরা মিলমিশ হয়ে না হয়ে আন্দোলনে গেলে কোন রেজাল্ট আসবে না৷ বরং সরকার আমাদের গ্রেফতার করে এক এক করে জেলে পুরবে৷ এভাবে আন্দোলনে যাওয়ার চেয়ে না যাওয়াই ভালো৷ আর আন্দোলনে যেতে হলে গুছিয়ে যাওয়া উচিত৷ এসব কথা নিজের নামে মিডিয়ায় আসলে নেতারা ক্ষুব্ধ হন৷ তাই এসব দেখেও না দেখার ভান করে থাকি৷ যথাসম্ভব চুপ থাকারও চেষ্টা করি৷''

জিয়ার সমাধিতে ফুল দেয়ার পর মির্জা ফখরুল বলেছেন, ‘‘নির্দলীয় সরকারের দাবিতে তাদের এই আন্দোলন বিজয় না হওয়া পর্যন্ত চলবে৷ সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে আমরা গত ৫ বছর ধরে আন্দোলন করে আসছি৷ ৫ জানুয়ারি প্রহসনের যে নির্বাচনটি সরকার করেছে, তাতে জনগণ ভোট কেন্দ্রে যায়নি৷ ঈদের পর আবার আন্দোলন শুরু হবে৷ আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই, আন্দোলন চলবে৷ বিজয় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব৷''

বিএনপি-র আন্দোলনে জনসমর্থন নেই বলে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনে জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে৷ এর বড় প্রমাণ হচ্ছে – গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে যায়নি৷ যারা অনৈতিকভাবে ক্ষমতায় বসেছে, তারাই এরকম বক্তব্য দেন৷ জনগণের আন্দোলনে তারা ভেসে যাবেন৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ