1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিএসএফ-এর হাতে বাংলাদেশি নির্যাতনের ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া

২০ জানুয়ারি ২০১২

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে বাংলাদেশি নাগরিককে নির্যাতনের ভিডিও চিত্র ভারতের সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশের পর বাংলাদেশে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ভারতের কাছে এব্যাপারে প্রতিবাদ জানান হয়েছে৷

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে এই ধরণের ঘটনার ফলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উপর চাপ বাড়ছেছবি: AP

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার কাহারপাড়া বিএসএফ ক্যাম্পে বাংলাদেশি এক তরুণকে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয় গত ৯ই ডিসেম্বর৷ আর ভারতের সংবাদ মাধ্যমে সেই নির্যাতনের ভিডিও চিত্র প্রকাশ করা হয় গত বুধবার৷ অভিযোগ, ওই তরুণকে গরু চোরাচালানকারী সন্দেহে আটকের পর তার কাছে ঘুষ দাবি করে বিএসএফ সদস্যরা৷ ঘুষ না পেয়ে তার গোপন অঙ্গে পেট্রোল ঢেলে নির্যাতন চালান হয়৷ বিএসএফ সদস্যরাই আবার নির্যাতনের এই দৃশ্য মোবাইল ফোনের ভিডিও ক্যামেরায় ধারণ করে৷ আর তা ঘটনাচক্রে চলে যায় সংবাদ মাধ্যমের হাতে৷ নির্যাতিত ওই তরুণের বয়স ২২ বছর এবং তার বাড়ি বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জে৷ ভারতের সংবাদ মাধ্যমে নির্যাতনের ঘটনা প্রচারের পর বুধবারই বিএসএফ-এর ৮ জওয়ানকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে৷ তদন্ত কমিটি গঠন করে বিএসএফ আরো বিস্তারিত খতিয়ে দেখছে৷

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন বলেছেন, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানান হয়েছে৷ছবি: Samir Kumar Dey

এদিকে এই ঘটনায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া অণুবিভাগ তদন্ত শুরু করেছে৷ বৃহস্পতিবার বিকেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানোর কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা জানান হয়নি৷ তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন জানিয়েছেন, এব্যাপারে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানান হয়েছে৷

অন্যদিকে এই নির্যাতনের ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন প্রধান বিরোধী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর৷ তিনি বলেছেন, সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারনেই বিএসএফ-এর হাতে বার বার বাংলাদেশি নাগরিকরা নিগৃহীত হচ্ছেন৷

উল্লেখ্য ভারত সরকার বার বার সীমান্তে গুলির ব্যবহার বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিলেও তা কার্যকর হচ্ছেনা৷ গতমাসেও বিএসএফ-এর গুলিতে ৩ বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ