1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিদায় ক্যাপ্টেন মাশরাফী

৬ মার্চ ২০২০

মাশরাফীর নেতৃত্বের শেষ ম্যাচকে স্মরণীয় করে রাখলেন তামিম-লিটনরা৷ কাকতালীয়ভাবে আজকের জয় ছিল মাশরাফীর নেতৃত্বে টাইগারদের ৫০তম জয়৷

ছবি: Getty Images/AFP/P. Ellis

ম্যাচ তখন শেষ৷ ড্রেসিং রুম থেকে একে একে বাংলাদেশের দলের সবাই এলেন মাঠে৷ সবার জার্সির পেছনে লেখা দুই, সামনে ইংরেজিতে ‘থ্যাংক ইউ ক্যাপ্টেন’ (ধন্যবাদ অধিনায়ক)৷ এই নাম্বারটি পরেই বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা৷ যিনি টাইগারদের অনবরত জিততে শিখিয়েছেন৷ গেঁথেছেন একটি দল হিসেবে৷

সিরিজের পুরস্কার বিতরণীর শুরুতেই তার হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন৷ দলের পক্ষ থেকে দেয়া হয় সবার স্বাক্ষর সম্বলিত জার্সি৷ এই সময় স্টেডিয়াম জুড়ে দর্শকদের মুখেও উচ্চারিত হচ্ছিল একটিই নাম-মাশরাফী৷

জিম্বাবোয়ের বিপক্ষে সিরিজ জয় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল আগেই৷ তবে এই ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার নেতৃত্ব ছাড়ার ঘোষণায়৷ তার জন্য টাইগারদের আলাদা কিছু তো করা চাই৷ তামিম, লিটনরা সেই কাজটিই করলেন৷

অধিনায়ক হিসেবে অবশ্য শেষ টস ভাগ্যটি মাশরাফীর পক্ষে ছিল না৷ টস জিতে ফিল্ডিং নেন জিম্বাবোয়ের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক শন উইলিয়ামস৷

তামিম, লিটনের শুরুটা ছিল সতর্ক৷ প্রথম পাঁচ ওভারে রান এসেছে মাত্র ২০৷ তবে অর্ধশত পূর্ণ হয় নবম ওভারেই৷ এরপর দুজনই এগিয়ে যান অনবদ্য এক ইনিংস রচনার দিকে৷ ত্রিশ ওভারে তারা তুলে নেন ১৫২ রান৷ বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উদ্বোধনী রানের জুটি আগে ছিল ১৭০ রান৷ শাহরিয়ার হোসেন ও মেহরাব হোসেন ১৯৯৯ সালে জিম্বাবোয়ের বিপক্ষেই সেই রেকর্ড গড়েন৷ ২০ বছর পর এসে তা ভাঙেন তামিম এবং লিটন৷ ৩৩ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর পৌছে যায় ১৮০-তে৷ লিটন ততক্ষণে পেরিয়ে গেছেন ১০০ আর তামিম অপরাজিত ৭৮ রানে৷

বাংলাদেশের পক্ষে যেকোন উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডের হাতছানি তখন দুই ওপেনারের সামনে৷ ২০১৭ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে যা গড়েছিলেন সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ৷ ২২৪ রানের সেই রেকর্ড অনায়াসেই পেরিয়ে যান বাংলাদেশের দুই ওপেনার৷ তাদের জুটি ভাঙ্গে ২৯২ রানে৷ লিটন ১৪৩ বলে ১৬ চার ও আট ছক্কায় ১৭৬ করে আউট হন৷ ভাঙেন দুই দিন আগেই তামিমের করা সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ১৫৮ রানের রেকর্ড৷ মাঝে বৃষ্টির জন্য ইনিংস বেধে দেয়া হয় ৪৩ ওভারে৷ লিটন আউট হলেও তামিম অপরাজিত থাকেন ১২৮ রানে৷ বাংলাদেশের রান দাঁড়ায় তিন উইকেটে ৩২২৷ ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে জিম্বাবোয়ের জন্য ৪৩ ওভারে টার্গেট ঠেকে ৩৪২ রানে৷

প্রথম ওভারেই টিনাশে কামুনহুকামউইকে ফেরান অধিনায়ক মাশরাফী৷ একে একে বল করতে এসে উইকেট নেন সাইফ, আফিফ, তাইজুল আর মুস্তাফিজরা৷ ৩৭ ওভার তিন বল খেলে সবকটি উইকেট হারিয়ে জিম্বাবোয়ের ইনিংস থামে ২১৮ রানে৷ ১২৩ রানে ম্যাচ জিতে নিয়ে তাদেরকে হোয়াইট ওয়াশ করল টাইগাররা৷ বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ চার উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন৷

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ: ৪৩ ওভারে ৩২২/৩ (তামিম ১২৮*, লিটন ১৭৬, মাহমুদউল্লাহ ৩, আফিফ ৭; মুম্বা ৮-০-৬৯-৩, সুমা ৬-১-৪৮-০, রাজা ৭-০-৬৪-০, মাধেভেরে ৫-০-২৯-০, টিরিপানো ৮-০-৬৫-০, উইলিয়ামস ৯-১-৪৬-০)

জিম্বাবুয়ে: (৪৩ ওভারে লক্ষ্য ৩৪২) ৩৭.৩ ওভারে ২১৮ (কামুনহুকামউই ৪, চাকাভা ৩৪, টেইলর ১৪, উইলিয়ামস ৩০, মাধেভেরে ৪২, রাজা ৬১, মুতুমবামি ০, মাটোমবোদজি ৭, টিরিপানো ১৫, মুম্বা ৪* সুমা ০; মাশরাফি ৬-০-৪৭-১, সাইফ ৬.৩-০-৪১-৪, মিরাজ ৮-০-৪৭-০, মুস্তাফিজ ৬-০-৩২-১, আফিফ ২-০-১২-১, তাইজুল ৯-০-৩৮-১)

ফল: ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে ১২৩ রানে জয়ী বাংলাদেশ

এফএস/এডিকে (ইএসপিএনক্রিকইনফো, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ