অন্যদিকে রায়ের কপি বের হওয়ার আগেই গণমাধ্যমের সংবাদের প্রেক্ষিতে একজন বিচারকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া কতটা যৌক্তিক? এসব বিষয় নিয়ে ডয়চে ভেলের সঙ্গে কথা বলেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল ৷
ডয়চে ভেলে : কোনো বিচারকের পর্যবেক্ষণ নিয়ে প্রধান বিচারপতির কাছে আইনমন্ত্রীর চিঠি দেওয়া কতটা সাংবিধানিক?
আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন : সম্পূর্ণ সাংবিধানিক৷ কোনো কিছু যদি আইন মন্ত্রণালয়ের সামনে আসে সেক্ষেত্রে আইন মন্ত্রণালয় অবশ্যই সেটা আদালতের গোচরে আনবেন৷ এটা তাদের দায়িত্ব৷ আমাদের নতুন যে রুলস করা হল, সেই রুলস অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্ট এটা বিবেচনা করবে যে, এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নিতে হবে কি, হবে না৷ কোনো ঘটনা ন্যায়সঙ্গত মনে না হলে তারা অবশ্যই গোচরে আনতে পারেন৷
নিম্ন আদালতের পর্যবেক্ষণ অনুসরণ করা সবার জন্য বাধ্যতামূলক কি?
নিম্ন আদালতের পর্যবেক্ষণ ওই মামলার ক্ষেত্রে অনুসরণ করা বাধ্যতামূলক৷ কিন্তু সাধারণভাবে এটা বাধ্যতামূলক না৷ আমাদের সংবিধান অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্ট যদি কোন পর্যবেক্ষণ দেন সেটা মান্য করা বাংলাদেশের সকলের জন্য বাধ্যতামূলক৷
‘বিচার ব্যবস্থায় যদি মন্দ কোনো দৃষ্টান্ত হয় সেটা উৎরানোর দায়িত্ব সংবিধান অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের’
রায়ের পর তো আপিলের সুযোগ আছে৷ কিন্তু আপিল পর্যন্ত অপেক্ষা না করে বিচারকের বিরুদ্ধে সরাসরি ব্যবস্থা নেওয়া কতটা আইনসঙ্গত?
দু'টো জিনিস আলাদা, আলাদা৷ একটা হচ্ছে, উনার রায় নিয়ে কোনো কিছু বলা যাবে না৷ কিন্তু রায়ের বাইরে যদি কিছু থাকে সেটা নিয়ে ডিসিপ্লিনারি এ্যাকশন নেওয়া যাবে৷ এটা বাংলাদেশে অহরহ হচ্ছে৷ যদি কোন অভিযোগ আসে, তখন মামলার রায়টা দেখা হয়৷ পাশাপাশি অনেক কিছু দেখা হয়৷ সুপ্রিম কোর্টের জিআই কমিটি এটা দেখে সিদ্ধান্ত নিতে পারে৷
বিচারকদের বিরুদ্ধে এই ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার পরিপন্থি কি-না?
এই ধরনের ব্যবস্থা নিলে স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা আরও অগ্রসরমান হবে৷ কারণ বিচার ব্যবস্থায় যদি মন্দ কোন দৃষ্টান্ত হয়, সেটা উৎরানোর দায়িত্ব সংবিধান অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের৷ সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নিম্ন আদালত সুপ্রিম কোর্টের অধীনে৷ সেক্ষেত্রে সরকার যে কোন বিষয় যদি সুপ্রিম কোর্টের নজরে আনে, তখন সুপ্রিম কোর্ট এটা দেখে বিবেচনা করবেন৷ সুপ্রিম কোর্ট তো সরাসরি কিছু করে না৷ প্রথমে তদন্ত হবে, তারপর সর্বশেষ ধাপ অনুযায়ী তারা যদি মনে করেন কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার, তখন নেবেন৷
এভাবে বিচারকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলে তাদের স্বাধীনভাবে রায় দেওয়ার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে ভীতি কাজ করবে কিনা?
তারা স্বাধীনভাবে রায় দেবেন এইজন্যই ব্যবস্থা নেওয়া হয়৷ তারা যেন বিচারটা স্বাধীনভাবে করতে পারেন, সঠিকভাবে করতে পারেন সেজন্য কোন ব্যত্যয় হলে সেটা দেখা হয়৷ বিচার করতে গিয়ে তারা যেন কোনো বাধার মুখে না পড়েন সেজন্য তাদের উৎসাহিত করা হচ্ছে৷
বিচারকদের আলোচিত পর্যবেক্ষণ, রায়
বাংলাদেশ ও ভারতে বিচারকদের দেয়া পর্যবেক্ষণ ও রায় কখনও কখনও আলোচনার জন্ম দিয়েছে৷ এ বছরই ধর্ষণ মামলার শুনানির সময় ভারতের প্রধান বিচারপতির করা দুটি মন্তব্যের কারণে তার পদত্যাগের দাবি উঠেছিল৷
ছবি: bombayhighcourt.nic.in
বুকে হাত দেয়ার বিচার সম্ভব নয়!
গত জানুয়ারিতে ভারতের বম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি পুষ্প গনেড়িওয়ালার দুটি পর্যবেক্ষণ আলোচনার জন্ম দিয়েছিল৷ তিনি বলেছিলেন, যৌন অপরাধের হাত থেকে শিশুদের নিরাপদ রাখার ‘পকসো’ আইনের সংজ্ঞা অনুযায়ী পাঁচ বছরের মেয়ে শিশুর হাত ধরা ও ট্রাউজারের চেন খোলা যৌন হেনস্থা নয়৷ এর কয়েকদিন আগে দেয়া আরেক পর্যবেক্ষণে তিনি বলেছিলেন, ১২ বছরের মেয়ের বুকে হাত দেয়ার ঘটনায় ত্বকে-ত্বকে স্পর্শ না হওয়ায় পকসো আইনে বিচার সম্ভব নয়৷
ছবি: bombayhighcourt.nic.in
স্থায়ী নিয়োগ হলো না
গনেড়িওয়ালার প্রথম পর্যবেক্ষণে স্থগিতাদেশ জারি করেছিল সুপ্রিম কোর্ট৷ গনেড়িওয়ালা এমন সময় ঐ পর্যবেক্ষণ দিয়েছিলেন যখন বিচারপতি হিসেবে তার নিয়োগ স্থায়ী করতে সুপ্রিম কোর্ট কলেজিয়াম সুপারিশ করেছিল৷ দ্বিতীয় পর্যবেক্ষণের পর সেই সুপারিশ বাতিল করে তাকে দুই বছরের জন্য নিয়োগের সুপারিশ করা হয়৷ তবে সরকার সেটিও কমিয়ে তাকে এক বছরের জন্য নিয়োগ দেয়৷
ছবি: Anil Dave/Dinodia Photo/imago images
রেইনট্রি হোটেলকাণ্ড
রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণ মামলার বিচার শেষে বৃহস্পতিবার সব আসামির খালাসের রায় দেন ঢাকার ৭ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহার৷ রায়ের পর গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয় যে, রায় ঘোষণার সময় তিনি ধর্ষণের অভিযোগের ক্ষেত্রে ঘটনার ৭২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলে পুলিশ যেন মামলা না নেয়, সেই নির্দেশনা দিয়েছেন৷ এরপর সমালোচনা হলে রোববার তার বিচারিক ক্ষমতা সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করা হয়৷
ছবি: MAHMUD ZAMAN OVI/bdnews24.com
তবে লিখিত রায়ে যা আছে
মঙ্গলবার রাতে মামলার লিখিত রায় প্রকাশিত হয়৷ রায়ে বিচারক লিখেছেন, অনেক দিন পর মামলা হলে যৌন সহিংসতার প্রমাণ পাওয়া যায় না৷ মামলা করার সময় যদি বিষয়টি দেখা হয়, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে যদি মেডিকেল পরীক্ষা করা হয় এবং ফরেনসিক পরীক্ষায় যদি প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে ধর্ষণ মামলায় তা গুরুত্বপূর্ণ নথি বলে গণ্য হয়৷ তখন ধর্ষণ মামলার অভিযুক্ত ব্যক্তির বিচার নিশ্চিত করা যায় এবং ন্যায়বিচার সর্বোত্তমভাবে করা সম্ভব হয়৷
ছবি: bdnews24.com
ধর্ষককে ধর্ষিতাকে বিয়ের প্রস্তাব
গত মার্চে ভারতের প্রধান বিচারপতি শারদ বোবদে এক মামলার শুনানির সময় ধর্ষণের অভিযোগ ওঠা এক সরকারি কর্মচারীকে ধর্ষিতাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন৷ তিনি বলেছিলেন, ‘‘আপনি যদি তাকে বিয়ে করেন তাহলে আমরা সহায়তা করতে পারি৷ তা না হলে আপনি চাকরি হারাবেন, জেলে যাবেন৷’’ ঐ ব্যক্তি ১৬ বছর বয়সি ঐ মেয়েকে বেঁধে রেখে, মুখে কাপড় গুঁজে বারবার ধর্ষণ করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল৷ এছাড়া হত্যারও হুমকি দিয়েছিল৷
ছবি: IANS
পদত্যাগ চেয়ে চিঠি
বোবদের (বামে) পদত্যাগের দাবি জানিয়ে লেখা এক চিঠিতে বলা হয়, ‘‘ধর্ষককে ধর্ষিতাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দিয়ে আপনি, ভারতের প্রধান বিচারপতি, মেয়েটিকে এমন একজন নির্যাতনকারীর হাতে তুলে দিতে চেয়েছেন যে তাকে আত্মহত্যার পথে ঠেলে দিয়েছিল৷ তার হাতে আপনি মেয়েটিকে সারাজীবন ধর্ষণের জন্য তুলে দিতে চেয়েছেন৷’’ নারী অধিকার কর্মী ও বিভিন্ন সংস্থায় কর্মরত ব্যক্তিসহ পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ ঐ চিঠিতে সই করেছিলেন৷
ছবি: IANS
দম্পতির মধ্যে যৌন মিলন কি ধর্ষণ?
প্রায় একই সময়ে আরেক মামলার শুনানিতে করা বোবদের (ডানে) আরেক বক্তব্যও আলোচনার জন্ম দেয়৷ বিবাহিত দম্পতির মধ্যে যৌন মিলন কখনও ধর্ষণের পর্যায়ে পড়ে কিনা সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি৷ ‘‘স্বামী হয়ত বর্বর হতে পারেন৷ কিন্তু আপনি কি একজন বৈধভাবে বিবাহিত পুরুষ ও স্ত্রীর মধ্যে যৌন মিলনকে ধর্ষণ বলতে পারেন?’’ বোবদে পদত্যাগ করেননি৷ পরের মাসে স্বাভাবিক মেয়াদ শেষ করে তিনি অবসরে গিয়েছিলেন৷
ছবি: IANS
‘ময়ূর ব্রহ্মচারী পাখি, সেক্স করে না’
২০১৭ সালে ভারতের রাজস্থান হাইকোর্টের বিচারপতি মহেশচন্দ্র শর্মা তার শেষ কর্মদিবসে দেয়া নির্দেশনায় গরুকে জাতীয় পশু ঘোষণা ও গো-হত্যায় দোষী সাব্যস্তদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সুপারিশ করেছিলেন৷ পরদিন তার বিদায়ী সংবর্ধনা আনুষ্ঠানে বলেন, ‘‘অনেকেই জানেন না, সারাজীবন ব্রহ্মচারী থাকে ভারতের জাতীয় পাখি ময়ূর৷ তার চোখের জলের মাধ্যমেই সন্তানের জন্ম দেয় ময়ূরী৷ ভগবান শ্রীকৃষ্ণও ময়ূরের পালক মাথায় ধারণ করেছিলেন৷’’
ছবি: Reuters/T. Melville
বিচারক বদলাতে সরকারের প্রস্তাব
২০১৭ সালের স্বাধীনতা দিবসের আমন্ত্রণপত্রে দুই শিশুর আঁকা বঙ্গবন্ধুর ছবি ব্যবহার করেন বরিশালের আগৈলঝাড়ার তৎকালীন ইউএনও তারিক সালমন৷ এই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে ‘বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃত করে ছাপানোর’ অভিযোগে মামলা হলে সালমনকে কারাগারে পাঠান বরিশালের মুখ্য মহানগর হাকিম আলী হোসাইন৷ অবশ্য দুই ঘণ্টা পর তিনিই তার জামিন মঞ্জুর করেন৷ এই ঘটনায় আলী হোসাইনকে বদলির জন্য সুপ্রিম কোর্টে প্রস্তাব পাঠিয়েছিল সরকার৷
ছবি: bdnews24.com
হাস্যকর রায়?
২০১৭ সালে খুলনায় এক অনুষ্ঠানে ছাগল বিতরণ করেন প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ৷ পরে ফেসবুকে স্থানীয় সাংবাদিক আব্দুল লতিফ মোড়ল লেখেন, ‘প্রতিমন্ত্রীর সকালে বিতরণ করা ছাগলের রাতে মৃত্যু’৷ পোস্টে প্রতিমন্ত্রীর ছবি ব্যবহার করায় তার মানহানি হয়েছে এই অভিযোগে মামলা হলে লতিফকে কারাগারে পাঠান সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত ‘খ’ অঞ্চলের বিচারক নুসরাত জাবিন৷ একদিন পর তিনি তাকে জামিন দেন৷
ছবি: picture alliance/AP/The Flint Journal,Jake May
10 ছবি1 | 10
বিচারকের পর্যবেক্ষণ নিয়ে বাইরে আন্দোলন হলে বিচারকদের উপর মানসিক চাপ সৃষ্টি হয় কি-না?
বিচারকের পর্যবেক্ষণ নিয়ে আলোচনা করার ক্ষমতা থাকলে সেটা হতে পারে৷ নারীরা কাজী হতে পারবে না, এমন একটি রায় দিয়েছিল হাইকোর্ট৷ তখন এই রায়ের পর অনেক মানবাধিকার সংস্থা, মহিলা পরিষদসহ অনেকেই এটা নিয়ে তখন আলোচনা করেছেন৷ তারপর এটা সুপ্রিম কোর্টে গেছে৷ সংবিধান অনুযায়ী হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ দেওয়ার ক্ষমতা আছে৷ তারা সেটা দিয়েছেন৷ এখন এটা সুপ্রিম কোর্টে আছে৷ বিচার আদালত যদি সাধারণ কোনো পর্যবেক্ষণ দেন, সেটা তারা পারেন না৷ উনারা পারেন ওই মামলার বিষয়ে যেকোনো পর্যবেক্ষণ দিতে৷ এটা করা যাবে না, ওটা করা যাবে না, এমন পর্যবেক্ষণ সংবিধান অনুযায়ী তারা দিতে পারেন না৷
মূল মামলার বিষয়বস্তুর বাইরে গিয়ে এই ধরনের পর্যবেক্ষণ আসামিদের খালাসের রায়কে আড়াল করার চেষ্টা কি-না?
এটা নিয়ে কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না৷
কিছুদিন আগে দুই আসামির আপিল নিষ্পত্তির আগেই ফাঁসি কার্যকর হয়েছে, এমন সংবাদে নড়েচড়ে বসেছিল প্রশাসন৷ পরে দেখা গেল ঘটনা ভিন্ন৷ এখানেও লিখিত রায়ের অনুলিপি না পেয়ে শুধুমাত্র গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে একজন বিচারকের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা কী যৌক্তিক?
গণমাধ্যমের যারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন তারা সবাই বলেছেন তারা ওইটা শুনেছেন৷ তারা নিশ্চয় বানিয়ে বলেননি৷ উনারা শুনেছেন বলেই তো লিখেছেন৷ আমি জানি না, সুপ্রিম কোর্ট কী আদেশ দিয়েছেন৷ এটা নিয়ে নিশ্চয় তদন্ত হবে৷ তখন দেখা হবে উনি এটা বলেছেন কি-না৷ বলে থাকলে কী বলেছেন, লিখে থাকলে কী লিখেছেন৷ তখন সবকিছু বিবেচনা করা হবে৷ যেহেতু উনার বিরুদ্ধে এই কথাগুলো উঠেছে সে কারণে উনাকে আইন মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়েছে৷ এখন তো উনি আইন মন্ত্রণালয়ে আছেন৷ তদন্তে যদি দেখা যায়, উনি বলেননি তাহলে উনাকে আবারও বিচারিক আদালতে পাঠানো হতে পারে৷ আবার আইন মন্ত্রণালয়েও রাখা হতে পারে৷ আইন মন্ত্রণালয়ে যারা কাজ করেন তারা সকলেই কিন্তু বিচারক৷ জজ থেকে সহকারী জজ পর্যন্ত সবাই সেখানে কাজ করেন৷
ইতিমধ্যে কিন্তু রায়টি প্রকাশ হয়েছে৷ সেখানে কিন্তু ওই পর্যবেক্ষণের বিষয়টি নেই৷
সেটাই তদন্ত কমিটি দেখবে৷
এই ধরনের রায়ে ক্ষমতাধর ধর্ষকেরা আরও বেশি উৎসাহিত হতে পারে কি-না?
বিচারে ক্ষমতাধর বলে কিছু নেই৷ বিচার ব্যবস্থায় যিনিই আইনের ব্যত্যয় করবেন তার বিচার হবে৷ এর বাইরে কিছু না৷
এ ধরনের অনাকাঙ্খিত পর্যবেক্ষণ এড়াতে আপনার পরামর্শ কী?
আমি সবাইকে বলব, প্রচলিত রীতিনীতি আছে, আমাদের আইন আছে, সংবিধান আছে সে অনুযায়ী আমরা সকলে যাতে কাজ করি৷ তাহলে আমরা অনেক বিতর্কের হাত থেকে রেহাই পাব৷