1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কাসেল বিশ্ববিদ্যালয়

রিয়াজুল ইসলাম২২ অক্টোবর ২০১২

জার্মানির হেসেন রাজ্যের অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত কাসেল ইউনিভার্সিটি৷ জার্মান ভাষার পাশাপাশি ইংরেজি ভাষাতেও এই ইউনির্ভাসিটিতে পড়া যায়৷ এছাড়া টিউশন ফি দিতে হয় না ছাত্রদের, পার্ট টাইম কাজেরও সুযোগ অনেক৷

Holländischer Platz Fotograf: Dario Lafferte
Universität Kasselছবি: Universität Kassel

কয়েক বছর আগে কাসেল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের শিক্ষানীতিতে আন্তর্জাতিকীকরণের সিদ্ধান্ত নেয়৷ এর আওতায় এখন অনেকগুলো বিষয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি ভাষাতেই পড়াশোনা করা যায় যেগুলোর মধ্যে বিজ্ঞান ছাড়াও ব্যবসা ও মানবিক বিষয়ও রয়েছে৷ এজন্য এখানে বিদেশি ছাত্রছাত্রীদের আনাগোনা বেড়ে গেছে৷ যেসব বিষয়ে এখানে ইংরেজি ভাষাতেই মাস্টার্স করা যায় তার মধ্যে কয়েকটি হলো ইলেকট্রিক্যাল কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, গ্লোবাল পলিটিক্যাল ইকোনমি, ইন্টারন্যাশনাল ফুড বিজনেস অ্যান্ড কনজিউমার স্টাডিজ, ইউরোপিয়ান মাস্টার ইন বিজনেস স্টাডিজ৷

প্রতি বছর গ্রীষ্মকালীন এবং শীতকালীন সেমেস্টারে এখানে ছাত্রছাত্রী ভর্তি করা হয়৷ বর্তমানে কাসেল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২১ হাজারের মতো৷ তাদের একজন বাংলাদেশ থেকে আসা মো. আসগর হোসাইন৷ তিনি এখানে ইলেকট্রিক্যাল কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে পড়াশোনা করছেন৷ তবে তাঁর মূল বিষয় ডিজিটাল কমিউনিকেশন৷ তিনি জানালেন, কাসেল ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনার সুবিধা হলো এখানে ছাত্রছাত্রীরা তাদের ইচ্ছেমত বিষয়গুলো পছন্দ করতে পারে৷

কাসেল ইউনাভার্সিটির ছাত্র মো. আসগর হোসাইনছবি: privat

প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে অনেক শিক্ষার্থীই দালালদের মাধ্যমে বিদেশে পড়তে আসার চেষ্টা করে৷ তবে আসগর জানালেন, তিনি তেমন কোনো পন্থা অবলম্বন করেননি, বরং জার্মানিতে পড়ুয়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে খোঁজ খবর নিয়েছেন৷

কাসেল ইউনিভার্সিটিতে বিদেশি ছাত্রছাত্রীরা ইংরেজি ভাষাতে পড়াশোনার সুযোগ পেলেও তারা যে জার্মান জানে না, তা কিন্তু নয়৷ কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকেই শিক্ষার্থীদের জার্মান শেখানো হয় যাতে করে তারা জার্মান সমাজে খাপ খাইয়ে নিতে পারে৷ আসগর জানান, বিনা পয়সাতেই তিনি জার্মান শিখছেন৷

কাসেল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো টিউশন ফি নেই৷ গত ২০০৮ সাল থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে টিউশন ফি উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ তবে প্রতি সেমেস্টারের জন্য ২৪২ ইউরো দিতে হয়৷ এছাড়া থাকা খাওয়ার যে খরচ সেটা ছাত্রছাত্রীরা পার্টটাইম চাকরি করেই পুষিয়ে নিতে পারে৷ বাংলাদেশি ছাত্র মো. আসগর হোসাইন নিজেও পার্টটাইম কাজ করে থাকেন৷

Week 43/12 LS1-Campus: Kassel University in Germany - MP3-Mono

This browser does not support the audio element.

জার্মানিতে একজন নন ইউরোপিয়ান ছাত্র সাধারণ নিয়মে প্রতি বছর ১২০ দিন কাজ করার অনুমতি পায়৷ আর সেটা যদি পার্টটাইম হয় তাহলে তার পরিমাণ বছরে ২৪০ দিন৷ অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর কাজ করলে সেটি এই সময়সীমার মধ্যে পড়বে না৷ তাই ছাত্রছাত্রীদের পক্ষে নিজের খরচ নিজেই চালানোটা খুব একটা কঠিন হয় না৷ সেই অভিজ্ঞতার কথা জানালেন আসগর, ‘‘ছাত্র হিসেবে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা সহকারী হিসেবে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে৷ আমাকে এক সপ্তাহও বসে থাকতে হয় নি৷ তবে এর জন্য নিজের ওই বিষয়ে দক্ষতা দরকার৷ অন্যদিকে ঠিকমতো পড়াশোনা শেষ করতে পারলে এখানে চাকরি পেতে সমস্যা হবে না বলে আমার বিশ্বাস৷''

সব মিলিয়ে কাসেল ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বড় সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে৷ তাই পড়া শেষ করে এখানেই চাকরির সুযোগ খুঁজবেন বলে জানালেন বাংলাদেশি ছাত্র মো. আসগর হোসাইন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ