কারণ যাই হোক, বিদেশি কূটনীতিকরা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে খুব একটা মন্তব্য করেন না বা করতে পারেন না৷
বিজ্ঞাপন
প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেয়ার সময় পাকিস্তানের সেসময়ের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদী৷ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী এসেওছিলেন৷ ঠিক ছিল, তার মাস কয়েক পরেই ভারত ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিবরা আলোচনায় বসবেন৷ সেই আলোচনার সপ্তাহখানেক আগে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত আব্দুল বাসিত কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাদের আমন্ত্রণ জানান আলাপ করবেন বলে৷
ভারতের পররাষ্ট্রসচিব সুজাতা সিং সেসময় বাসিতকে মানা করেছিলেন এবং অনুরোধ করেছিলেন এই বৈঠক না করার জন্য৷ বলেছিলেন, 'হয় আমাদের বেছে নিন, না হয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের'৷ বাসিত সেই অনুরোধ রাখেননি৷ তিনি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে বৈঠক করেন৷ আর তারপরেই ভারত জানিয়ে দেয়, সুজাতা সিং পাকিস্তানে যাবেন না৷ বৈঠক বাতিল৷
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে এখন আর আলোচনা হয় না৷ ভারতের অবস্থান হলো, সন্ত্রাসবাদে মদত দেয়া ও আলোচনা একসঙ্গে চলতে পারে না৷ পাকিস্তান প্রথমটা বাদ দিক, তাহলেই একমাত্র দ্বিতীয়টা হবে৷ তবে সেই কাহিনি আলাদা৷ এখানে শুধু এটুকু বলাই যথেষ্ট যে, ভারত একটা স্পষ্ট বার্তা দিয়ে রেখেছে৷ ভারতে বসে কোনো রাষ্ট্রদূত যদি দিল্লির অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে কথা বলেন বা কোনো কাজ করেন, সেটা বরদাশত করা হবে না৷ বিদেশি রাষ্ট্রদূত বা দূতাবাস কর্মীদের সীমার মধ্যে থাকাটা খুব জরুরি৷
কিছুদিন আগের বড় ঘটনার দিকে তাকানো যাক৷ মহানবি(সাঃ)-কে নিয়ে বিজেপি মুখপাত্র নূপুর শর্মা ও নেতা নবীন জিন্দল অত্যন্ত বিতর্কিত মন্তব্য করলেন৷ তারপর কাতার, ইরান, কুয়েত, সৌদি আরব-সহ একাধিক উপসাগরীয় দেশ ভারতীয় রাষ্ট্রদূতদের ডেকে প্রতিবাদ জানিয়েছে৷ ওমান তো খুব কড়া মন্তব্য করেছে৷ কিন্তু ভারতে কোনো দেশের রাষ্ট্রদূত মুখ খোলেননি বা এমন কিছু করেননি যা নিয়ে বিতর্ক হতে পারে৷ পরে ভারতীয় কূটনীতিকরা বলেন, বিজেপি-র ছোটখাট নেতারা এই কথা বলেছেন এবং দল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে এবং এটা কখনই ভারতের মত নয়, তখন ধীরে ধীরে সেই বিতর্কও থেমে গেছে৷
লাদাখে ভারত ও চীনের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষের পর দেশজুড়ে চীনা জিনিস বয়কটের হিড়িক ছিল৷ বেশ কিছু সংগঠন এই ডাক দিয়েছিল৷ তখন চীনের রাষ্ট্রদূত বলেছিলেন, চীন তার সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা করবে৷ কিন্তু তারা সীমান্তে শান্তিরক্ষাও করবে৷ আর বয়কট নিয়ে তার মন্তব্য ছিল, দুই দেশ এখন সেনা সরানো নিয়ে আলোচনা করছে, এখন বাণিজ্যিক সম্পর্ক যেন খারাপ করা না হয়৷
ভারত তার কথার জবাব দিয়েছিল৷ পরে সাবেক কূটনীতিকদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছিলাম৷ তারা মনে করেছেন, চীনের রাষ্ট্রদূত সীমা ছাড়াননি৷ তিনি তার দেশের কথা বলেছেন৷ তাদের যুক্তির কথা বলেছেন৷ ভারতও তার কথা বলেছে৷ বারবার জানিয়েছে, চীনের সেনা ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে পড়েছিল৷ ফলে বিষয়টি ভারতের সার্বভৌমত্ব রক্ষার৷
ভারতে এখন অ্যামেরিকা, রাশিয়া, চীন থেকে শুরু করে কোনো দেশের রাষ্ট্রদূতই আলটপকা মন্তব্য করেন না৷ করলে তার প্রতিক্রিয়াও ততটাই কড়া হতে বধ্য৷ ভারতের একটা সুবিধা আছে৷ ভারত শুধু আয়তনে, জনসংখ্য়ায় নয়, অর্থনীতির দিক থেকেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দেশ৷ ভারতে মধ্যবিত্ত শ্রেণিও বিশাল৷ সম্প্রতি প্রাইসের একটা রিপোর্ট বলছে, ভারতে প্রতি তিনজনের মধ্যে একজন মধ্যবিত্ত, যাদের বার্ষিক আয় পাঁচ থেকে ৩০ লাখ টাকার মধ্যে৷ তাহলে ভারতে মধ্যবিত্ত মানুষের সংখ্যা ৪৪ কোটির মতো৷ রিপোর্ট বলছে, ২০৪৭ সালে এই সংখ্যাটা দ্বিগুণ হয়ে য়াবে৷ এতবড় বাজার আর কোথায় পাওয়া যাবে৷ ফলে এই বাজার ধরার তাগিদ সব দেশের আছে৷ অর্থনীতির এই শক্তি ভারতকে অনেক বেশি শক্তিসালী করে তুলেছে৷ না হলে, রাশিয়ার তেল কেনা নিয়েই দেখুন না৷ অ্যামেরিকা, ইইউর চাপ অগ্রাহ্য করে ভারত তো সকলের মুখের উপর বলতে পারছে, আমরা তাল কেনা বন্ধ করব না৷ ইইউ গ্যাস কেনা বন্ধ করেনি৷ আমাদের তুলনায় অনেক বেশি বাণিজ্য ওরা রাশিয়ার সঙ্গে করছে৷
আকার, প্রভাব ও অর্থনীতির একটা শক্তি আছে বলেই ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে রাষ্ট্রদূতরা কোন ছাড়, রাষ্ট্রপ্রধানরাও কিছু বলেন না৷ কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা খারিজ, পূর্ণ রাজ্য থেকে তাকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা নিয়ে কটা দেশ মন্তব্য করেছো? ভারতের বরাবরের নীতি হলো, এটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়৷ সেই কথাটা আগেভাগে তাদের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়েছে৷ তাই চীন, পাকিস্তান, ওআইসি ছাড়া কেউ সোচ্চার হয়নি৷ ভারতীয় কূটনীতিকরাও জানেন, কীভাবে কাজ করতে হয়৷ কীভাবে, কোথায়, কী কথা বলতে হয়৷ কখন আগাম আলোচনাটা সেরে নিতে হয়৷
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের মন্তব্য ও কর্মকাণ্ড আলোচনার জন্ম দিয়েছে৷ বিশেষ করে গত নির্বাচন নিয়ে জাপানি রাষ্ট্রদূতের করা মন্তব্য বেশ আলোচিত হয়েছে৷
ছবি: CGS
‘রাতেই পুলিশ ব্যালট বাক্স ভর্তি করেছিল বলে শুনেছি’
১৪ নভেম্বর ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেন, ‘‘গত (জাতীয় সংসদ) নির্বাচনে আগের রাতেই পুলিশ ব্যালট বাক্স ভর্তি করেছিল বলে আমি শুনেছি৷ অন্য কোনো দেশে এমন দৃষ্টান্ত নেই৷ আমি আশা করব, এবার তেমন সুযোগ থাকবে না বা এমন ঘটনা ঘটবে না৷’’
ছবি: U.S. Embassy Dhaka
‘অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’
১৩ অক্টোবর জার্মান রাষ্ট্রদূত আখিম ট্র্যোস্টার বলেন, ‘‘গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মানে হচ্ছে নিয়মিতভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন৷ এ ধরনের নির্বাচন দেশের স্থিতিশীলতার জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ আমরা বিশ্বাস করি, ভোটারদের ভোট দেওয়ার এবং সরকার গঠনে ভূমিকা রাখার অধিকার রয়েছে৷ তাই সমালোচিত হলেও বন্ধু হিসেবে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের বিষয়ে তিনি কথা বলে যাবেন বলে উল্লেখ করেন৷’’
ছবি: bdnews24.com
পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষের খবরে উদ্বিগ্ন মার্কিন রাষ্ট্রদূত
৭ ডিসেম্বর ঢাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষের পরদিন এক ফেসবুক পোস্টে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেন, ‘‘রাজনৈতিক সহিংসতা ও ভয়-ভীতি দেখানোর খবরে আমরা উদ্বিগ্ন৷ আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধা এবং সহিংসতা, হয়রানি ও ভয়-ভীতি দেখানো থেকে বিরত থাকার জন্য আমরা সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি৷’’ এর আগে ৩১ মে তিনি বলেছিলেন, বাংলাদেশে সুষ্ঠু ও আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র৷
ছবি: Sam Panthaky/AFP
গুম হওয়া ব্যক্তির বাসায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত
মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ১৪ ডিসেম্বর নিখোঁজ বিএনপির নেতা সাজেদুল ইসলামের বাসায় যান৷ সাজেদুলের বোন গুম হওয়া ব্যক্তিদের স্বজনদের সংগঠন ‘মায়ের ডাক’-এর সমন্বয়ক৷ এ সময় ‘মায়ের কান্না’ নামে আরেক সংগঠনের লোকজন রাষ্ট্রদূতকে ঘিরে ধরার চেষ্টা করেন৷ ওই ঘটনায় নিরাপত্তার উদ্বেগ জানাতে হাস পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেনের কাছে যান৷ পরদিন এ নিয়ে উদ্বেগ জানাতে ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকেও তলব করা হয়েছিল৷
ছবি: United States Department of State
‘বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র কাজ করছে’
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আখতার ৬ নভেম্বর ঢাকায় বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ঢাকা মিশন এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা ইউএসএইডের বাংলাদেশ কার্যালয় আসন্ন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে বাংলাদেশের নাগরিক সমাজের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে৷
ছবি: Brendan Smialowski/AFP
বিরোধী দলের সভা-সমাবেশে কড়াকড়ির ঘটনায় উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস ৬ ডিসেম্বর ওয়াশিংটনে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, বাংলাদেশে বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশের ওপর কড়াকড়ি আরোপের ঘটনা নিয়ে তার দেশ উদ্বিগ্ন৷ তিনি বলেন, ‘‘কোনো রাজনৈতিক দল কিংবা প্রার্থীকে হুমকি, উসকানি অথবা এক দল আরেক দল বা প্রার্থীর ওপর যাতে সহিংসতা ঘটাতে না পারে, বিষয়টি নিশ্চিত করতে আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই৷’’
ছবি: Nicholas Kamm/AP Photo/picture alliance
নির্বাচন নিয়েও কথা বলেন নেড প্রাইস
একই ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশে নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়েও কথা বলেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র৷ তিনি বলেন, ‘‘অর্থপূর্ণ নির্বাচন আয়োজন করতে হলে সহিংসতা, হয়রানি ও নির্ভয়ে ভোটারদের সঙ্গে প্রার্থীদের জনসংযোগ করার সুযোগ করে দিতে হবে৷’’
ছবি: Manuel Balce Ceneta/AP Photo/picture alliance
অঙ্গীকারের কথা মনে করিয়ে দেন জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী
১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে ৭ ডিসেম্বর বিকেলে এক বিবৃতিতে ঢাকায় নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস জাতিসংঘের সদস্যরাষ্ট্র হিসেবে মতপ্রকাশ, গণমাধ্যম ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতাসহ মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্রে অঙ্গীকারের কথা বাংলাদেশকে স্মরণ করিয়ে দেন৷ ঢাকায় বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনার এক ঘণ্টা পর ঐ বিবৃতি দেন গোয়েন লুইস৷
ছবি: Getty Images/AFP/N. Roberts
ইইউ ও ১৪ দেশের বিবৃতি
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ১৪টি দেশের মিশন ৬ ডিসেম্বর বলেছে, ‘‘আমরা বাংলাদেশের বন্ধু ও অংশীদার হিসেবে মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে অবাধ, সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন প্রক্রিয়ার গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করছি৷’’ মিশনগুলো হলো যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইইউ, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, ইটালি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, জাপান, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া৷
ছবি: Reuters/M. Ponir Hossain
বাংলাদেশ প্রসঙ্গে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের পালটাপালটি বিবৃতি
২০ ডিসেম্বর ঢাকার রুশ দূতাবাস বিবৃতিতে বলে, গণতন্ত্র সুরক্ষা বা অন্য অজুহাতে বাংলাদেশসহ তৃতীয় কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার বিষয়ে রাশিয়া বদ্ধপরিকর৷ ইউক্রেনের ক্ষেত্রে রাশিয়া এই নীতি প্রয়োগ করেছে কিনা, পরদিন সেই প্রশ্ন তোলে মার্কিন দূতাবাস৷ একদিন পর রুশ দূতাবাস টুইটারে একটি ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করে৷ ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র যে পশ্চিমা বলয়ের নেতৃত্বে রয়েছে, তা তুলে ধরা হয় এতে৷
ছবি: Valery Sharifulin/dpa/TASS/picture alliance
‘বহুপক্ষীয় ও স্বচ্ছ গণতন্ত্র দেখতে চায় যুক্তরাজ্য’
১৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার রবার্ট ডিকসন বলেছেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মতো যুক্তরাজ্যও বাংলাদেশে অবাধ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনি প্রক্রিয়াসহ বহুপক্ষীয় ও স্বচ্ছ গণতন্ত্র দেখতে চায়৷
ছবি: Reuters/T. Melville
‘অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন অন্য দেশের ওপর নির্ভর করে না’
১৬ নভেম্বর ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান বলেন, ‘‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা সরকার, রাজনৈতিক দল ও বাংলাদেশের জনগণের ওপর নির্ভর করে, অন্য কোনো দেশের ওপর নয়৷’’