বিলটির মাধ্যমে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের নিয়ন্ত্রণ রাজনীতিক ও রাজনৈতিক দলগুলির হাতে চলে যাবে – পোল্যান্ডের হাজার হাজার মানুষ যার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন৷ বিলটি এখন সংসদের উচ্চকক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষ৷
বিজ্ঞাপন
ক্ষমতাসীন ‘আইন ও বিচার দল' বা ‘পিস' সুপ্রিম কোর্টের সংস্কারের এই বিতর্কিত প্রস্তাবটি পেশ করে৷ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিলটি সংসদের নিম্নকক্ষে অনুমোদিত হয়৷ রাজধানী ওয়ারশয় হাজার হাজার আন্দোলনকারী এই বিলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন৷
বিক্ষোভের উদ্যোক্তারা প্রেসিডেন্টের বাসভবনের সামনে ৫০,০০০ মানুষের সমাবেশের কথা বললেও, পুলিশ ১৪,০০০ বিক্ষোভকারীর কথা বলেছে৷ বিক্ষোভকারীদের দাবি, প্রেসিডেন্ট আঞ্জ্রেই দুদা যেন আইনটিতে স্বাক্ষর না করেন৷
নতুন আইন সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগে সরকারের প্রভাব বৃদ্ধি করবে – যার ফলে বিচারবিভাগের নিরপেক্ষতার অন্ত ঘটবে, বলে বিলটির সমালোচকদের আশঙ্কা৷
ব্রেক্সিটের পর ইউরোপ-প্রেম বাড়ছে
ব্রেক্সিট নিয়ে গণভোটের এক বছর পর ইইউ সম্পর্কে ব্রিটেন তথা ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলির মানুষের মনোভাব অনেক ইতিবাচক হয়ে উঠেছে৷ ‘দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা বোঝা যায় না’ – এই প্রবাদ ফলে যাচ্ছে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/M. Schreiber
শীর্ষে জার্মানি ও ফ্রান্স
ইউরোপীয় ইউনিয়নের চালিকা শক্তি বলে পরিচিত দেশ জার্মানি (৬৮ শতাংশ) ও ফ্রান্সের মানুষ (৫৬ শতাংশ) কিছু সমালোচনা ও সংশয় সত্ত্বেও বরাবর ইইউ সম্পর্কে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন৷ ব্রেক্সিট গণভোটের পর সেই সমর্থন আরও ১৮ শতাংশ বেড়ে গেছে৷ পিউ রিসার্চ সেন্টারের এক সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে৷
ছবি: Reuters/H.Hanschke
ব্রিটেনের ভোলবদল
গণভোটে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগ করার রায় দেওয়ার পর ব্রিটেনের অনেক মানুষের টনক নড়েছে৷ এখন ৫৪ শতাংশ মানুষ ইইউ সম্পর্কে ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছেন৷ অর্থাৎ এক ধাক্কায় সমর্থন ১০ শতাংশ বেড়ে গেছে৷ তবে তার ফলে ইইউ থেকে বিচ্ছেদের প্রক্রিয়ায় নড়চড় হবার সম্ভাবনা কম৷
ছবি: Getty Images/AFP/J. Tallis
পোল্যান্ড ও হাঙ্গেরি
কট্টর জাতীয়তাবাদী ও ইইউ-বিরোধী সরকার ক্ষমতায় থাকা সত্ত্বেও পোল্যান্ড (৭৪ শতাংশ) ও হাঙ্গেরির মানুষ (৬৭ শতাংশ) কিন্তু সমীক্ষায় ইইউ সম্পর্কে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন৷ বাকি অনেক দেশের তুলনায় তাঁরা বরং এ ক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছেন৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/M. Schreiber
অর্থনৈতিক উন্নয়নের সুফল
মন্দার ধাক্কা সামলে ইউরোপের অনেক দেশ অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে৷ যেমন নেদারল্যান্ডসের ৮৭ শতাংশ মানুষ এর ফলে সন্তুষ্ট৷ জর্জরিত অর্থনীতি আবার চাঙ্গা হয়ে ওঠায় স্পেনের মানুষের মধ্যেও ইইউ সম্পর্কে উৎসাহ অনেক বেড়ে গেছে৷
ছবি: Getty Images/T. Lohnes
গ্রিস ও ইটালিতে হতাশা
অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত দেশ গ্রিসের মানুষ এখনো ভবিষ্যৎ নিয়ে হতাশায় ভুগছেন৷ তাই ইউরোপ সম্পর্কে মাত্র ৩৩ শতাংশ মানুষ তাঁদের উৎসাহ প্রকাশ করেছেন৷ ইটালির অর্থনীতির অবস্থাও ভালো নয়৷ তবে তা সত্ত্বেও সেখানে ৫৬ শতাংশ মানুষ ইইউ-বান্ধব বলে সমীক্ষায় উঠে এসেছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/L. Gouliamaki
শরণার্থী সংকট
তুরস্কের সঙ্গে ইইউ-র চুক্তির কারণে শরণার্থীর ঢল কমে যাওয়ায় ইউরোপের অনেক মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন৷ তাঁদের অনিশ্চয়তার সুযোগ নিয়ে বেশ কিছু ‘পপুলিস্ট’ দল ইউরোপবিরোধী আবেগ সৃষ্টি করার চেষ্টা চালিয়ে এসেছে৷ পরিস্থিতির উন্নতির ফলে তাদের প্রতি সমর্থন অনেক কমে গেছে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/L. Pitarakis
6 ছবি1 | 6
পিস-নিয়ন্ত্রিত সংসদের নিম্নকক্ষে ২৩৫ জন বিধায়ক বিলটির পক্ষে ভোট দেন, বিপক্ষে পড়ে ১৯২টি ভোট৷ বিলটি এখনও সংসদের উচ্চকক্ষে অনুমোদিত হতে হবে ও প্রেসিডেন্ট দুদাকে তা স্বাক্ষর করতে হবে৷ সেনেটের কমিশন শুক্রবারেই বিলটি অনুমোদন করবে, বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷
ইউরোপীয় ইউনিয়নের দুশ্চিন্তা
ইউরোপীয় পরিষদের প্রেসিডেন্ট ও সাবেক পোলিশ রাজনীতিকডোনাল্ড টুস্ক পোল্যান্ডের বিকাশধারা সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন – তবে পিস দলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত দুদা টুস্কের সঙ্গে দেখা করতে চাননি, বলে টুস্ক জানান৷
বৃহস্পতিবারের ভোটের পর টুস্ক আবার একটি বিবৃতির মাধ্যমে দুদার সঙ্গে সাক্ষাতের ইচ্ছা প্রকাশ করেন৷ টুস্ক বলেন যে, পোল্যান্ডের ইইউ-তে একঘরে হয়ে পড়ার ঝুঁকি আছে, কেননা পোল্যান্ডের পদক্ষেপসমূহ ইউরোপীয় মূল্যবোধের বিরোধী৷
নতুন আইন অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট সুপ্রিম কোর্টের কর্মপ্রক্রিয়া প্রভাবিত করার ও সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের নিয়োগ করার ক্ষমতা পাবেন৷ বিলে সুপ্রিম কোর্টের বর্তমান সব বিচারকের বরখাস্ত দাবি করা হয়েছে, এক প্রেসিডেন্ট যাদের নিয়োগ করেছেন, তারা ছাড়া৷
বিরোধীদের মতে, এই পদক্ষেপ আইনের শাসনের অন্ত ঘটাবে, কেননা বিচারবিভাগ রাজনৈতিক ক্ষমতাধারীদের দ্বারা প্রভাবান্বিত হবে, যার ফলে পোল্যান্ডে একটি অগণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা চালু হবে৷
ইউরোপের দক্ষিণপন্থিরা ঠিক কতটা উগ্র?
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে মন্দা, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন নীতি নিয়ে অসন্তোষ ও উদ্বাস্তু সংকটের ফলে ইউরোপ জুড়ে দক্ষিণপন্থি দলগুলির পালে হাওয়া লেগেছে৷
ছবি: picture alliance/dpa/T. Frey
ফ্রাউকে পেট্রি, অল্টারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি)
‘জার্মানির জন্য বিকল্প’ দলের নেত্রী ফ্রাউকে পেট্রির মতে সীমান্তে বেআইনি অনুপ্রবেশ রোখার শেষ পন্থা হিসেবে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করতে পারে, কেননা ‘‘সেটাই আইন’’৷ ইউরোনিন্দুক এএফডি দল ধীরে ধীরে সরকার তথা ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিরোধী একটি শক্তিতে পরিণত হয়েছে৷ ২০১৬ সালের মার্চের রাজ্য নির্বাচনে এএফডি ২৫ শতাংশ অবধি ভোট পায় ও চ্যান্সেলর ম্যার্কেলের নিজের প্রদেশের বিধানসভায় দ্বিতীয় বৃহত্তম গোষ্ঠী হয়৷
ছবি: Reuters/W. Rattay
মারিন ল্য পেন, ন্যাশনাল ফ্রন্ট (ফ্রান্স)
ব্রেক্সিট ও যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয় ফ্রান্সের ‘ফ্রঁ নাসিনাল’ বা ‘ন্যাশানাল ফ্রন্ট’-কে নতুন বেগ এনে দিতে পারে, বলে অনেকের ধারণা৷ জঁ-মারি ল্য পেন ১৯৭২ সালে দলটি প্রতিষ্ঠা করেন৷ মারিন তাঁর বাবার কাছ থেকে দলের ভার নেন ২০১১ সালে৷ ন্যাশানাল ফ্রন্ট বা জাতীয় ফ্রন্টকে একটি জাতীয়তাবাদী দল, যারা অভিবাসন ও ইইউ বিরোধী প্রচারণায় অনুরূপভাবে সোচ্চার৷
ছবি: Reuters
গের্ট উইল্ডার্স, পার্টি অফ ফ্রিডম (নেদারল্যান্ডস)
ওলন্দাজ স্বাধীনতা দলের নেতা গের্ট উইল্ডার্স ইউরোপের বিশিষ্টতম দক্ষিণপন্থি রাজনীতিকদের মধ্যে গণ্য৷ ২০১৪ সালে তিনি একটি প্রকাশ্য জনসভায় প্রশ্ন তোলেন, জনতা দেশে বেশি না কম মরক্কান চায়৷ এ জন্য তাঁকে আদালতে দোষী সাব্যস্ত করা হলেও, কোনো দণ্ড দেওয়া হয়নি৷ তাঁর দল ইইউ ও ইসলাম বিরোধী বলে পরিচিত৷ আগামী বছর নেদারল্যান্ডসে সংসদীয় নির্বাচন৷ জরিপে আপাতত উইল্ডার্সের দল এগিয়ে৷ বর্তমানে তাদের সংসদে ১৫টি আসন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/S. Koning
নিকোস মিচালোলিয়াকোস, গোল্ডেন ডন (গ্রিস)
নিকোস মিচালোলিয়াকোস গ্রিসের নিও-ফ্যাসিস্ট দল ‘সোনালি সকাল’-এর প্রধান৷ ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তাঁকে ও তাঁর দলের অন্যান্য বহু সতীর্থকে একটি অপরাধমূলক সংগঠন গঠনের দায়ে গ্রেপ্তার করা হয়৷ ২০১৫ সালের জুলাই মাসে নিকোস মিচালোলিয়াকোস-কে মুক্তি দেওয়া হয়৷ ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসের সংসদীয় নির্বাচনে ‘সোনালি সকাল’ ১৮টি আসন জয় করে৷ দলটি অভিবাসন বিরোধী ও রাশিয়ার সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তির পক্ষপাতী৷
ছবি: Angelos Tzortzinis/AFP/Getty Images
গাবোর ভনা, জবিক (হাঙ্গেরি)
হাঙ্গেরির অভিবাসন বিরোধী ও অর্থনৈতিক সংরক্ষণবাদী দল জবিক ২০১৮ সালের মধ্যে সরকারগঠনে সংশ্লিষ্ট হওয়ার আশা রাখে৷ তারা ইতিমধ্যেই হাঙ্গেরির তৃতীয় বৃহত্তম দল, ২০১৪-র নির্বাচনে তারা ২০ শতাংশ ভোট পেয়েছিল৷ জবিক দল ইইউ-এর সদস্যতা সম্পর্কে গণভোট চায়৷ ২০১২ সালে জবিক সমকামী বিরোধী একটি বিল উপস্থাপন করেছিল, কেননা জবিক ‘যৌন বিচ্যুতি’ বা ভিন্নতাকে অপরাধ বলে ঘোষণা করার পক্ষে৷
ছবি: picture alliance/dpa
জিমি অকেসন, সুইডেন ডেমোক্র্যাটস
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের পর সুইডেন ডেমোক্র্যাটসদের নেতা জিমি অকেসন সুউডিশ টেলিভিশনের একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘ইউরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, উভয় স্থানেই সমাজের প্রতিষ্ঠিত ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের চ্যালেঞ্জ করে একটি আন্দোলন চলেছে৷’’ সুইডেন ডেমোক্র্যাটস-রা অভিবাসন সীমিত করতে চায়, তারা তুরস্কের ইইউ-তে যোগদানের বিরোধী ও সুইডেনের ইইউ সদস্যতা সম্পর্কে একটি গণভোট কামনা করে৷
ছবি: AP
নর্বার্ট হোফার, ফ্রিডম পার্টি (অস্ট্রিয়া)
অস্ট্রিয়ার জাতীয়তাবাদী ‘স্বাধীনতা দল’-এর নর্বার্ট হোফার সাম্প্রতিক রাষ্ট্রপ্রধান নির্বাচনের দ্বিতীয় পর্যায়ে মাত্র ৩০,০০০ ভোটে পরাজিত হয়েছেন সবুজ দলের প্রবীণ নেতা আলেক্সান্ডার ফান ডেয়ার বেলেন-এর কাছে৷ প্রথম পর্যায়ে হোফারই সর্বাধিক ভোট পেয়েছিলেন৷ ফ্রিডম পার্টির নেতা হোফার অস্ট্রিয়ার সীমান্ত আরো জোরদার করার জন্য আন্দোলন করছেন এবং অভিবাসীদের সুযোগ-সুবিধা সীমিত করতে চান৷
ছবি: Reuters/L. Foeger
মারিয়ান কোৎলেবা, পিপলস পার্টি – আওয়ার স্লোভাকিয়া
কট্টর দক্ষিণপন্থি ‘গণদল – আমাদের স্লোভাকিয়া’-র নেতা মারিয়ান কোৎলেবাকে বলতে শোনা গেছে, ‘একটি অভিবাসীও বড় বেশি৷’ আরেকটি উপলক্ষ্যে তিনি ন্যাটো জোটকে একটি ‘অপরাধী সংগঠন’ বলে অভিহিত করেন৷ দলটি ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ইউরো মুদ্রা এলাকা থেকে স্লোভাকিয়াকে বার করে আনতে চায়৷ ২০১৬ সালের মার্চ মাসের নির্বাচনে ‘আমাদের স্লোভাকিয়া’ দল আট শতাংশ ভোট পায় ও ১৫০ সদস্যের সংসদে ১৪টি আসন দখল করে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
8 ছবি1 | 8
পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে ইইউ-এর সাত নম্বর সূত্র?
এই সূত্র অনুযায়ী মৌলিক অধিকার ভঙ্গের জন্য কোনো সদস্যদেশের উপর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা আরোপ করা চলে – যদিও ইউরোপীয় ইউনিয়নের ইতিহাসে এই সূত্র কোনোদিন প্রয়োগ করা হয়নি৷ কিন্তু বুধবার ইউরোপীয় কমিশনের ভাইসপ্রেসিডেন্ট ফ্রান্স টিমারমান্স বলেন যে, তিনি সাত নম্বর সূত্র বলবৎ করার কথাও ভাবতে পারেন৷
‘‘পোলিশ কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি বিচারবিভাগ সম্পর্কীয় যে সব পদক্ষেপ নিয়েছেন, তার ফলে পোল্যান্ডে আইনের শাসনের উপর আক্রমণের ঝুঁকি বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে'', বলেন টিমারমান্স৷
২০১৫ সালে ক্ষমতায় আসা যাবৎ পিস দল আইন-আদালত ও মিডিয়ার উপর তাদের নিয়ন্চ্রণ বাড়ানোর চেষ্টা করে আসছে৷ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ সংগঠনের জার্মান শাখার পরিচালক ভেনৎসেল মিশালস্কি বলেছেন যে, সর্বাধুনিক বিলটি পোল্যান্ডে বিচারবিভাগের নিরপেক্ষতার অন্ত সূচিত করবে৷