‘বিকল্প নোবেল' জিতলো ফিলিস্তিনি এক সংস্থা
৩ অক্টোবর ২০২৪১৯৮০ সালে সুইডিশ-জার্মান সমাজসেবী ইয়াকব ফন উয়েক্সকুল রাইট লাইভলিহুড পুরষ্কার চালু করেন৷ ‘বিকল্প নোবেল পুরষ্কার' নামে পরিচিত এই পুরষ্কারটি সেই সব মানুষকে সম্মানিত করে, যাদের কাজ মূল নোবেল পুরষ্কারের মঞ্চে উপেক্ষিত থেকে যায়৷
এখন পর্যন্ত ৭৭টি দেশের ১৯৮জন এই পুরষ্কার জিতেছেন৷
বৃহস্পতিবার ইসরায়েলের দখলকৃত পশ্চিম তীরের অ্যাক্টিভিস্ট ইসা আমরো তার সংস্থা ‘ইউথ অ্যাগেইনস্ট সেটেলমেন্টস'-এর কাজের জন্য এই পুরষ্কার পান৷ পুরষ্কার প্রদানের সময় বলা হয়, এই পুরষ্কার তিনি পাচ্ছেন, ‘‘ইসরায়েলের অবৈধ দখলের বিরুদ্ধে দৃঢ় অহিংস প্রতিরোধ গড়ে ফিলিস্তিনি নাগরিকদের মধ্যে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে উৎসাহ দেবার জন্য৷''
আমরো'র হাতে প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থা পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের দখলের সমালোচনা করে ও তার বিরুদ্ধে প্রচার করে৷ এই দখল আন্তর্জাতিক মহলেও অবৈধ বলে মানা হয়৷
‘আমি যে এখনো বেঁচে আছি, সেটাই মিরাকেল!'
আমরোর জন্ম হেবরনে, যেখানে বর্তমানে দুই লাখ ফিলিস্তিনি মানুষের সাথে বাস করেন প্রায় এক হাজার ইসরায়েলি দখলদার৷
সুইডেনে অবস্থিত এই রাইট লাইভলিহুড ফাউন্ডেশন জানায়, ৪৪ বছর বয়সি আমরোকে বহু বার ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ আটক করে, অত্যাচার করে৷ পশ্চিম তীরের নিয়ন্ত্রণ হাতে রাখা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের হাতেও অত্যাচার সইতে হয়েছে ইসা আমরোকে৷
আমরো বলেন, ‘‘আমি যে এখনও বেঁচে আছি, এটাই একটা মিরাকেল!''
১৯৬৭ সাল থেকে পশ্চিম তীরের দখল রয়েছে ইসরায়েলের হাতে, যা আন্তার্জাতিক আইন অনুযায়ী এবং জাতিসংঘের চোখেও অবৈধ৷
রাইট লাইভলিহুড ফাউন্ডেশন জানায়, এবারের পুরষ্কার দেওয়া হয়েছে এমন ব্যক্তিদের, যাদের ‘প্রত্যেকে তাদের সমাজ ও বিশ্ব মঞ্চে গভীর প্রভাব ফেলতে পেরেছেন৷''
আমরো ছাড়াও এ বছর এই পুরষ্কার জেতেন আদিবাসী অ্যাক্টিভিস্ট ফিলিপাইন্সের জোন কার্লিং, মোজাম্বিকের পরিবেশকর্মী আনাবেলা লেমোস ও ব্রিটিশ গবেষণা সংস্থা ফরেনসিক আর্কিটেকচার৷
এসএস/এসিবি (এএফপি, এপি, ডিপিএ)