ইসরাইলি বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে আহত অর্ধশত ফিলিস্তিনি
৩০ ডিসেম্বর ২০১৭
শুক্রবার গাজা সীমান্তে ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে যখন পাথর ও হাতবোমা ছুড়ছিল, তার জবাবে ইসরায়েলি সেনারা তাদের দিকে গুলি চালায়৷ এতে আহত হয়েছেন কমপক্ষে অর্ধশত ফিলিস্তিনি৷
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার পশ্চিমতীর ও গাজায় রাস্তায় নেমে বিক্ষোভে অংশ নেন কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি৷ ‘জেরুসালেম হবে ইসরায়েলের রাজধানী' - ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শুক্রবার ‘বিক্ষোভের দিন' ঘোষণা করেছিল ফিলিস্তিনিরা৷ জুমার নামাজের পর বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় নেমে আসে৷ ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হয় কমপক্ষে অর্ধশত ফিলিস্তিনি৷
ইসরাইলের এক সেনা মুখপাত্র জানিয়েছেন, অন্তত চার হাজার বিক্ষোভকারী শুক্রবার সীমান্তে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছিল৷ বিক্ষোভকারীরা আগুন বোমা, পাথর এবং টায়ারে আগুন লাগিয়ে তাদের দিকে ছুড়ে মারছিল৷ তিনি জানান, বিক্ষোভকারীদের নিরস্ত্র করতে তারা কেবল কাদানে গ্যাস ব্যবহার করেছিলেন৷ তবে আরো কয়েকজন সেনা গুলি ছোড়ার কথাও স্বীকার করেছেন৷ তারা স্বীকারোক্তি হিসেবে বলেছেন, বিক্ষোভকারীরা যখন সীমান্তের বেড়া ভেঙে ফেলার চেষ্টা করছিল, তখন তারা ফাঁকা গুলি ছুড়েছেন৷
যে শিল্পীরা ইসরায়েলকে বয়কট করেছেন, যাঁরা করেননি
ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের প্রতিবাদে কয়েকজন শিল্পী সে দেশে কনসার্ট বাতিল করেছেন৷ তবে কনসার্ট বাতিলের অনুরোধ না শোনা শিল্পীও আছেন৷
ছবি: picture alliance/dpa/J. Kalaene
রজার ওয়াটার্স
জার্মানির কয়েকটি সরকারি প্রচারমাধ্যম ‘ইহুদি বিদ্বেষের অভিযোগ’ ওঠায় পিংক ফ্লয়েডের সাবেক সদস্য রজার ওয়াটার্সের কনসার্ট প্রচার না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ ওয়াটার্স ফিলিস্তিনি নেতৃত্বাধীন সংগঠন ‘বয়কট, ডাইভেস্টমেন্ট অ্যান্ড স্যানকশান মুভমেন্ট’ বা বিডিএস-এর সদস্য৷ ফিলিস্তিনি অঞ্চল দখলের অভিযোগে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বয়কটের আহ্বান জানায় সংগঠনটি৷ কনসার্টে অংশ না নিতে শিল্পীদের প্রতি আহ্বান তেমন একটি৷
ছবি: Imago/Future Image
কেট টেম্পেস্ট
ব্রিটিশ এই ব়্যাপার ‘আর্টিস্টস ফর প্যালেস্টাইন’-এর সমর্থক৷ ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের নেয়া পদক্ষেপে তিনি মর্মাহত বলে জানিয়েছেন৷ ‘‘অনেক ভাবনাচিন্তার পর আমি বিক্ষোভ প্রদর্শনের লক্ষ্যে এই সাংস্কৃতিক বয়কটে যোগ দিয়েছি,’’ বলেন তিনি৷ তবে তাঁর বিরুদ্ধে যাঁরা ইহুদি বিদ্বেষের অভিযোগের এনেছেন তাঁদের টেম্পেস্ট মনে করিয়ে দিয়েছেন যে, তিনি নিজেই একজন ইহুদি বংশোদ্ভূত৷
ছবি: picture-alliance/Photoshot/R. Pope
এলভিস কস্টেলো
২০১০ সালে ইসরায়েলে তাঁর একটি কনসার্ট বাতিল করেছিলেন ব্রিটিশ এই মিউজিশিয়ান৷ এর কারণ হিসেবে তিনি সেই সময় তাঁর ওয়েবসাইটে লিখেছিলেন, জাতীয় নিরাপত্তার নামে ফিলিস্তিনিদের উপর যে নিপীড়ন চালানো হচ্ছে তার প্রতিবাদ করা ‘বিবেক’-এর বিষয়৷
ছবি: Universal Music/J. O'Mara
জনি রোটেন
এলভিস কস্টেলো ইসরায়েলে কনসার্টটি বাতিল করার পর সেখানে কনসার্টে গিয়েছিলেন জনি রোটেন৷ কারণ হিসেবে বলেছিলেন, ‘‘গণতন্ত্র আছে এমন এক আরব রাষ্ট্র, এক মুসলিম দেশ না দেখা পর্যন্ত, ফিলিস্তিনিদের প্রতি আচরণ সম্পর্কে কারও সমস্যা থাকার বিষয়টি আমি বুঝবো না৷’’
ছবি: picture-alliance/Photoshot
ডেপেশ মোড
২০১৩ সালে ‘ডেল্টা মেশিন টুর’-এর এক পর্যায়ে তেল আভিভে গিয়েছিল ব্রিটিশ এই ব্যান্ড দল৷ সফরের প্রতিদিনকার খবর অনলাইনে জানিয়েছিল তাঁরা৷ কিন্তু তেল আভিভের বিষয়ে একেবারে চুপ ছিল ডেপেশ মোড৷ তাহলে কি ঐখানে কনসার্ট করা নিয়ে লজ্জিত ছিল তাঁরা? ২০০৬ সালে লেবানন যুদ্ধের সময় রাজনৈতিক কারণ দেখিয়ে ইসরায়েলে একটি কনসার্ট বাতিল করেছিল ব্রিটিশ এই ব্যান্ড৷
ছবি: Imago/Milestone Media
এল্টন জন
২০১০ ও ২০১৬ সালে তেল আভিভে কনসার্টের আগে সেখানে না যেতে এল্টন জনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল বিডিএস৷ কিন্তু তাতে কাজ হয়নি৷ বরং তিনি দর্শকদের হিব্রু শব্দ ‘শালম’ বলে স্বাগত জানিয়েছিলেন৷ এর অর্থ ‘শান্তি’৷ ‘‘আমরা এই মঞ্চে শান্তি আর ভালোবাসা ছড়াচ্ছি৷ আর আমরা এখানে থাকতে পেরে খুশি,’’ বলেন তিনি৷
ছবি: picture alliance/LUSA/dpa/E. Silva
রেডিওহেড
২০১৭ সালের জুলাইতে ইসরায়েলে কনসার্টের আগে সেখানে না যেতে ব্রিটিশ এই ব্যান্ডের উপর প্রচুর চাপ সৃষ্টি করা হয়েছিল৷ ডেসমন্ড টুটুসহ অনেকে তাঁকে অনুরোধ করেছিলেন৷ কিন্তু ব্যান্ডের গায়ক থম ইয়র্ক বলেছিলেন, ‘‘অনেকে আছেন যাঁরা বিডিএস মুভমেন্টের সঙ্গে একমত নন৷ আমরাও আছি তাদের মধ্যে৷ আমি কোনো ধরনের সাংস্কৃতিক নিষেধাজ্ঞার পক্ষে নই৷’’
ছবি: picture-alliance/dpa/B. Pedersen
ব্রায়ান অ্যাডামস
চলতি মাসে ইসরায়েলে কনসার্ট না করতে অ্যাডামসকে আহ্বান জানিয়েছিল বিডিএস৷ তবে তাতে কাজ হয়নি৷ এর আগে অবশ্য একবার তিনি গাজায় চলা যুদ্ধকে মানবতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ বলে আখ্যায়িত করেছিলেন৷
ছবি: picture alliance/dpa/J. Kalaene
8 ছবি1 | 8
গাজায় বিক্ষোকারীদের স্লোগান ছিল - ‘অ্যামেরিকা নিপাক যাক, ইসরায়েল নিপাক যাক, ট্রাম্পের মরণ হোক৷' ইসরায়েলের সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘তাদের লক্ষ্য করে জঙ্গি সংগঠন হামাস রকেট ছোড়ার পর, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা এবং বিমান বাহিনী গাজার উত্তরাঞ্চলে হামাসের ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে৷'
ডিসেম্বরের ৬ তারিখে ট্রাম্পের বিতর্কিত সিদ্ধান্তের পর ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন ১২ জন ফিলিস্তিনি৷ ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে শুধু ফিলিস্তিনিরাই নন, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ নিন্দা জানিয়েছেন৷
ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ডিসেম্বরের ১১ তারিখ প্রস্তাব পাস হয়েছে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে। জাতিসংঘের ১৯৩ জন সদ্যের মধ্যে ১২৮ জন এই প্রস্তাবে সমর্থন দিয়েছেন৷ ৯ জন এর বিপক্ষে ভোট দেন।
বিতর্কিত শহর জেরুসালেম
জেরুসালেম বিশ্বের প্রাচীনতম ও সবচেয়ে বিতর্কিত শহরগুলির অন্যতম৷ ইহুদি, মুসলিম ও খ্রিষ্টান, তিনটি ধর্মের মানুষের কাছে জেরুসালেম একটি পবিত্র শহর৷ এ কারণে জেরুসালেম নিয়ে বিরোধ ও বিতর্ক লেগেই আছে৷
ছবি: picture-alliance/Zumapress/S. Qaq
রাজা ডেভিডের শহর
ওল্ড টেস্টামেন্টের বিবরণ অনুযায়ী, জুডাহ ও ইসরায়েলের রাজা ডেভিড যীশুখ্রিষ্টের জন্মের প্রায় এক হাজার বছর আগে জেবুসাইটদের কাছ থেকে জেরুসালেম জয় করেন৷ ডেভিড জেরুসালেমকে তার রাজধানী করেন ও জেরুসালেম তাঁর রাজ্যের ধর্মীয় কেন্দ্র হয়ে দাঁড়ায়৷ বাইবেলে কথিত আছে যে, ডেভিডের পুত্র রাজা সলোমন জেরুসালেমে ইসরায়েলের দেবতা ইয়াওয়েহ’র প্রথম মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন ও জেরুসালেম ইহুদি ধর্মের প্রাণকেন্দ্র হয়ে দাঁড়ায়৷
ছবি: Imago/Leemage
পারস্যের শাসনে
নব্য ব্যাবিলোনিয়ান রাজা দ্বিতীয় নেবুচাডনেজার (বাম থেকে তৃতীয়) খ্রিষ্টপূর্ব ৫৯৭ ও ৫৮৬ সালে জেরুসালেম জয় করেন বলে বাইবেলে আছে৷ তিনি রাজা জেহোইয়াকিম (ডান থেকে পঞ্চম) ও অন্যান্য সম্ভ্রান্ত ইহুদিদের বন্দি করে ব্যাবিলনে পাঠান ও ইয়াওয়েহ’র মন্দিরটি ধ্বংস করেন৷ পারস্যের রাজা সাইরাস দ্য গ্রেট ব্যাবিলন দখল করার পর নির্বাসিত ইহুদিদের জেরুসালেমে ফেরার ও মন্দিরটি পুনরায় গড়ে তোলার অনুমতি দেন৷
ছবি: picture-alliance/Mary Evans Picture Library
রোমক ও বাইজান্টাইন আমল
খ্রিষ্টজন্মের ৬৩ বছর পরে জেরুসালেম রোমক শাসনে আসে, কিন্তু জনগণের মধ্যে প্রতিরোধ অব্যাহত থাকায় তার তিন বছর পরেই প্রথম ইহুদি-রোমক যুদ্ধের অবতারণা ঘটে৷ চার বছর যুদ্ধের পর রোমকরা জয়ী হয় ও ইহুদিদের মন্দিরটি পুনরায় ধ্বংস করা হয়৷ রোমক আর বাইজান্টাইনরা মিলে প্রায় ৬০০ বছর ধরে জেরুসালেম শাসন করে৷
ছবি: Historical Picture Archive/COR
আরব বিজয়
বৃহত্তর সিরিয়ায় ইসলামের জয়ের পর মুসলিম সেনাবাহিনী জেরুসালেমে পৌঁছায়৷ (ছবিতে) খলিফা উমরের আদেশে ৬৩৭ সালে দীর্ঘ অবরোধের পর জেরুসালেমের পতন ঘটে৷ মুসলিম শাসন চলাকালীন বিভিন্ন গোষ্ঠীর শাসকরা শহরটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে পরস্পরের সঙ্গে সংঘাত চালান৷ জেরুসালেম একধিকবার অবরুদ্ধ ও বিজিত হয়৷
ছবি: Selva/Leemage
ক্রুসেড
১০৭০ সাল থেকে মুসলিম নেতারা ক্রমেই খ্রিষ্টান জগতের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠেন৷ শেষমেষ পোপ দ্বিতীয় আর্বান ক্রুসেডের ডাক দেন৷ ২০০ বছরের মধ্যে মোট পাঁচটি ক্রুসেড জেরুসালেম জয়ের জন্য যাত্রা করে৷ কিন্তু ১২৪৪ সালে ক্রুসেডাররা শহরটির নিয়ন্ত্রণ হারায় ও জেরুসালেম পুনরায় মুসলিম শাসনে আসে৷
ছবি: picture-alliance/akg-images
অটোমান ও ব্রিটিশ আমল
অটোমানরা মিশর ও আরব জয় করার পর ১৫৩৫ সালে জেরুসালেম একটি অটোমান জেলার প্রশাসনিক কার্যালয়ে পরিণত হয়৷ অটোমান শাসনের প্রথম কয়েক দশকে শহরটির প্রভূত উন্নতি ঘটে৷ ১৯১৭ সালে অটোমান সৈন্যদের বিরুদ্ধে ব্রিটেনের জয়ের পর ফিলিস্তিন ব্রিটিশ শাসনে আসে ও জেরুসালেম বিনাযুদ্ধে ব্রিটিশদের হাতে চলে যায়৷
ছবি: Gemeinfrei
বিভক্ত শহর
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ব্রিটেন তার ফিলিস্তিনি সনদ ছেড়ে দেয়৷ অপরদিকে জাতিসংঘ হলোকস্ট থেকে যেসব ইহুদি বেঁচেছেন, তাদের জন্য একটি স্বদেশ সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে দেশবিভাগের সিদ্ধান্ত নেয়৷ অতঃপর কিছু আরব দেশ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামে ও অংশত জেরুসালেম দখল করে৷ ১৯৬৭ সাল অবধি জেরুসালেমের পশ্চিমাংশ ইসরায়েল ও পুবের অংশ জর্ডানের দখলে ছিল৷
ছবি: Gemeinfrei
পূর্ব জেরুসালেম ইসরায়েলের হাতে ফিরল
১৯৬৭ সালের ছয় দিনের এক যুদ্ধে ইসরায়েল মিশর, জর্ডান ও সিরিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হয়৷ সাইনেয়াই, গাজা স্ট্রিপ, পশ্চিম তীর, গোলান হাইটস ও পূর্ব জেরুসালেমের দখল করে নেয় ইসরায়েল৷ ইসরায়েলের প্যারাট্রুপার সৈন্যরা ১৯৪৯ সাল যাবৎ প্রথমবারের মতো ইহুদিদের জেরুসালেমের ‘ওয়েলিং ওয়াল’-এ দাঁড়ায়৷ পূর্ব জেরুসালেমকে সরকারিভাবে ইসরায়েলের সঙ্গে যোগ না করা হলেও, সামগ্রিক প্রশাসনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে৷
জেরুসালেমে মুসলিমদের পবিত্র স্থানগুলি মুসলিমদের জন্য খোলা৷ টেম্পল মাউন্ট একটি স্বশাসিত মুসলিম প্রশাসনের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত৷ মুসলিমরা ডোম অফ দ্য রক ও তার সংলগ্ন আল-আকসা মসজিদটি দর্শন করতে পারেন ও সেখানে নামাজ পড়তে পারেন৷
ছবি: Getty Images/AFP/A. Gharabli
জেরুসালেম নিয়ে বিরোধ
আজ অবধি জেরুসালেমের পরিস্থিতি ও ভবিষ্যৎ মর্যাদা ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে শান্তির পথে অন্তরায় হয়ে রয়েছে৷ ১৯৮০ সালে ইসরায়েল গোটা জেরুসালেমকে তার ‘‘চিরন্তন ও অবিভাজনযোগ্য রাজধানী’’ বলে ঘোষণা করে৷ ১৯৮৮ সালে জর্ডান পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুসালেমের উপর তার দাবি পরিত্যাগ করার পর ফিলিস্তিন রাজ্য ঘোষিত হয়৷ ফিলিস্তিন রাজ্যও জেরুসালেমকে তাদের রাজধানী বলে গণ্য করে৷