1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিক্ষোভে স্থবির হংকং

৫ আগস্ট ২০১৯

সরকারবিরোধী সহিংস বিক্ষোভে স্থবির হয়ে পড়েছো হংকং৷ ভেঙে পড়েছে পুরো পরিবহন ব্যবস্থা, বাতিল করা হয়েছে দুইশ'র বেশি ফ্লাইট৷

Hongkong Proteste gegen China - Generalstreik
ছবি: AFP/I. Lawrence

কয়েক সপ্তাহ ধরে চলমান এই বিক্ষোভ নতুন করে আরো সাত জেলায় ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা চলছে৷ অন্যদিকে বিক্ষোভকারীরা শহরটির প্রধান নির্বাহী ক্যারি লামের পদত্যাগ চাইলেও তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেছেন৷

বেইজিং-সমর্থিত নেতা লাম সোমবার বলেছেন, দফায় দফায় এই বিক্ষোভ চীনের সার্বভৌমত্বের জন্য চ্যালেঞ্জ এবং একটি বিপদজনক পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে৷ পদত্যাগ করবেন না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ৷'' বিক্ষোভকারীদের সতর্ক করে লাম বলছেন, বিক্ষাভকারীরা দেশটির অর্থনীতিতেও ক্ষতি করছে৷

‘‘তারা হংকংকে পুনরুদ্ধার করতে বিপ্লব চায়, কিন্তু এই পদক্ষেপ তাদের রাজনৈতিক সেই দাবিকেও ছাড়িয়ে গেছে৷ এসব অবৈধ পদক্ষেপ আমাদের সার্বভৌমত্বের জন্য চ্যালেঞ্জ এবং এক দেশের দুই নীতিকে বিপন্ন এবং হংকংয়ের স্থিতশীলতা ও সমৃদ্ধিকে ধ্বংস করবে৷''

১৯৯৭ সালে ব্রিটিশদের থেকে চীনের কাছে হস্তান্তরের পর হংকংয়ের ইতিহাসে গত কয়েক মাসের এ প্রতিবাদকেই সবচেয়ে বড় বলা হচ্ছে৷

চীনের কাছে হস্তান্তরের সময় যুক্তরাজ্য শহরটির স্বায়ত্তশাসন ও স্বাধীনতা এবং স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা অটুট রাখার প্রতিশ্রুতি আদায় করে নিয়েছিল৷ হংকংয়ের কারণেই চীনকে ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থাপনার' নীতিতে চলতে হচ্ছে৷

গত ২২ জুলাই এক সংবাদ সম্মেলনে লাম বলেছিলেন, ‘‘আমরা অনেকে মিলে যে শহরকে গড়ে তুলেছি সেই প্রিয় শহরে বিক্ষোভকারীদের ঠেলে পাঠানাো হচ্ছে, যা খুবই বিপজ্জনক পরিস্থিতর দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিচ্ছে৷''

বিক্ষোভকারীরা বলছেন, লাম জনগণের দাবিকে উপেক্ষা করে সংকট আরো ঘনিভূত করছেন৷ বিক্ষোভে অংশ নেয়া জে লেইং নামের ২০ বছর বয়সি এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী বলেন, ‘‘তার (লাম) বক্তব্য শোনা মানে সময়টাই নষ্ট করা৷ আমি মনে করি না সরকার এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কোনো পদক্ষেপ নিয়েছে৷ তারা নিজেরাই নিজেদের রাজনৈতিক সমস্যার কোনো সমাধান করে না৷ ''

সোমবার সকাল থেকে বাস ও রেল সার্ভিস বন্ধ করে দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা৷ ফলে পুরো হংকংজুড়ে যানজট দেখা দিয়েছে, বিমানবন্দরে শতশত মানুষ অপেক্ষা করছে এবং হংকংয়ের প্রধান এলাকাগুলোতে প্রবেশের সব পথ বন্ধ হয়ে গেছে৷

দুইশ'র বেশি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে এবং বিমানবন্দর রেলএক্সপ্রেসের সেবাও সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে৷

৪৯ বছর বয়সি মার্ক শ্মিট বলেছেন, ‘‘সরকার পুলিশকে বলির পাঠা বানিয়ে এখানে বসবাসকারীদের জন্য অসহনীয় পরিস্থিতর সৃষ্টি করেছে৷ সোমবার আমি আমার ব্যবসার প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়ে এই বিক্ষোভে যোগ দিয়েছি৷ …শুধু অর্থ না প্রয়োজনে সব কিছু হারিয়ে হংকংয়ের স্বাধীনতার জন্য দাঁড়াতে হবে৷''

সাবেক এই ব্রিটিশ উপনিবেশের আরো সাতটি জেলায় বিক্ষোভ শুরুর পরিকল্পনা করা হচ্ছে৷ এখন পর্যন্ত পুলিশ ৪৪ জনকে গ্রেপ্তার করা ছাড়াও বিক্ষাভ দমনে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে৷

গত কয়েকমাস ধরেই হংকংয়ে বিক্ষোভ চলছে৷ দেশটির প্রত্যাবাসন বিলের প্রতিবাদে কয়েকমাস আগে আন্দোলন শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা৷ পরে স্বায়ত্তশাসন আর গণতন্ত্রের দাবিতে তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যান৷ চলমান এ বিক্ষোভ পরবর্তীতে সহিংসতায় রূপ নেয়৷

আন্দোলন ঠেকাতে হংকং প্রশাসনের নেওয়া পদক্ষেপকে সমর্থন জানিয়েছে চীন৷ গত সপ্তাহে বেইজিং জানায়, সুষ্ঠ আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা প্রশাসনের দায়িত্ব৷

ডনি কোভক ও ক্লেয়ার জিম/এসআই

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ