1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানির সন্ত্রাসবিরোধী পুলিশ!

সার্বিনা পাবস্ট/এসি২০ ডিসেম্বর ২০১৫

একই সিনারিও, প্যারিস এবং অন্যত্র যা ঘটেছে: একাধিক সন্ত্রাসী বিভিন্ন জায়গায় একই সময়ে আক্রমণ চালাচ্ছে৷ এই সিনারিও-র মোকাবেলা করবার জন্য জার্মান নিরাপত্তা বাহিনীতে একটি নতুন স্পেশাল ফোর্স যোগ হচ্ছে৷

Deutschland neue Spezialeinheit der Bundespolizei BFE+
ছবি: Reuters/H. Hanschke

গত মাসে প্যারিসে ইসলামপন্থি সন্ত্রাসীরা বোমা ও কালাশনিকভ নিয়ে একাধিক স্থানে আক্রমণ চালিয়ে ১৩০ জন মানুষকে হত্যা করে৷ জানুয়ারি মাসে ফরাসি ব্যঙ্গপত্রিকা শার্লি এব্দোর উপর আক্রমণও ঘটেছিল অনুরূপ ভাবে৷

শার্লি এব্দো হত্যাকাণ্ডের পরেই জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টোমাস ডেমেজিয়ের এই ধরনের আক্রমণের মহড়া নেওয়ার জন্য জার্মান নিরাপত্তা বাহিনী প্রস্তুত কিনা, তা বিশ্লেষণ করে দেখার নির্দেশ দেন৷ রিপোর্টে দেখা যায়, উপযুক্ত প্রশিক্ষণ এবং সরঞ্জাম, দুই-ই পর্যাপ্ত নয়৷ পুলিশকর্মীদের ট্রেড ইউনিয়ন বলে যে, কর্মীরও অভাব রয়েছে৷

ছবি: picture-alliance/dpa/M. Schutt

পাঁচটি স্থানে মোট আড়াই'শ ‘অপারেটিভ'

ফলে নতুন যে স্পেশাল ইউনিটটি সৃষ্টি করা হচ্ছে তার নাম, জার্মানে, ‘বেভাইসসিশারুংস উন্ড ফেস্টনামেআইনহাইট প্লুস', অর্থাৎ ‘সাক্ষ্যপ্রমাণ সংগ্রহ ও গ্রেপ্তারি সংক্রান্ত বিশেষ পুলিশ গোষ্ঠী', সংক্ষেপে বিএফই প্লাস৷ বার্লিনের ব্লুমেনব্যার্গ এলাকার ফেডারাল পুলিশের কার্যালয়ে এখনই কাজ শুরু করবেন এই বিশেষ পুলিশ গোষ্ঠীর ৫০ জন এজেন্ট৷ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতি ক্ষেত্রে ৫০ জন এজেন্ট বিশিষ্ট আরো চারটি ইউনিট গঠন করা হবে৷

বর্তমানে জার্মানির বাছাই জিএসজি নাইন স্পেশাল ফোর্সেস ইউনিট প্যারিস সন্ত্রাসের মতো আপৎকালীন পরিস্থিতির মোকাবেলা করে৷ এছাড়া রয়েছে এসইকে বা এমইকে-র মতো সোয়াট গোষ্ঠী বা মোবাইল ট্যাকটিক্যাল ফোর্স৷ সব ক'টি গোষ্ঠীর এজেন্টরা জানেন যে, তাদের জীবনের ঝুঁকি আছে৷ কিন্তু এ সব গোষ্ঠী অকুস্থলে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সরাসরি সক্রিয় হয়৷ সেক্ষেত্রে বিএফই প্লাস-এর কাজ হবে দীর্ঘ সময় ও এলাকা জুড়ে সন্ত্রাসীদের খোঁজ চালানো৷

সাধারণ পুলিশ যখন সন্ত্রাসীদের মুখোমুখি হয়

এই সব বাছাই গোষ্ঠী আর সাধারণ পুলিশের মধ্যে পার্থক্য আছে বৈকি৷ পুলিশ ইউনিয়ন জিডিপি-র উপসভাপতি ইয়র্গ রাডেক জানান যে, পুলিশকে যে বুলেটপ্রুফ ভেস্ট দেওয়া হয়, তার অ্যাসল্ট রাইফেল থেকে ছোঁড়া গুলি আটকানোর ক্ষমতা নেই৷ এমনকি রোঁদে বেরনো পুলিশ অফিসারদের একটা দ্বিতীয় (গুলির) ম্যাগাজিনও ইস্যু করা হয় না৷ কিন্তু বিএফই প্লাস অকুস্থলে পৌঁছনো অবধি এই পুলিশ কর্মীদেরই তো পরিস্থিতির সামাল দিতে হবে৷ অপরাপর নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞের মতেও একটা নতুন পুলিশ ইউনিট সৃষ্টি না করে, যে সব ইউনিট আছে, তাদের সদস্যসংখ্যা বাড়িয়ে ও উন্নততর সরঞ্জামের ব্যবস্থা করে বরাদ্দ অর্থের সদ্ব্যবহার করা যেত৷

আপনার কী মনে হয়? নতুন ধরনের আক্রমণ মোকাবিলায় জার্মান নিরাপত্তা বাহিনী কি প্রস্তুত?

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ