কলকাতায় বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ। মিছিল ঘিরে রাজপথে তুলকালাম।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির যুব মোর্চা। যা ঘিরে চূড়ান্ত উত্তেজনা তৈরি হয়েছে কলকাতায়। অভিযোগ, মিছিলের উপর যথেচ্ছ জলকামান চালিয়েছে পুলিশ। সেই জলে বিশেষ ধরনের কেমিক্যাল মেশানো ছিল বলেও বিজেপি অভিযোগ করেছে। অন্য দিকে বিজেপি কর্মীরাও দিকে দিকে পুলিশকে আক্রমণ করেছে বলে প্রশাসনের অভিযোগ। ইটবৃষ্টি হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। হাওড়া ময়দানে বোমাবাজি হয়েছে। একজন কর্মীর কাছ থেকে পিস্তল উদ্ধার হয়েছে বলেও অভিযোগ।
২০২১ সালের গোড়ায় পশ্চিমবঙ্গেবিধানসভা নির্বাচন। যত দিন এগিয়ে আসছে, রাজনীতির পারদও তত চড়ছে। দিকে দিকে বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষ হচ্ছে। একাধিক বিজেপি কর্মী খুন হয়েছেন। রাজ্য বিজেপির হিসেব অনুযায়ী গত কয়েক বছরে একশরও বেশি বিজেপি কর্মী রাজ্যে খুন হয়েছেন। সম্প্রতি টিটাগড়ে খুন হয়েছেন যুব বিজেপির বাহুবলী নেতা মনীশ শুক্ল। সামনে থেকে ১৪টি গুলি ছুড়ে হত্যা করা হয়েছে তাঁকে। সেই ঘটনায় সিআইডি দুইজনকে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করেছে। বিজেপির অভিযোগ তারা তৃণমূল আশ্রিত গুন্ডা।
বিজেপির আরও অভিযোগ, প্রশাসন এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের মদতেই একের পর এক খুন হচ্ছে। অন্য দিকে তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি রাজ্যে সাম্প্রদায়িক অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের মধ্যেই বৃহস্পতিবার রাজ্যের প্রশাসনিক সদর দফতর নবান্নে অভিযানের সিদ্ধান্ত নেয় বিজেপি।
বৃহস্পতিবার সকালেই যুব বিজেপির নেতা সৌরভ সিকদার ডয়চে ভেলেকে জানিয়ে দেন, চারটি মিছিল করে নবান্নকে ঘিরে ফেলা হবে। তবে বিজেপি কর্মীরা যাতে নবান্নের ধারেকাছে পৌঁছতে না পারেন, তার জন্য পুলিশও সকাল থেকেই বিভিন্ন জায়গায় ব্যারিকেড করে রেখেছিল। রাস্তায় মোতায়েন ছিল প্রচুর পুলিশ। রাজ্য বিজেপির মিডিয়া সেলের ইনচার্জ সপ্তর্ষি চৌধুরী ডয়চে ভেলের কাছে অভিযোগ করেন, ''পুলিশ বিভিন্ন জেলা থেকে বিজেপি কর্মীদের কলকাতায় ঢুকতেই দিচ্ছে না। বিভিন্ন জায়গায় তাদের আটকে দেওয়া হচ্ছে। গ্রেফতার করা হচ্ছে।''
এ দিকে বুধবার বিকেলেই নোটিশ দিয়ে দুই দিন নবান্ন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত জানায় সরকার। নোটিশে বলা হয় স্যানিটাইজ করা হবে বলে নবান্ন বন্ধ রাখা হচ্ছে। সপ্তাহের মাঝখানে এ ভাবে নবান্ন বন্ধের সিদ্ধান্ত নজিরবিহীন। বিজেপির দাবি, ভয় পেয়েই সরকার নবান্ন বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা মুকুল রায় ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ''যুব মোর্চার মিছিলের ভয়েই মমতা নবান্ন বন্ধ করে দিয়েছেন। এমন ঘটনা রাজ্যের ইতিহাসে কখনও ঘটেনি।''
বিজেপিকে চিনে নিন
ভারতে অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপি৷ বর্তমানে জাতীয় ও রাজ্যস্তরে সর্বাধিক প্রতিনিধিত্ব রাখা দলটি সদস্য সংখ্যায় বিশ্বের বৃহত্তম৷ ঐতিহাসিকভাবে হিন্দু-জাতীয়তাবাদী অবস্থানের বিজেপির গল্প এই ছবিঘরে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/R. K. Singh
আদর্শগত উৎস
বিজেপিকে চিনতে হলে ‘সংঘ পরিবার’-এর অন্তর্গত হিন্দু জাতীয়তাবাদী সংগঠনগুলির উৎস আরএসএস অর্থাৎ রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘকে জানা দরকার৷ বিশ্বের বৃহত্তম এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা মারাঠি চিকিৎসক কেশব হেডগেওয়ার৷ ১৯২৫ সালে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন তিনি৷ ভি ডি সাভারকরের ‘হিন্দুত্ব’ চিন্তাধারায় অনুপ্রাণিত হয়ে হিন্দু রাষ্ট্র নির্মাণই আরএসএস-এর প্রধান উদ্দেশ্য৷
ছবি: picture alliance/AP Photo
স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে দূরত্ব
কংগ্রেসের নেতৃত্বে চলা ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে দূরে ছিল আরএসএস৷ ১৯৪০-এর দশকে সংগঠনের নেতা হিসেবে এম এস গোলওয়ালকর হিন্দু রাষ্ট্র গড়তে ব্রিটিশ বিরোধিতার বদলে ধর্ম ও সংস্কৃতি রক্ষার ডাক দেন৷ উল্লেখ্য, পরবর্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়া অটলবিহারী বাজপেয়ী ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনের সময় সত্যাগ্রহীদের সাথে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন৷ লিখিত মুচলেকা দিয়ে আন্দোলনে জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে ছাড়া পান তিনি৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/M.Desfor
দেশভাগ ও আরএসএস
দেশভাগের সময় আরএসএস পশ্চিম পাঞ্জাব থেকে আসা হিন্দু উদ্বাস্তুদের সাহায্য করে৷ আরএসএস ও বর্তমানের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির কর্মীরা মনে করেন, দেশভাগ মুসলিমদের প্রতি নরম আচরণের ফল৷ এজন্য গান্ধী ও নেহরুকে বিশেষভাবে দায়ী মনে করেন তাঁরা৷ স্বাধীনতার পর কংগ্রেসকে ঠেকাতে ১৯৫১ সালে জনসংঘ প্রতিষ্ঠা করেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়৷ সেই জনসংঘই আসলে বিজেপির উৎস৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo
জরুরি অবস্থা ও জনতা পার্টির জন্ম
১৯৭৫ সালে ইন্দিরা গান্ধী জরুরি অবস্থা জারি করেন৷ বিক্ষোভে অংশ নেয়ার কারণে জনসংঘের অসংখ্য সমর্থককে গ্রেপ্তার করা হয়৷ ১৯৭৭ সালে জরুরি অবস্থা শেষে অনুষ্ঠিত হয় নির্বাচন৷ কংগ্রেসকে হারাতে অন্যান্য দলের সঙ্গে মিলে যায় জনসংঘ, জন্ম নেয় জনতা পার্টি৷ নির্বাচনে জিতেও যায় জনতা পার্টি৷ প্রধানমন্ত্রী হন মোরারজি দেশাই৷ স্বাধীন ভারতে সূচিত হয় হিন্দুত্ববাদীদের প্রথম গুরুত্বপূর্ণ জয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
বিজেপির জন্ম
১৯৮০’র পর দল ও আরএসএসের দ্বৈত সদস্য হবার বিধান না থাকায় জন্ম নেয় ভারতীয় জনতা পার্টি৷ নতুন দলে নতুন সদস্য যোগ দিলেও, গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিল পুরোনোদের দাপট৷ প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হন বাজপেয়ী৷ মূলত, ইন্দিরা হত্যার পর ভোটে খারাপ করার কারণেই নেতৃত্বে এই পরিবর্তন৷ তবে বিজেপির উত্থান শুরু ১৯৮৪ সালে৷ সে বছর দলের সভাপতি হন লালকৃষ্ণ আডবানি৷ রাম জন্মভূমির দাবিকে ঘিরে তাঁর নেতৃত্বেই শক্তিশালী হতে থাকে বিজেপি৷
ছবি: Getty Images/AFP/Raveendran
ধর্মভিত্তিক রাজনীতি ও বাবরি মসজিদ
নব্বইয়ের দশকের শুরু থেকেই বিজেপি সরাসরি ধর্মের রাজনীতিতে নামে৷ বাবরি মসজিদের জায়গায় রাম মন্দির গঠনের দাবিতে সারা দেশ থেকে অযোধ্যার পথে রওয়ানা দেয় হাজার হাজার ‘করসেবক’৷ পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ফলে বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে উত্তেজিত জনতা বাবরি মসজিদ ভেঙে ফেলে৷ এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় নিহত হন দু’ হাজারেরও বেশি মানুষ৷
ছবি: Getty Images/AFP/D .E. Curran
সরকার গঠন ও জোটের রাজনীতি
সাম্প্রদায়িক আবেগকে হাতিয়ার করে ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে বিজেপি ১৬১টি লোকসভা আসনে জয়ী হয়৷ প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেন অটলবিহারী বাজপেয়ী৷ কিন্তু ১৩ দিন পর, লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে ব্যর্থ হওয়ায় সরকার গঠন করতে পারেনি বিজেপি৷ ১৯৯৬ সালে আঞ্চলিক দলগুলির একটি জোট সরকার গঠন করে৷ কিন্তু সেই সরকারের স্থায়িত্ব দীর্ঘ হয়নি৷ ১৯৯৮ সালে আবার নির্বাচন হয়৷
ছবি: UNI
প্রথম এনডিএ সরকার
নির্বাচনে জিতে বিজেপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ) সরকার গড়ে৷ জোটে অংশগ্রহণ করে সমতা পার্টি, অকালী দল, শিব সেনা, নিখিল ভারত আন্না দ্রাবিড় মুন্নেত্র কড়গম (এআইএআইডিএমকে), বিজু জনতা দল ও শিব সেনা৷ ১৯৯৯ সালে তাঁরা সংসদে ৩০৩টি আসন জিতলে বাজপেয়ী তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন৷ পাঁচ বছরের পূর্ণমেয়াদী এই জোট সরকার প্রতিরক্ষা ও সন্ত্রাসের মোকাবিলার পাশাপাশি নব্য-উদার অর্থনীতির ওপর জোর দেয়৷
ছবি: Imago/photothek/T. Koehler
দুর্নীতি ও দাঙ্গায় কোণঠাসা বিজেপি
বিজেপির জয়রথে প্রথম ‘বাধা’ গোধরা দাঙ্গা৷ তীর্থযাত্রীবাহী ট্রেনে আগুন লাগাকে ঘিরে প্রায় ২০০০ মানুষ মারা যান৷ তৎকালীন গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীসহ আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিজেপি নেতার নাম এই দাঙ্গার সাথে জড়ায়৷ বিজেপি-প্রধান বঙ্গারু লক্ষ্মণের বিরুদ্ধে ওঠে দুর্নীতির অভিযোগ৷ সব মিলিয়ে বিপন্ন বিজেপিকে হারিয়ে কংগ্রেসের নেতৃত্বে ইউপিএ জোট ২০০৪ সালে নতুন সরকার গড়ে৷ প্রধানমন্ত্রী হন মনমোহন সিং৷
ছবি: AP
নেতৃত্বে কে? মোদী, না আডবাণী?
২০১৪’র লোকসভা নির্বাচনে জেতার পর নরেন্দ্র মোদীকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনীত করে বিজেপি৷ অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, দলের নেতৃত্বের দায়ভার বর্ষীয়ান নেতা এল কে আডবানির ওপর বর্তানোর কথা উঠলেও, বাস্তবে তা হয়নি৷
ছবি: AP
মোদীর উত্থান
বিজেপির ইতিহাসে ব্যক্তিকেন্দ্রীক নির্বাচনী প্রচার মোদীর ক্ষেত্রেই প্রথম৷ পূর্ববর্তী সরকারের দুর্নীতির সুযোগ নিয়ে মোদীর ‘গুজরাট মডেল’-কে আদর্শ হিসেবে তুলে ধরা হয় প্রচারে৷ সুবক্তা মোদী শীঘ্রই হয়ে ওঠেন তরুণ প্রজন্ম থেকে সংবাদমাধ্যম, সকলের প্রিয়পাত্র৷ নির্বাচনের আগে বিজেপি হিন্দু জাতীয়তাবাদকে যতটা সম্ভব এড়িয়ে গেলেও, মোদীর প্রাক-নির্বাচন বক্তব্যের বড় অংশ জুড়েই ছিল ‘হিন্দুত্ব’৷
ছবি: picture alliance/AA/M. Aktas
মোদী থেকে ‘মোদীজি’
২০১৪ সালে বিজেপি ২৮২টি আসন জিতে ক্ষমতায় আসে৷ ভোটারদের কংগ্রেসের প্রতি অনাস্থার পাশাপাশি বিজেপির সাফল্যের আরেকটি কারণ ছিল আরএসএসের নিঃশর্ত সমর্থন৷ নরেন্দ্র মোদীই হন প্রধানমন্ত্রী৷ পিউ গবেষণা কেন্দ্রের একটি সমীক্ষা জানাচ্ছে, প্রথম বছরের তুলনায় বর্তমানে মোদীর জনপ্রিয়তা আরো বেড়েছে, যা ২০১৯-র নির্বাচনে কংগ্রেস-সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলির জন্যও নিঃসন্দেহে ভাবনার বিষয়৷
ছবি: Reuters
12 ছবি1 | 12
একদিকে বিশাল পুলিশ বাহিনী, অন্য দিকে বিজেপি কর্মীদের মিছিল। সকাল থেকেই উত্তেজনার পারদ চড়ছিল কলকাতায়। তবে বেলা ১২ টা নাগাদ তা চরমে পৌঁছয়। হাওড়ার সাঁতরাগাছিতে প্রথম পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে দেয় যুব মোর্চার একটি মিছিল। পাল্টা কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। একই সঙ্গে জল কামান ব্যবহার করা হয়। প্রায় একই সময়ে কলকাতার হেস্টিংসে দ্বিতীয় মিছিল পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙে। সেই মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির প্রথম সারির নেতৃত্ব। সহ সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন মিছিলের সামনে। অভিযোগ, সেই মিছিল ব্যারিকেড ভাঙার পরেই জলকামান থেকে রং মেশানো জল স্প্রে করতে শুরু করে পুলিশ। বিজেপির অভিযোগ, ওই জলে কেমিক্যাল মেশানো হয়েছে। রাজু জল কামানে আহত হয়ে রাস্তায় বসে পড়েন। অভিযোগ, জলে মেশানো কেমিক্যাল থেকে তাঁর রক্ত বমি হতে শুরু করে। বাইপাসের ধারে একটি হাসপাতালে তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশের লাঠির আঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন বিজেপির উত্তর কলকাতার নেতা রাকেশ সিং। তাঁকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, বিজেপি কর্মীরা ব্যারিকেড ভাঙার পরেই তাঁদের উপর জল কামান চালানো হয়েছে। জলে খারাপ কেমিক্যাল ব্যবহারের অভিযোগও পুলিশ অস্বীকার করেছে। পুলিশের অভিযোগ, হেস্টিংস, হাওড়া ব্রিজ এবং হাওড়া ময়দানের মিছিল থেকে বিজেপি কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট, বোতল ছুড়তে থাকে। হাওড়া ময়দানে বোমাবাজিও হয়েছে। পুলিশও পাল্টা বেধরক লাঠিচার্জ করে। হেস্টিংসের মিছিলে আহত হয়েছেন সর্বভারতীয় বিজেপির গুরুত্বপূর্ণ নেতা অরবিন্দ মেনন। প্রতিবাদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির অদূরে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কৈলাস বিজয়বর্গীয় সহ গুরুত্বপূর্ণ নেতারা।
আসন্ন নির্বাচন নিয়ে উত্তাল রাজ্য। করোনাকালেও তৃণমূল এবং বিজেপি দুই পক্ষই রাস্তায় নেমে রাজনীতি করে যাচ্ছে। হাতরাসের ঘটনার পরে মিছিল করেছেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্য দিকে বিজেপিও নবান্ন অভিযানের বিশাল আয়োজন করেছিল। উত্তেজনার পারদ চড়ছে বিভিন্ন জেলাতেও। প্রায় প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও সংঘর্ষ হচ্ছে। প্রাণহানি ঘটছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক অনির্বাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, শাসক দলের মদতেই প্রতিদিন সংঘর্ষ হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী কোনো পদক্ষেপ করছেন না। রাজ্যে অশান্তি সৃষ্টি করে বিজেপিকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করছেন মুখ্যমন্ত্রী। অন্য দিকে বিজেপিও পাল্টা সংঘর্ষের পথ বেছে নিচ্ছে।