1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
বিচার ব্যবস্থাবাংলাদেশ

‘বিচার বিভাগ স্বাধীন, এটা বইয়ের কথা’

১৩ জানুয়ারি ২০২৩

মুখে সবাই বিচার বিভাগ স্বাধীন দাবি করলেও, বাস্তবে পরিস্থিতি ভিন্ন বলে মনে করেন সাবেক জেলা জজ শাহজাহান সাজু৷ নির্বাহী বিভাগের ক্ষমতা প্রয়োগে বিচারকেরা ‘ভয় পান' বলেও মনে করেন তিনি৷

Khaled Muhiuddin Asks 140
ছবি: DW

‘ডয়চে ভেলে খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়' টকশোতে এ সপ্তাহের আলোচনার বিষয় ছিল ‘ক্ষমতার চাপে বিচারকেরা'৷ এবারের পর্বে সাবেক জেলা জজ শাহজাহান সাজুর সঙ্গে আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নুরজাহান বেগম মুক্তা৷

অতিথিদের কাছে প্রশ্ন ছিল, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনা কি প্রমাণ করে যে, বিচারকেরা ক্ষমতার চাপে অসহায়? বিচার বিভাগ স্বাধীন হওয়া সত্ত্বেও বিচারকেরা কি স্বাধীনভাবে মামলা পরিচালনা করতে পারেন?

শাহজাহান সাজু এ প্রসঙ্গে দুই বছর আগে পিরোজপুরের একটি ঘটনার উদাহরণ তুলে ধরেন৷

পিরোজপুরের সাবেক সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম এ আউয়াল তিনটি মামলায় এবং তাঁর স্ত্রী লায়লা পারভীন একটি মামলায় ৩ মার্চ সকালে পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন৷ দুপুরে শুনানি শেষে বিচারক মো. আবদুল মান্নান জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন৷ বিকেলেই জেলা ও দায়রা জজ মো. আবদুল মান্নানকে বদলির চিঠি পাঠানো হয়৷

সাবেক জজ শাহজাহান সাজু প্রশ্ন তোলেন, ‘‘আমি জানি না, পৃথিবীর কোন ইলেক্ট্রনিক্স পদ্ধতিতে উনাকে (বিচারক) এজলাসে থাকা অবস্থায় তাৎক্ষণিক বদলি করে তাৎক্ষণিক স্ট্যান্ড রিলিজ করে দেয়া হলো৷ কখন এই প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে লেখা হলো, কখন উচ্চ আদালতের অনুমোদন নেয়া হলো, কখন সে চিঠি তৈরি হলো, কখন সেটা ফ্যাক্সে ওই জেলা জজের কাছে গেল এবং সেই জেলা জজ দায়িত্বভার হস্তান্তর করলেন একজন যুগ্ম জেলা জজের কাছে৷ কারণ তখন স্টেশনে কোনো অতিরিক্ত জেলা জজ ছিলেন না৷ ওই যুগ্ম জেলা জজ কোর্ট আওয়ারের মধ্যেই এমপি আউয়াল সাহেবকে জামিন দিলেন৷’’

অন্য জেলা জজরা এমন পরিস্থিতি দেখলে কেমন বোধ করেন, এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শাহজাহান সাজু৷

সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নুরজাহান বেগম মুক্তা বিচার বিভাগকে স্বাধীন দাবি করে পালটা প্রশ্ন তোলেন, আইনজীবী নিজের ক্লায়েন্টের ভালো চেয়ে অন্যায় আবদার করলেও বিচারকেরা কেন সেটা মেনে নেন?

এ প্রসঙ্গে শাহজাহান সাজু দুইটি বিষয়ের অবতারণা করেন৷ প্রথমত, জেলা জজ হিসাবে যারা কাজ করতে আসেন, তারা কেউই খুব স্বচ্ছল পরিবার থেকে আসেননি৷ ফলে অনেকেই ক্যারিয়ারের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভয় পান৷ তাছাড়া, নির্বাহী বিভাগ অনেকক্ষেত্রেই বিচার বিভাগের চেয়ে বেশি ক্ষমতা রাখে৷ ফলে এ নিয়েও সতর্ক থাকেন বিচারকেরা৷

শাহজাহান সাজু বলেন, ‘‘মাননীয় মন্ত্রী বলছেন বিচারবিভাগ স্বাধীন, আমিও বলি বিচার বিভাগ স্বাধীন৷ আমিও স্বাধীনভাবে কাজ করেছি৷ কিন্তু এটা হলো পুস্তকের কথা, বইয়ের কথা৷ কিন্তু বাস্তবে যা ঘটে, সেটা সংবিধানের পরিপন্থি, আইনের পরিপন্থি৷’’

এডিকে/এফএস

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ