1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিজেপিতে নতুন নেতৃত্বের শুরু

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি১১ জুন ২০১৩

ভারতের বিজেপি দলের গোয়া সম্মেলনে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে দলীয় নির্বাচনী কমিটির প্রধান ঘোষণা করে দল বুঝিয়ে দেয়, বাজপেয়ী-আডবানির জমানা শেষ৷ আগামী বিধানসভা এবং সংসদীয় নির্বাচনে মোদীর হাতে থাকবে দলের লাগাম৷

ছবি: AP

গোয়ায় বিজেপির বিশেষ অধিবেশনে পুরানো নেতৃত্বের অবসান, নতুন নেতৃত্বের উত্থান৷ দলের মশালবাহক এখন নতুন প্রজন্মের নেতা নরেন্দ্র মোদী৷ দলের বর্ষিয়ান নেতা এবং ১৯৯২ সালে বিজেপির রামমন্দির আন্দোলনের হোতা লালকৃষ্ণ আডবানি এবং তাঁর সমর্থক কিছু বয়োজ্যেষ্ঠ নেতাদের আপত্তি সত্ত্বেও বিজেপি সভাপতি রাজনাথ সিং দলের নেতাকর্মীদের সম্মতিক্রমে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে দলের নির্বাচনী কমিটির চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন৷

এই ঘোষণাকে মেনে নিতে পারেননি আডবানি৷ শুরু হয় এই সিদ্ধান্তকে ঘিরে দলের অন্দরমহলে বিতর্কের ঝড়৷ আডবানি মনে করেন, দলের ডিএনএ থেকে তাঁকে যেভাবে মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছে, তাতে দলের সব পদ থেকে সরে দাঁড়ানোই শ্রেয়৷ এতে দলের মেরুকরণ এখন প্রকাশ্যে এসে পড়েছে৷

আডবানি বিজেপির সব পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেনছবি: picture-alliance/AP

পর্যবেক্ষকদের মতে, আগামী বছর সাধারণ নির্বাচন৷ তার আগে চারটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন৷ বিজেপি এখন চলেছে এক রূপান্তরের মধ্য দিয়ে৷ তাতে দলের মেরুকরণেও আপত্তি নেই৷ সেটাই হয়েছে এখন৷ দলের সভাপতি রাজনাথ সিং-এর মতে, ২০০৪ এবং ২০০৯ সালে দলের পরাজয়ের পর মোদীকে নির্বাচনের বৈতরণী পারের কাণ্ডারি করে কোনো ভুল করেননি৷ বিশেষ করে কংগ্রেস যখন অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, মুদ্রাস্ফীতি, দুর্নীতি এবং অর্থনৈতিক নিম্নগতি ঠেকাতে ব্যর্থ৷ আশা, সেই সুযোগ কাজে লাগাতে সক্ষম হবেন মোদী৷

উল্লেখ্য, ১৯৬৯ সালে কংগ্রেসকেও যেতে হয়েছিল একই পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে৷ প্রবীণ গোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গে সংঘাতে প্রয়াত ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বে নতুন প্রজন্ম কংগ্রেসের হাল ধরেন৷ বিভাজন সত্ত্বেও ইন্দিরা গান্ধীর কংগ্রেসই শেষপর্যন্ত পরিচিত হয় আসল কংগ্রেস হিসেবে৷

দলকে সঞ্জীবিত করে আসন্ন নির্বাচনী লড়াই-এ দলের মুখ হিসেবে মোদীকে তুলে ধরা হলো কেন? রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, দক্ষ প্রশাসন এবং উন্নয়ন, এই দুটি শব্দকেই মন্ত্র করে মোদী দলকে জিতিয়ে আনার ক্ষমতা রাখেন৷ সেটা কিছুটা করেও দেখিয়েছেন তিনি৷ তিন তিনবার গুজরাটে দলকে জিতিয়ে এনেছেন৷ ‘বিকাশ পুরুষ'-এর খেতাবও পেয়েছেন৷ সেই মন্ত্রেই মোদী ২০১৪ সালের সংসদীয় নির্বাচনে বিজেপিকে আবার ক্ষমতায় আনতে পারবেন – এমনটাই দলের প্রত্যাশা৷

এই প্রত্যাশা পূরণে মোদীর সামনে একাধিক চ্যালেঞ্জ৷ প্রথম চ্যালেঞ্জ মোদীর ভাবমূর্তি৷ হিন্দুত্ববাদী এবং স্বৈরাচারীর তকমা তাঁকে ঝেড়ে ফেলতে হবে যেন তেন প্রকারের৷ দেখাতে হবে তিনি স্বৈরাচারী নন৷ দলকে নিয়ে চলার ক্ষমতা আছে৷ নবীন প্রজন্মের সঙ্গে তাঁর রসায়ন হতে হবে হৃদ্যতাপূর্ণ৷ জানতে হবে শরীক দলগুলিকে কাছে টানার কৌশল৷

এতে সফল হবার পর মোদীর সামনে পাখির চোখ হবে তখন ৭ নম্বর রেসকোর্স, অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রীপদ৷ দল থেকে যদিও প্রধানমন্ত্রী পদে মোদীর নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষিত হয়নি, তবু মোদী যে হবেন দলের প্রধানমন্ত্রীর মুখ, সেটা একরকম নিশ্চিত৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ