1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

লাশ শনাক্ত করা যাচ্ছেনা

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৪ মে ২০১৩

পাবনার বেড়া উপজেলার শহরবানু৷ ২৪শে এপ্রিল রানা প্লাজা ধসের পরই সাভারে ছুটে আসেন তার মেয়ের খোঁজে৷ এক সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও তিনি সাভারেই আছেন৷ তার মেয়ে শেফালী রানা প্লাজার ৪ তলার নিউ ওয়েভ গার্মেন্টস-এ কাজ করতেন৷

ছবি: Reuters

প্রথমে শহরবানু আশায় বুক বেধে ছিলেন হয়তো তার মেয়েকে জীবিত উদ্ধার করা যাবে৷ সে আশা নিভে গেছে৷ আর এখন তিনি আশায় আছেন যদি লাশটি পাওয়া যায়৷ তাই নতুন কোনো লাশ উদ্ধার হলেই তিনি ছুটে যান৷ ছুটে যান অধরচন্দ্র হাইস্কুল মাঠে, হাসপাতাল মর্গে৷ কিন্তু লাশও মিলছেনা৷ শেষ পর্যন্ত শহরবানু মেয়ের লাশ পাবেন কিনা তাও এখন অনিশ্চিত৷ কারণ এখন যে লাশ উদ্ধার হচ্ছে তা গলে-পঁচে বিকৃত হয়ে গেছে৷ চেনার কোনো উপায় নেই৷ আর এই শহরবানুর মতো শত শত মানুষ এখন হাতে ছবি আর ঠিকানা নিয়ে স্বজনের লাশের অপেক্ষা করছেন৷

রানা প্লাজা ধসের ১০ম দিনে শুক্রবার আরো ৪০টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে৷ এপর্যন্ত মোট লাশ উদ্ধার করা হয়েছে ৫০৭টি৷ তার মধ্যে আত্মীয় স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে ৪৩১টি লাশ৷ জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ২,৪৪৬ জনকে৷ লাশ আর জীবিত মিলিয়ে এপর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে ২,৯৫৩ জনকে৷ আর রানা প্লাজা ধসের সময় ভবনে ৩,২০০ গার্মেন্টস শ্রমিকসহ ৫,০০০ মানুষ ছিলেন৷ সেই হিসেবে এখনো দেড় হাজারের বেশি মানুষ নিখোঁজ আছেন৷ আর এখন পর্যন্ত ধসে পড়া ভবনের ৩০ ভাগের মতো অপসারণ সম্ভব হয়েছে৷ উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন এখনো ধ্বংসস্তূপের নীচে অনেক লাশ রয়েছে৷ উদ্ধার অভিযান যতই এগোচ্ছে ততই লাশ বেরিয়ে আসছে৷

ঢাকা জেলা প্রশাসক ইউসুফ হারুন ডয়চে ভেলেকে জানান, এখন শুধু বিকৃত লাশ নয়, লাশের অংশ বিশেষও পাওয়া যাচ্ছে৷ তাই সাধারণভাবে লাশ শনাক্ত করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে৷ তাই তারা স্বজনদের কাছে ডিএনএ টেস্ট ছাড়া লাশ হস্তান্তর করতে চাইছেন না৷ এক্ষেত্রে লাশের একটি নম্বর দিয়ে সেই নম্বর অনুযায়ী ডিএনএ নমুনা রেখে আবার সেই নম্বর চিহ্ন দিয়েই আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের সহায়তায় জুরাইন কবরস্থানে দাফনের ব্যবস্থা করছেন তারা৷ এরপর নিখোঁজ ব্যক্তিদের আত্মীয় স্বজনের ডিএনএ নমুনা নিয়ে তা মিলিয়ে লাশ শনাক্ত করা হবে৷ নয়তো একজনের লাশ অন্যজনের লাশ হিসেবে নিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে - যা জটিলতার সৃষ্টি করবে৷ তারা শোকার্ত আত্মীয় স্বজনকেও বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টা করছেন৷

তিনি জানান সাভারের তাজরীন ফ্যাশানস-এ আগুনের ঘটনায় তারা মোট ৫২টি বিকৃত লাশ এভাবে দাফন করেন৷ পরে এপর্যন্ত ৩৯টি লাশ ডিএনএ'র মাধ্যমে শনাক্ত করা হয়েছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ