1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিদেশি বিনিয়োগ ইস্যুতে সরকারকে ফেলে দেবার ডাক মমতার

৫ অক্টোবর ২০১২

ভারতের আর্থিক বাজারে প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নির বিরুদ্ধে সরব তৃণমূল কংগ্রেস ও বামদলগুলি৷ কংগ্রেস-জোটের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনে সরকার ফেলে দেবার ডাক দিলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়৷ বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় সেটা কী সম্ভব?

ছবি: AP

কংগ্রেস-জোট সরকার থেকে তৃণমূল কংগ্রেস বেরিয়ে যাবার পর প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং একের পর এক আর্থিক সংস্কারে ছাড়পত্র দিয়ে যাচ্ছেন নির্ভয়ে৷ যেটা এতদিন শরিক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরোধীতায় করতে পারেননি৷ প্রতিটি সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সরকারকে এক পা এগিয়ে দু'পা পিছিয়ে আসতে হতো৷ সরকারকে নীতি পঙ্গুত্বের তকমা পর্যন্ত ধারণ করতে হয়েছিল ঘরে বাইরে৷

পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে মমতার বেরিয়ে যাওয়াটা মনমোহন সিং-এর পক্ষে শাপে বর হয়েছে৷ খুচরো ব্যবসায় বিদেশি লগ্নি, ডিজেলের দাম বাড়ানো, রান্নার গ্যাসে ভরতুকি ছাঁটাই, বিমা ক্ষেত্রে বিদেশি বিনিয়োগের ঊর্ধ্বসীমা বাড়ানো এবং পেনসন ক্ষেত্রে বিদেশি লগ্নির দরজা খুলে দিতে দ্বিতীয়বার ভাবতে হয়নি প্রধানমন্ত্রীকে৷

এর বিরুদ্ধে হুমকি দিয়ে মমতা বলেছেন, সরকার লক্ষ্ণণরেখা পেরিয়েছে৷ এবার সরকার ফেলে দেবার সময় এসেছে৷ তাই ডাক দিয়েছেন সংসদে অনাস্থা প্রস্তাব আনার৷ তিনি কী কৃতকার্য হবেন? এই প্রসঙ্গে বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী উদয়ন বন্দোপাধ্যায় ডয়চে ভেলেকে বললেন, ‘‘আর্থিক সংস্কার কর্মসূচির জন্য সরকার গদিচ্যুত হয়নি৷ যেমন ১৯৯১ সালে মনমোহন সিং যখন শিল্পনীতি ঘোষণা করেছিলেন, তখন ডাঙ্কেল প্রস্তাব, গ্যাট চুক্তি নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল৷ বামপন্থীরা সর্বভারতীয় স্তরে আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন৷ মমতা তখন সরকারের দিকেই ছিলেন৷

প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংছবি: AP

অনাস্থা প্রস্তাব যাতে সংসদে পাশ হয়, সেজন্য মমতা অ-কংগ্রেসি এবং অ-বিজেপি দলগুলিকে নিয়ে জোট বাঁধার চেষ্টায় আছেন৷ সংযুক্ত জনতা দল, বিজু জনতা দল, এআইএডিএমকে দলের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করেছেন তিনি ইতিমধ্যেই৷

বিদেশি বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিলগুলি সংসদে কী পাশ করাতে পারবেন সরকার? বামদলগুলিও সংসদের ভেতরে বাইরে প্রতিবাদে সোচ্চার৷ বিল আটকাতে মরিয়া৷ লোকসভাতে পাশ হলেও রাজ্যসভাতে সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই৷ সেক্ষেত্রে সংসদের যৌথ অবিবেশন ডেকে বিল পাশ করানো যেতে পারে৷

দেখে নেয়া যাক বর্তমানের রাজনৈতিক বাস্তবতাটা কী?এক্ষেত্রে বিজেপি'র অবস্থান নিয়ে সংশয় রয়েছে৷ সাধারণভাবে বিদেশি লগ্নিতে বিজেপি'র আপত্তি নেই৷ বিমাতে ২৬ শতাংশ বিদেশি লগ্নিতে বিজেপি'র সমর্থন ছিল৷ কিন্তু ঊর্ধ্বসীমা বাড়ানোর ফলে রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতায় বিজেপি বলছে সব শ্রেণির স্বার্থ সুরক্ষিত রাখলে তবেই সমর্থনের প্রশ্ন উঠবে৷ সংসদের নিম্নকক্ষে ৫৪৩ জন সাংসদ৷ জোট সরকারে আছে ২৬০৷ ন্যূনতম সংখ্যা দরকার ২৭২৷ বিজেপি'কে পেলে হবে ৩৭৪৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ