বিজ্ঞানীদের নতুন আবিষ্কার সিনথেটিক গ্যাস
২২ জানুয়ারি ২০০৯![](https://static.dw.com/image/2460105_800.webp)
অস্ট্রিয়ার বিজ্ঞানীরা তৈরি করেছেন বিকল্প এক ধরনের সিনথেটিক প্রাকৃতিক গ্যাস৷
রাশিয়া গ্যাস সরবরাহ সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়ায় অস্ট্রিয়া খুব বিপাকে পড়েছিল৷ তাই অস্ট্রিয়ার প্রকৌশলীরা প্রাকৃতিক গ্যাসের বিকল্প হিসেবে কাঠ থেকে সিনথেটিক গ্যাস উৎপাদন করার চেষ্টায় নেমে পড়েন৷ ইতিমধ্যে তাঁরা সফলও হয়েছেন৷ তাদের মডেল উৎপাদন কেন্দ্রে এখন এই সিনথেটিক গ্যাস উৎপাদন করা হচ্ছে৷
অস্ট্রিয়ার পূর্বাঞ্চলের গ্যুসিং নামের এক গ্রামীন এলাকায় অবস্থিত ইউরোপীয়ান সেন্টার ফর রিনিওবল এনার্জি সুইস এবং অস্ট্রিয়ান বিজ্ঞানীদের সাহায্যে গত ডিসেম্বর মাসে প্রথম গবেষণাগারের বাইরে সিনথেটিক প্রাকৃতিক গ্যাস তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে৷ কেন্দ্রের মুখপাত্র ক্রিস্টিয়ান কেগলোভিটস জানিয়েছেন, প্রয়োগ করা পদ্ধতিতে পুর্ব্যবহারযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ থেকেই এই সিন্থেটিক গ্যাস উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে৷
গাছ থেকে গ্যাস তৈরি হয় দুটি ধাপে৷ প্রথমত, ৯০০ ডিগ্রি তাপ দিয়ে কাঠের টুকরো গ্যাসে পরিণত করা হয়৷ দ্বিতীয়ত, ঐ গ্যাসকে মিথেন গ্যাসে রূপান্তরিত করা হয়৷ আর এই মিথেন ঘর গরম রাখার জন্য ও গাড়ির জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করা যায়৷
গ্যুসিং-এর পাইলট প্রকল্পে গ্যাস উৎপাদনের জন্য আশপাশের বনজঙ্গলের শুধু পুরনো আর রুগ্ন গাছই ব্যবহার করা হচ্ছে৷ বর্তমানে সেখানে প্রতি ঘন্টায় ৩৬০ কেজি কাঠ থেকে ১২০ ঘনমিটার গ্যাস তৈরি হচ্ছে৷ যা ঘর গরম রাখার জন্য ব্যবহৃত ১২০ লিটার তেল অথবা ১২০০ কিলোয়াট ঘন্টা জ্বালানির সমান৷ গ্যুসিং-এর এই প্রকল্পটি অবশ্য বেশ ছোট৷ এত ছোট যে তা থেকে লাভ করা সম্ভব নয়৷ তবে এই সিন্থেটিক প্রাকৃতিক গ্যাস সম্পর্কে আগ্রহ দেখিয়েছে সুইডেন আর জার্মানি৷ তবে তারা চায় অনেক বড় প্রকল্প যেখানে ১০০ মেগাওয়াট জ্বালানি উৎপাদন করা সম্ভব হবে৷
বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীরা অবশ্য মাত্রাধিক বড় গ্যাস প্রকল্প তৈরিতে আগ্রহী নন৷ বেশি বড় হলে কাঠবাহী ট্রাকের আনাগোনাও বেড়ে যাবে৷ তৈরি হবে যানজট৷ এটা তাঁরা চান না৷ তবে এই সিন্থেটিক গ্যাস রাশিয়া বা অন্যত্র থেকে গ্যাস সরবরাহের পূর্ণ বিকল্প হয়ে উঠবে এমন সম্ভাবনা আপাতত নেই৷