1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিজয়ের দিনে শুধু সাফল্যের কথাই ভাবতে চাই

জাহিদুল হক১৫ ডিসেম্বর ২০১৪

বছর ঘুরে আবার এসেছে বিজয় দিবস৷ মনের মাঝে ভেসে উঠছে সেই ছবি – পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পন করছে, আর বিজয়োল্লাস করছে মুক্তিযোদ্ধা সহ সাধারণ বাঙালি জনতা৷

Infolady Projekt gewinnt Global Media Forum Auszeichnung
ছবি: D.net/Amirul Rajiv

ক্ষণিকক্ষণ কেটে গেলো এভাবেই৷ মনে গেঁথে থাকা একাত্তরের নয় মাসের সংগ্রামের চিত্রও একে একে যেন দেখে ফেললাম৷ তারপর যখন বাস্তবে ফিরে এলাম, তখন বর্তমান নিয়ে ভাবনাটা হঠাৎই উঁকি দিল৷ কেমন আছে বাংলাদেশ? কেমন করছে আমার প্রিয় মাতৃভূমি? একটুও বাড়িয়ে বলব না যে, যখনই বর্তমান নিয়ে ভাবতে গেলাম প্রথমেই মনে হলো বাংলাদেশের অগ্রগতির কথা৷ আসলেই তো, একাত্তরের বাংলাদেশ আর এখনকার বাংলাদেশের মধ্যে তো তফাৎ অনেক! এবং সেটা ইতিবাচক৷

৪৩ বছর অনেক সময়৷ এর মধ্যে একটা দেশে নিয়ম অনুসারে আমূল পরিবর্তন আসবে, সেটাই স্বাভাবিক৷ তবে আশার কথা হলো, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ব্যর্থতার চেয়ে সাফল্যের মাত্রাটাই বেশি৷ তাই হয়ত আমার মতো সাধারণ মানুষের কাছে বাংলাদেশের অগ্রগতির কথাটাই আগে মনে আসছে৷

বস্ত্রশিল্পে কাজ পেয়েছেন বহু নারীছবি: DW/Harun Ur Rashid Swapan

নিজের জীবন দিয়েই উপলব্ধি করতে পারি সেটা৷ বাবার চাকরি সূত্রে আমরা থাকতাম বাংলাদেশের এক প্রান্তে৷ আর দাদা-নানারা থাকতেন আরেক প্রান্তে৷ ফলে বছরে একবার ছুটিতে আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে দেখা করতে অনেকটা পথ যেতে হতো৷ এই সময় ফেরিতে করে তিনটা নদী পাড়ি দিতে হতো৷ এ কারণে সকালে যাত্রা শুরু করে কখনো এক বারে বাড়ি পৌঁছাতে পারতাম না৷ মাঝে একদিন কোথাও বিরতি দিতে হতো৷ আশির দশকের শেষের দিকের কথা সেটা৷ যতদূর মনে পড়ে নব্বইয়ের শুরুতেও তেমনই ছিল৷ আর এখন? গাড়িতে করেই সব নদী পাড় হওয়া যায়৷ এখন সকালে রওয়ানা দিয়ে বিকেলের মধ্যেই চলে যাওয়া যায়!

এবার আসি মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তনের কথায়৷ আগে ঘরবাড়িতে কাজেকর্মে সহায়তার জন্য সহজেই কাউকে না কাউকে পাওয়া যেত৷ কিন্তু এখন বেশি বেতন দেয়ার কথা বললেও কাজ হয় না৷ লোক পাওয়া যায় না৷ গ্রামাঞ্চলে মহিলারা এখন নিজেরাই সাবলম্বী হয়ে উঠছেন৷ কোনো কোনো পরিবার তো চালাচ্ছেন নারীরাই৷ শুধু তৈরি পোশাক খাত কর্মী হিসেবেই নয়, গ্রামে নিজ নিজ এলাকায় তাঁরা বিভিন্ন আর্থিক কর্মকাণ্ডেও যুক্ত হচ্ছেন৷

আজকাল পত্রপত্রিকায় বিজ্ঞাপনের একটা বড় অংশ জুড়ে থাকে ফ্ল্যাট, অ্যাপার্টমেন্ট ক্রয়-বিক্রয়ের খবর৷ কয়েকবছর ধরে এসবের দাম বাড়লেও ক্রেতা কিন্তু কমছে না৷ এটা কি অগ্রগতির লক্ষণ নয়! তারপর আছে জিনিসপত্রের বাড়তি দাম৷ কিন্তু তাই বলে কি থেমে আছে কেনাকাটা?হয়ত মানুষের কষ্ট হচ্ছে কিনতে, কিন্তু যে হারে দাম বেড়েছে সে হারে যদি মানুষের আয় না বাড়তো, তাহলে তো আর কেনাকাটার সামর্থ্যই থাকতো না৷

জাহিদুল হকছবি: DW/Matthias Müller

একটা সময় ছিল তরুণরা শুধু চাকরির পেছনে ছুটতো৷ কিন্তু এখন নিজেরাই ব্যবসা করছে৷ এতে নিজের লাভ তো হচ্ছেই, সঙ্গে কর্মসংস্থান হচ্ছে আরও কয়েকজনের৷ এভাবে অগ্রগতির তালিকাটা আরও দীর্ঘ করা যেতে পারে৷

তাই বলে কি ব্যর্থতা নেই? হ্যাঁ, সেটা তো থাকবেই৷ কিন্তু আজ বিজয়ের দিনে সেটা না হয় নাই ভাবলাম৷ হাঁটি হাঁটি পা পা করে জন্মভূমিটা যে এগিয়ে যাচ্ছে, সেই ভাবনা নিয়েই কাটাতে চাই আজকের দিনটা৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ