1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কটু কথা বলা আর শাস্তি নয়!

২ জানুয়ারি ২০১৮

জার্মানিতে আগে এমন ‘অপরাধের' শাস্তির বিধান ছিল, যা নতুন বছর থেকে আর কার্যকর থাকল না৷ সোমবার দেশটির পার্লামেন্টের দুই কক্ষেই শাস্তির বিধানটি বাতিল করা হয়৷

Gewaltbereite Jugend Berlin Deutschland Symbolbild
ছবি: Imago/photothek/L. Johannssen

জার্মান সংবিধানের ১০৩ নম্বর অনুচ্ছেদ মতে, বিদেশি কোনো রাষ্ট্র বা সরকার প্রধান কিংবা সংগঠনের নিন্দা করলে তিন বছর অবধি জেলের ভাত খেতে হবে৷ দেশটির পার্লামেন্ট এই অনুচ্ছেদটিই বাতিল করে দিল৷

বিষয়টি আলোচনায় আসে ২০১৬ সালে যখন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়েপ এর্দোয়ান জার্মান টকশো উপস্থাপক ইয়ান ব্যোমারমানের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেন৷ জার্মান ব্রডকাস্টার জেডডিএফ-এ একটি কবিতা পড়েন ইয়ান, যেখানে এর্দোয়ান শিশু পর্ণোগ্রাফি দেখেন এবং পশুর সঙ্গে যৌনকর্ম করেন বলে কটুক্তি করা হয়৷

ছবি: picture-alliance/Presidential Press Office/dpa/Spata

তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা শুরু হলে বাকস্বাধীনতা কতটুকু থাকা প্রয়োজন তা নিয়ে ব্যাপক তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়৷

এদিকে, ইন্টারনেটে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য নিয়ন্ত্রণে নতুন আইন করেছে জার্মান সরকার৷ আইনটির নাম নেটওয়ার্ক এনফোর্সমেন্ট ল বা নেটজডিজি৷ এই আইন অনুযায়ী, যেসব ইন্টারনেটভিত্তিক প্লাটফর্মের ২০ লাখের বেশি ব্যবহারকারী আছে তাদের যে কোনো ধরনের বিতর্কিত বা অবৈধ পোস্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়া হলে তা ২৪ ঘণ্টা থেকে সাত দিনের মধ্যে সরিয়ে ফেলতে হবে৷ অন্যথায় গুনতে হবে পাঁচ কোটি ইউরো পর্যন্ত জরিমানা৷ শুধু তাই নয়, প্রতিষ্ঠানগুলো কী ব্যবস্থা নিল ফি বছর তার প্রতিবেদনও দিতে হবে৷ জার্মানির ফেডারেল কোর্ট অফ জাস্টিসে যে কেউ এ সব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নালিশ করতে পারবেন৷

এই আইন ফেসবুক, টুইটার, গুগল, ইউটিউব, স্ন্যাপচ্যাট, ইনস্টাগ্রামসহ সবার জন্যই প্রযোজ্য৷ তবে পেশাদার নেটওয়ার্ক লিংকডইন ও জিং এবং মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ-এর আওতামুক্ত থাকবে৷

গেল অক্টোবরেই এই আইন জারি করার সব বন্দোবস্ত হয়ে গেছে৷ তবে প্রতিষ্ঠানগুলোকে অভিযোগ ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি গড়ে তোলার জন্য তিন মাস সময় দেয়া হয়েছিল৷ এরই মধ্যে গুগল অভিযোগ জানাবার জন্য একটি অনলাইন ফর্ম ছেড়েছে৷ টুইটার রিপোর্ট অপশনের একটি এক্সটেনশন যোগ করেছে যেখানে লেখা আছে ‘‘নেটজডিজি আইনের অধীনে''৷ ফেসবুকে অবশ্য বিষয়টি একটু জটিল৷ তবে তারা বলছে যে, প্রতি সপ্তাহেই লাখ লাখ অভিযোগ জমা পড়ছে সেখানে৷

ছবি: picture-alliance/dpa/M. Gerten

এই আইনটি বিদ্বেষমূলক পোস্ট নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখবে বলে কর্তৃপক্ষ দাবি করলেও অনেকেই বাক স্বাধীনতা খর্ব হবে বলে এর সমালোচনা করছেন৷ বিশেষ করে উগ্র ডানপন্থি দল এএফডি বলছে যে, এটি একটি সেন্সরশিপ আইন৷ এছাড়া ভুয়া অভিযোগের কারণেও অনেক পোস্ট ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলেও সমালোচনা আছে৷

জার্মানির আইন মন্ত্রণালয় গেল ২০১৫ সাল থেকেই সামাজিক গণমাধ্যমগুলোর উপর নানাভাবে চাপ তৈরি করছে৷ জার্মানিতে শরণার্থীরা আসতে থাকায় তখন সামাজিক গণমাধ্যমে ব্যাপক হারে বিদ্বেষমূলক পোস্ট দেয়া হচ্ছিল৷

জেডএ/ডিজি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ