ইউরোপের উত্তরে আকাশে এক ধরনের আলো দেখা যায়, যাকে বলা হয় নর্দার্ন লাইটস৷ বাংলায় উদীচী উষা বা সুমেরু প্রভা৷ ল্যাপল্যান্ডে নববর্ষ কাটাতে গেলে ফ্রি-তে পাবেন শুকনো খটখটে, হিমশীতল বাতাস আর শুভ্র তুষার৷

সুইডেনের ইয়ুকাসইয়ার্ভি বরফের হোটেলে প্রায় একশো অতিথি ধরে৷ গোটা হোটেলটি বরফ দিয়ে তৈরি৷ হোটেলের ভেতরে তাপমাত্রা হল পাঁচ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড, হোটেলের বাইরে কিন্তু একটা ‘সওনা’ আছে৷ আন্তর্জাতিক শিল্পীরা হোটেলের প্রতিটি ঘরের জন্য একক সব তুষার ভাস্কর্য সৃষ্টি করেছেন৷

উটের পীঠে চড়ে ঘোরা, অথবা স্যান্ডবোর্ডিং, অথবা সুবিশাল কোনো বালিয়াড়ির ওপর বসে সাহারায় সূর্যাস্ত দেখা – মরক্কোর পূর্ব সীমান্তে অবস্থিত এর্গ চেবিতে এ সবই সম্ভব৷

থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই শহরে মানুষজন বাজি পোড়ানোর বদলে ফানুস উড়িয়ে বর্ষবরণ করেন৷ ঘুড়ির কাগজ দিয়ে তৈরি ফানুসগুলো ধীরে ধীরে আকাশে ওঠে, রাতের আকাশ ভরে যায় যেন শত শত লণ্ঠনে...৷

অ্যাডভেঞ্চার আর কা-কে বলে! মাটি থেকে চোদ্দ’শ লোহার ধাপযুক্ত মই বেয়ে, কিংবা জিপলাইন ধরে ওপরে রম্বাসের আকারের স্বচ্ছ ‘পড’-টিতে পৌঁছাতে হয়৷ এটাই হলো আপনার হোটেলের কামরা! আন্দিজ পর্বতমালার একটি খাড়া পাথরের ঢালের গায়ে ঝোলানো৷ এই কামরা থেকে উরুবাম্বা উপত্যকার একটা চমৎকার ভিউ পাবেন৷

একটি গুহায় লুকিয়ে থেকে বর্ষবদল করতে চান? তাহলে তুরস্কের কাপাদোকিয়া অঞ্চল আপনার ভালো লাগবে৷ এই এলাকার আগ্নেয় লাভা পাথর এতই নরম যে, যুগ যুগ ধরে মানুষজন এই পাথর কুঁদে বাড়িঘর, গির্জা, মঠ ইত্যাদি কত কী বানিয়েছেন৷ তবে কাপাদোকিয়ার বিশ্বজোড়া নাম তার হবিট-সুলভ গুহাগুলির জন্যে৷

মাউন্ট কিলির ওপর চড়তে হলে মাঝরাতে উঠে হাইকিং শুরু করতে হয়৷ তবে শেষ অবধি যাঁরা টিঁকে থাকেন, তাঁরা দেখতে পান আফ্রিকার সবচেয়ে উঁচু পর্বতশিখর থেকে এক অবিস্মরণীয় সূর্যোদয়...৷

প্রকৃতি মানেই যে পার্টি নয়, সে-কথাই বা কে বলেছে? বিশ্বাস না হয়, চলুন ভারতের গোয়ায় নিউ ইয়ারের পার্টি করতে, যা কিনা সারা বিশ্বে ‘ফেমাস’৷ গোয়া এককালে ছিল হিপিদের স্বর্গ৷ এখন আবার ধীরে ধীরে পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে৷

বছরের প্রথম দিনে সাগরের হিমঠান্ডা জলে একবার ডুব দিলে কেমন হয়? গতরাতের খোঁয়াড়ি কাটতে এক মিনিটও সময় লাগবে না৷ ধরুন সিল্ট দ্বীপের সামনে সাগরের পানির তাপমাত্রা হবে বড়জোর পাঁচ থেকে সাত ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড৷ হোটেল থেকে বেরুলেন আর ঠান্ডা পানিতে ঝাঁপ খেলেন৷ এর পর আর ভয় কিসে?