1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিতর্ক এড়াতে আফগানিস্তান যাচ্ছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এবং প্রটেস্ট্যান্ট চার্চ প্রধান

১২ জানুয়ারি ২০১০

আফগানিস্তানে জার্মান সেনা মোতায়েন নিয়ে জার্মানির প্রটেস্ট্যান্ট চার্চের প্রধান বিশপ ক্যাসমান এবং জার্মান প্রতিরক্ষা মন্ত্রী গুটেনব্যার্গের গুরুত্বপূর্ণ এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, উভয়ই একসঙ্গে আফগানিস্তান সফরে যাবেন৷

বিশপ মার্গট ক্যাসমান এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী গুটেনব্যার্গছবি: picture-alliance/ dpa

জার্মানির প্রোটেস্ট্যান্ট চার্চের প্রধান বিশপ মার্গট ক্যাসমান আফগানিস্তান থেকে জার্মান সেনাদের ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানিয়েছিলেন বড়দিনের একদিন আগে একটি জার্মান সংবাদ মাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে৷ তিনি বলছেন, কোন যুদ্ধই সঠিক নয় এবং আফগানিস্তান যুদ্ধকেও কোনভাবেই সঠিক বলা যায় না৷ বেসামরিক উপায়ে সমস্যা সমধানের জন্য গির্জার পক্ষ থেকে বলা হলেও, তা কখনোই বাস্তবায়ন করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন এই ধর্মযাজিকা৷ আর এরপরেই এ নিয়ে শুরু হয় সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে নানা আলোচনা৷ এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার পুরো বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য তাঁর সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন জার্মান প্রতিরক্ষা মন্ত্রী কার্ল থেয়ডর সু গুটেনব্যার্গ৷

আধ ঘন্টার বৈঠক

আধা ঘন্টা ব্যাপ্তিকালের এই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সু গুটেনব্যার্গ এবং বিশপ ক্যাসমান খুব শিগগিরই আফগানিস্তানে যাবেন একসঙ্গে, সেখানে মোতায়েন জার্মান সেনাদের কাজ দেখতে, তাদের সঙ্গে কথা বলতে৷ তবে এই দেখাসাক্ষাৎ বা পরিদর্শনেই সীমাবদ্ধ থাকতে রাজী নন এই দুইজনই৷ তারা উভয়েই বৈঠক শেষে জানিয়েছেন, আফগানিস্তানে মোতায়েন জার্মান সেনাদের বিষয়ে জার্মান সামরিক একাডেমি অথবা প্রটেস্ট্যান্ট চার্চ একাডেমিতে একটি কর্মকাঠামো প্রস্তুত করবেন তারা৷ আর এই কর্মকাঠামোটি নিয়েই নিজেদের মধ্যে ধারাবাহিক আলোচনা করবেন৷

মতবিরোধ সমাধান হবার নয়!

সংবাদদাতারা বলছেন, এত শিগগিরই দুই পক্ষের এই মতবিরোধ সমাধান হবার নয়৷ ক্যাসমান অবশ্য বলেই দিয়েছেন, আফগানিস্তান ইস্যুতে চার্চের বক্তব্য নিয়ে বিতর্কের কিছু নেই৷ গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে আফগানিস্তান ইস্যুতে তার মতামত তিনি তুলে ধরেন একটি সাক্ষাৎকারে৷ সেখানে তিনি বলেন, ‘‘একটি ন্যায্য শান্তি আনয়নের জন্য এবং এই সামরিক অভিযানকে ন্যায্য বলে গণ্য করার জন্য কয়েকটি সুস্পষ্ট শর্ত পূরণ হওয়া প্রয়োজন৷ আমাদের চিন্তা হল, বেসামরিক পুনর্নির্মাণকে সুরক্ষিত করার এই শর্তগুলিকে আর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না৷'' এরপর নববর্ষে বার্লিন এবং ড্রেসডেনে তার সম্প্রদায়ের সদস্যদের দুইটি বড় জমায়েতে একই কথার পুনরুক্তি করে তিনি বলেন, আফগানিস্তান ইস্যুতে পশ্চিমা দেশগুলোর নীতি তিনি অনুমোদন করেন না৷

প্রতিরক্ষা মন্ত্রী গুটেনব্যার্গ যখন আফগানিস্তানেছবি: picture-alliance/ dpa

ধর্মযাজিকার বক্তব্যের সঙ্গে একমত নন অনেকেই

আফগানিস্তানে বর্তমানে সাড়ে চার হাজার জার্মান সেনা সদস্য মোতায়েন রয়েছে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বাহিনী বা আইসাফের ব্যানারে৷ তবে ধর্মযাজিকার এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত নন অনেক রাজনীতিবিদই৷ তাঁরা বলেছেন, আফগানিস্তানে জার্মান সেনা নিয়ে তার বক্তব্য বাস্তবতা বিবর্জিত৷

এদিকে, জার্মান প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এবং বিশপ ক্যাসমানের এমন এক সময় এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হলো, যখন জার্মান ডাবলিউডিআর-এআরডি, মার্কিন এবিসি এবং ব্রিটেনের বিবিসি'র সর্বশেষ সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, যে বিশেষ করে উত্তর আফগানিস্তান এবং কুন্দুস প্রদেশের আফগানদের জনমানসে জার্মান সেনাবাহিনী তথা জার্মানির জনপ্রিয়তা লক্ষণীয়ভাবে হ্রাস পেয়েছে৷

প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: আবদুস সাত্তার

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ