1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিপাকে জার্মান রাজনীতিবিদ

১৫ নভেম্বর ২০১৮

ইন্টারনেটে প্রচারনার জন্য বিদেশি দাতাদের অর্থ ব্যবহার নিয়ে এএফডি নেতা আলিস ভাইডেলের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করছেন সরকারি কৌসুঁলিরা৷

ছবি: picture-alliance/dpa/F. Kästle

সুইজারল্যান্ড এবং বেলজিয়ামের দাতাদের কাছ থেকে বড় অংকের অর্থ পেয়েছে অভিবাসী এবং মুসলিমবিরোধী হিসেবে পরিচিত দলটি৷

জার্মানির দক্ষিণাঞ্চলের শহর কন্সটান্সের কৌঁসুলিরা বুধবার জানিয়েছেন, উগ্র-ডানপন্থি দল অল্টারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি)-র সংসদীয় গ্রুপের নেতা আলিস ভাইডেল জার্মানির কঠোর দলীয় খরচ আইন অমান্য করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করা হচ্ছে৷

কৌঁসুলি আন্দ্রেয়াস মাথি বার্তাসংস্থা ডিপিএকে জানিয়েছেন যে তাঁর কার্যালয় ইতোমধ্যে ভাইডেলের সংসদীয় ‘ইমিউনিটি’ প্রত্যাহারে জার্মান সংসদ বুন্ডেসটাগের কাছে চিঠি লিখেছে৷ তাঁর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুক্রবার নাগাদ শুরু হতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি৷

ভাইডেলের নির্বাচনি এলাকা লেক কন্সটান্সের আরো কয়েকজন এএফডি নেতার বিরুদ্ধেও তদন্তের প্রস্তুতি নিচ্ছেন কৌঁসুলিরা৷

প্রসঙ্গত, জার্মান পত্রিকা স্যুডডয়চে সাইটুং এবং সরকারি গণমাধ্যম এনডিআর ও ভেডেআর রবিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এএফডি'র লেক কন্সটান্স শাখা ২০১৭ সালের সংসদীয় নির্বাচনের আগে প্রচারণা চালানোর জন্য দান হিসেবে সুইজারল্যান্ডের একটি কোম্পানির কাছ থেকে এক লাখ ত্রিশ হাজার ইউরো পেয়েছিল৷ জার্মানির রাজনৈতিক দলের অর্থ খরচের যে আইন রয়েছে, তার যেন ব্যতয় না ঘটে, সেজন্য এই অর্থ আঠারো ভাগে ভাগ করে আলাদা আলাদাভাবে দলটিকে দেয়া হয়েছিল৷ দাতাদের কাছ থেকে অর্থ নেয়ার ক্ষেত্রে জার্মান রাজনৈতিক দলগুলোকে কঠোর নিয়মকানুন মানতে হয়৷ একটি নির্দিষ্ট সীমার বাইরে অর্থ সংগ্রহ করলে সেটা ঘোষণা দিতে হয়, যাতে সবাই জানে যে দলটি কোথা থেকে নির্বাচনি প্রচারণা চালানোর অর্থ পাচ্ছে৷    

ভাইডেল জার্মানি এবং সুইজারল্যান্ড দু' দেশেই বসবাস করেন৷ তিনি জানিয়েছেন যে, সেই দান নিয়ে তাঁর সংশয় থাকায় টাকাটা ফেরত পাঠানো হয়েছে৷ কিন্তু, জার্মান গণমাধ্যম জানিয়েছে, টাকা ফেরত দেয়ার ঘটনা সেই নির্বাচনের পর চলতি বছরের এপ্রিলে ঘটেছে এবং দলটি যে টাকা সুইজারল্যান্ডের দাতার কাছ থেকে পেয়েছিল, তার চেয়ে আট হাজার ইউরো কম ফেরত দিয়েছে৷ দলটি স্বীকারও করেছে যে, সেই দানের কিছু টাকা নির্বাচনি কাজে খরচ করা হয়েছিল৷

সুইজারল্যান্ড ছাড়া বেলজিয়ামের একটি প্রতিষ্ঠান থেকেও অর্থ সহায়তা পেয়েছিল এএফডি৷ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দলটিকে দেড় লাখ ইউরো পাঠায় বেলজিয়ান একটি প্রতিষ্ঠান৷ সেই টাকা আবার মে মাসে ফেরতও পাঠায় দলটি৷ কিন্তু বিষয়টি জার্মান সংসদকে জানায়নি উগ্র ডানপন্থি দলটি৷ অথচ নিয়ম হচ্ছে, কোনো রাজনৈতিক দল একক কোনো দাতার কাছ থেকে পঞ্চাশ হাজার ইউরোর বেশি পেলে তা প্রকাশ্যে ঘোষণা দিতে হবে৷

ভাইডেলের দল অবশ্য তাঁকে রক্ষার চেষ্টা করছে৷ দলটির সহ-দলনেতা আলেক্সান্ডার গাউল্যান্ড বলেছেন, ‘‘আমি মনে করি না এ জন্য ভাইডেলকে দোষ দেয়ার কিছু আছে৷’’ বরং এক্ষেত্রে দলের কোষাধ্যক্ষের ভুল দেখছেন তিনি, কারণ, কোষাধ্যক্ষই নির্বাচনী অর্থ দেখাশোনা করছিলেন৷

এআই/এসিবি (এএফপি, ডিপিএ)

২০১৭ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারির ছবিঘরটি দেখুন...

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ