বিজিএমইএ ভবন ভাঙার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট
৩ এপ্রিল ২০১১হাইকোর্টের বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক এবং শেখ মো. জাকির হোসেনের আদালত আজ এ নির্দেশ দিয়েছেন৷
তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ'র ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১৯৯৮ সালে৷ কারওয়ান বাজারে হাতির ঝিল প্রকল্পে বেগুনবাড়ি খাল ভরাট করে ভবন নির্মাণ, জমির মালিকানা, পরিবেশ আইনের লঙ্ঘন এবং রাজউকের অনুমোদন না থাকা - এসব বিষয় নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে বার বার খবর প্রকাশিত হয়েছে৷ গত বছরের ৩রা অক্টোবর হাইকোর্ট সংবাদ মাধ্যমের খবর ধরে স্বপ্রণোদিত হয়ে সরকারকে রুল দেয়৷ রুলে আদালত জানতে চায়, কেন ভবনটি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয়া হবে না৷ তারই ধারাবাহিকতায় আদালত সব পক্ষের বক্তব্য শুনে, কাগজপত্র পর্যালোচনা করে আজ ভবনটি ভাঙার আদেশ দিলেন৷
আদেশে বলা হয়েছে, ভবনটি নির্মাণে পরিবেশ আইন লঙ্ঘন করা হয়েছে৷ আর ভবনের জমির মালিকানা বিজিএমইএ'র নয়৷ রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো চাইলেই সরকারের জমি অন্য কারো কাছে বিক্রি করতে পারে না৷ ভবনটির নকশাও অনুমোদন করেনি রাজউক৷ যা সাংবাদিকদের জানান ডেপুটি এটর্নি জেনারেল এবিএম আলতাফ হোসেন৷
আদালত আগামী ৯০ দিনের মধ্যে বিজিএমইএ ভবন খালি করতে বলেছেন৷ এরপর থেকে ভবনটি ভেঙে ফেলতে হবে৷ আর ভবন ভাঙার সব খরচ বহন করতে হবে বিজিএমইএ'কে৷ আদালত বলেছেন, এই ভবনের জমি হস্তান্তর থেকে শুরু করে সব কিছুতে প্রতারণার আশ্রয় নেয়া হয়েছে৷ এই প্রতারণার সঙ্গে কারা জড়িত তা খুঁজে বের করতে পুলিশের আইজিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে৷
এদিকে, বিজিএমইএ এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবে বলে তাদের আইনজীবী জানিয়েছেন৷ বিজিএমইএ সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন জানান, ভবনটি ভেঙে ফেলাই সমাধান নয়৷ এই ভবনটি বাংলাদেশের রফতানি বাণিজ্যের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই