1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মানি খুব প্রিয়

মার্টিন কখ/এসি৮ এপ্রিল ২০১৩

জার্মানিতে যে প্রায় আট লাখ বিজ্ঞানী-গবেষক কাজ করছেন, তাদের দশজনের মধ্যে একজন বিদেশি৷ এবং সে অনুপাত বেড়েই চলেছে৷ দৃশ্যত গবেষণা, পঠন-পাঠনের স্থান হিসেবে জার্মানির আকর্ষণীয়তা সুবিদিত৷

An einem modernen Laser-Scanning-Mikroskop arbeitet am 14.06.2012 im Leibniz Institut für Naturstoff-Forschung und Infektionsbiologie e.V. Hans-Knöll-Institut (HKI) in Jena die chinesische Wissenschaftlerin Qian Chen. Sie gehört zum internationalen Team junger Forscher der Jena School for Microbial Communication (JSMC) der Friedrich-Schiller-Universität Jena. Im März 2012 wurde Qian Chen mit dem Else-Kröner-Fresenius-Preis der Gesellschaft für Pädiatrische Nephrologie ausgezeichnet. Foto: Jan-Peter Kasper/FSU
ছবি: picture-alliance/Universität Jena

জার্মানে বলে ‘উইসেনশাফ্টসস্টান্ডঅর্ট' বা ‘জ্ঞান-বিজ্ঞানের পীঠস্থান'৷ সেই হিসেবে ২০৩০ সালে এ দেশে ২১ লাখ মানুষ ‘‘গবেষণা ও বিকাশ''-এর ক্ষেত্রে কর্মরত থাকবেন৷ এই সব চাকুরির প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ পাবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকরা৷ ফেডারাল অভিবাসন ও উদ্বাস্তু কার্যালয়ের একটি সমীক্ষায় এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে৷

জার্মানির জনসংখ্যার উপাদান ও বিকাশধারা পরিলক্ষণ করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সব চাকুরির জন্য উপযুক্ত প্রার্থী সংগ্রহ করতে জার্মানির বিদেশি বিজ্ঞানী-গবেষকদের প্রয়োজন পড়বে৷

আলেক্সান্ডার ফন হুমবোল্ড নিধির মুখপাত্র গেয়র্গ শলছবি: Humboldt-Stiftung/David Ausserhofer

আকর্ষণীয় গন্তব্য

আশার কথা যে, অধিকাংশ বিদেশি বিজ্ঞানী-গবেষক জার্মানিতে কাজ ও বসবাসের পরিবেশ সম্পর্কে সন্তুষ্ট৷ ফেডারাল সরকার এবং প্রাদেশিক সরকারবর্গের একাধিক উদ্যোগের ফলে বহু জার্মান বিশ্ববিদ্যালয় এক্ষেত্রে বিনিয়োগ করতে পেরেছে এবং অপরাপর দেশের বিজ্ঞানী-গবেষকদের পক্ষে আরো আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে৷ মাক্স প্লাঙ্ক ইনস্টিটিউট কিংবা হেল্মহলৎস সমিতিগুলি ছাড়াও, অনেক বড় বড় শিল্পসংস্থার নিজস্ব গবেষণা প্রতিষ্ঠানও আন্তর্জাতিক মানের বিজ্ঞানীদের জার্মানিতে আসার প্রেরণা যোগায়৷

বিশ্ববিদ্যালয় কি গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলির সারসরঞ্জাম এক ব্যাপার৷ কিন্তু সমস্যা অন্যত্রও থাকতে পারে৷ আলেক্সান্ডার ফন হুমবোল্ড নিধির মুখপাত্র গেয়র্গ শল বলেন: ‘‘আমরা গবেষকদের প্রশ্ন করি, তথাকথিত সফ্ট ফ্যাক্টরগুলি সম্পর্কে তাঁদের কি মত – যেমন ছোটদের জন্য কিন্ডারগার্টেন, আমলাতন্ত্র কিংবা জনসাধারণের ইংরিজি ভাষাজ্ঞান৷

সেখানে বিদেশি বিজ্ঞানী-গবেষকদের ৯১ শতাংশ নাকি এতই সন্তুষ্ট যে, তাঁরা আবার জার্মানিতে আসতে রাজি৷ তবে আমলাদের গড়িমসি এবং বিশ্ববিদ্যালয় শহরগুলিতে প্রায় নিষ্ফল বাড়ির খোঁজ নিয়ে ক্ষোভও দেখা গেছে৷ ঠিক এই কারণেই বহু বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি বিজ্ঞানী-গবেষকদের জন্য ‘‘ওয়েলকাম পয়েন্টস'' সৃষ্টি করা হয়েছে, যেখানে তাঁদের সাংগঠনিক ও দৈনন্দিন জীবনের এই সব সমস্যার ক্ষেত্রে সাহায্য করা হয়৷

‘ইস্কো-দুই'

জার্মানিতে যে মোট আট লাখ বিজ্ঞানী-গবেষক কাজ করেন, তাদের মধ্যে ৮০ শতাংশের বেশি তথাকথিত ইস্কো-দুই পেশাগত গোষ্ঠীতে পড়েন, অর্থাৎ এঁরা প্রধানত বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদ৷ বিদেশি বিজ্ঞানী-গবেষকদের মধ্যেও একটি উচ্চ অনুপাত – ১১ দশমিক দুই শতাংশ – অঙ্কশাস্ত্র অথবা আইটি'র বিশেষজ্ঞ৷ জার্মান শিল্পসংস্থাগুলির অবশ্য এতে অখুশি হবার কারণ নেই, কেননা তারা এই ধরনের যোগ্যতাসম্পন্ন কর্মীদেরই আমদানি করতে চায়৷

২০৩০ সালে এ দেশে ২১ লাখ মানুষ ‘‘গবেষণা ও বিকাশ''-এর ক্ষেত্রে কর্মরত থাকবেনছবি: picture-alliance/dpa

জার্মানিতে কর্মরত বিদেশি বিজ্ঞানী-গবেষকদের অর্ধেকই এসেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাদবাকি দেশগুলি থেকে৷ তবে চীন, ভারত কিংবা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকদের পক্ষেও জার্মানি একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য৷ এবং বিদেশি বিজ্ঞানী-গবেষকদের এদেশে কাজ করার পথে বিভিন্ন বাধা ধীরে ধীরে দূর করা হচ্ছে: যেমন তারা যে কাজটি নিতে যাচ্ছেন, তার জন্য কোনো যোগ্য জার্মান প্রার্থী পাওয়া যায় কিনা, সেই পরীক্ষা; কিংবা তাদের ন্যূনতম বেতন কতটা হওয়া উচিৎ; কিংবা তাদের কত দিনের ভিসা দেওয়া হবে এবং সে ভিসা পেতে তাদের কতটা কাঠখড় পোড়াতে হবে, ইত্যাদি৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য