1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রোলিং স্টোন্স

১২ জুলাই ২০১২

দুটি ব্রিটিশ পপ ব্যান্ডই কিংবদন্তি৷ এবং সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় না নেমেও দু’টি গোষ্ঠী চিরকালই একে অপরের তুলনা৷ আজ থেকে ৫০ বছর আগে মিক জ্যাগার এবং তাঁর সাঙ্গরা প্রথমবার গানের দল হিসেবে অবতীর্ণ হন৷

The Rolling Stones perform at Gillette Stadium in Foxborough, Mass., on Wednesday, Sept. 20, 2006 as they kick off the second half of their A Bigger Bang Tour in the United States. (AP Photo/Robert E. Klein)
ছবি: AP

দিনটা ছিল ১২ই জুলাই, ১৯৬২৷ স্থান: লন্ডনের অক্সফোর্ড স্ট্রিটের মার্কি ক্লাব৷ দল হিসেবে রোলিং স্টোন্স সেখানেই প্রথম গায়৷ অবশ্য ব্যান্ডের সূচনায় ছিল গায়ক মিক জ্যাগার এবং গিটারবাদক কিথ রিচার্ডস'এর মধ্যে ছেলেবেলাকার বন্ধুত্ব৷ একই স্কুলেও যেতো দু'জনে৷ পরে দুই পরিবার অন্যত্র চলে যাওয়ায় দুই বন্ধুর মধ্যে সাময়িকভাবে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়৷

পরের তারিখ: ১৯৬১ সালের ১৭ই অক্টোবর৷ মিক এবং কিথ, দু'জনেরই বয়স তখন ১৮৷ হঠাৎই দেখা ব্র্যাডফোর্ড রেলওয়ে স্টেশনে৷ মিক যাচ্ছেন লন্ডন স্কুল অফ ইকনমিক্সে পড়তে, ছাত্র হিসেবে৷ আর কিথ ইলেকট্রিক গিটার হাতে চলেছেন সিডকাপ আর্ট কলেজে৷ এই সাক্ষাৎ থেকে যে রক 'অ্যান' রোল ব্যান্ডটির পত্তন হয়, তার নাম রোলিং স্টোন্স৷

নামটা দিয়েছিলেন আরেক সদস্য ব্রায়ান জোন্স, যিনি পরে সুইমিং পুলে ডুবে মারা যান৷ যুক্তরাষ্ট্রের সুবিখ্যাত রোলিং স্টোন ম্যাগাজিনের মতো এই নামটিও মাডি ওয়াটার্স গোষ্ঠীর বিখ্যাত ব্লুজ গানটি থেকে নেওয়া৷

ড্রামার চার্লি ওয়াটস দলের প্রথম আবির্ভাবে না থাকলেও, তার স্বল্প পরেই যোগদান করেন৷ আজ ৫০ বছর পরে এবং বিশ কোটি অ্যালবাম বেচার পরেও রোলিং স্টোন্সে মিক জ্যাগার, কিথ রিচার্ডস এবং চার্লি ওয়াটস'কে পাওয়া যাবে৷

বিটলস'এর সৃজনীশক্তি এবং প্রতিভা সম্পূর্ণ আলাদা, এবং রোলিং স্টোন্স'কে অ্যান্টি-এস্ট্যাবলিশমেন্ট বা কর্তৃত্ব-বিরোধী ভাবার কোনো কারণ নেই৷ মিক জ্যাগার কোনোদিনই জন লেনন'এর মতো হোটেলের বিছানায় শুয়ে শান্তির জন্য গান গাননি৷ জ্যাগারের মধ্যবিত্ত ইংরিজিতে শ্রমিক শ্রেণির কোনো রেশ পাওয়া যাবে না৷

কিন্তু স্টোন্স'দের যেমন একটি নিজস্ব সাউন্ড আছে, সেরকম তারা দশকের পর দশক ধরে ডিস্কো, রেগে, পাংক, সব সাউন্ডকেই মিশিয়ে নিতে পেরেছে৷ আর থাকছে তাদের মঞ্চশৈলী, তা সে মিক জ্যাগারের অননুকরণীয় লাফঝাঁপই হোক, কিংবা কিথ রিচার্ডস'এর গেঁটে আঙুলে গিটারবাদনই হোক৷ নয়তো ‘‘স্যাটিসফ্যাকশন'', ‘‘জাম্পিন' জ্যাক ফ্ল্যাশ'' বা ‘‘ব্রাউন সুগার'' আজও আমাদের মন মাতাবে কেন?

এসি / জেডএইচ (ডিপিএ, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ