জার্মানির সর্বোচ্চ আদালত শুধুমাত্র স্কুল শেষের পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে ডাক্তারি পড়ার সিট দেওয়ার প্রথাকে অংশত অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা করেছেন৷ এ যাবৎ তার একমাত্র বিকল্প ছিল বিদেশে ডাক্তারি পড়া৷
বিজ্ঞাপন
স্থান: বার্লিন থেকে পোল্যান্ড যাওয়ার পথে সীমান্ত পার হয়েই পোল্যান্ডের স্টেটিন শহর৷ সেখানকার পমেরেনিয়ান মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটিতে ইংরেজিতেই লেকচার দেওয়া হয়৷ কেননা এখানে ডাক্তারি পড়ার জন্য বিদেশি ছাত্রছাত্রীদের ভিড় – যাঁদের অর্ধেকই আসে জার্মানি থেকে৷
এ ধরনের অধিকাংশ জার্মান ছাত্রছাত্রীর সমস্যা হলো, তাঁদের কাছে জার্মান ‘‘আবিটুর'' বা হাইস্কুল ডিপ্লোমা থাকা সত্ত্বেও, সেই ডিপ্লোমার গ্রেড জার্মানিতে ডাক্তারি পড়ার জন্য পর্যাপ্ত নয়৷ আরেকটি সমস্যা হলো, আবিটুর-এর পর প্যারামেডিক বা ফিডজিওথেরাপিস্ট বা নার্স ইত্যাদি চিকিৎসা সংক্রান্ত পেশায় প্রশিক্ষণ নিয়ে বা কাজ করেও বিশেষ কোনো লাভ হয় না, কেননা ডাক্তারি পড়ার সিট পাওয়ার জন্য কতদিন – বা আরো কত বছর – অপেক্ষা করতে হবে, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই৷ কাজেই অনেকেই গত্যন্তর না দেখে পোল্যান্ডে – বা বিদেশে – ডাক্তারি পড়তে যান৷
জার্মানিতে ডাক্তারি পড়ার প্রতিটি সিটের জন্য অন্তত পাঁচজন করে প্রার্থী থাকে৷ ডাক্তারি পড়ার জন্য আবিটুর-এ অন্তত ১ দশমিক ০ গ্রেড থাকা দরকার – যা ব্রিটিশ এ-লেভেলে এ*এএ বা যুক্তরাষ্ট্রের ৪ দশমিক ০ গ্রেড পয়েন্ট অ্যাভারেজের সমতুল৷ এই ‘নুমেরুস ক্লাউজুস'-এর বেড়ায় অধিকাংশ প্রার্থীর ডাক্তারি পড়া স্বপ্ন আটকা পড়ে যায় – এবং তা বেশ কয়েক বছরের জন্য হতে পারে৷
স্কুলে প্রথম দিনে যা করা হয়
স্কুলের এক্কেবারে প্রথম দিনটায় কিছু শিশু রোমাঞ্চ অনুভব করে, কেউ কেউ আবার ভয় পায়৷ কিন্তু দিনটা এড়ানোর তো কোনো উপায় নেই৷ জার্মান স্কুলগুলোয় প্রথম দিনে অনেক কিছু করা হয়, যার কতগুলো শত বছর আগে থেকেই প্রচলিত৷
ছবি: picture alliance/dpa/P. Steffen
উপহারভর্তি ঠোঙা
জার্মান শিশুদের স্কুলের প্রথমদিন উপহারসামগ্রী ভর্তি একটি ‘শুলট্যুটে’ বা ঠোঙা নিয়ে যেতে হয়৷ বাচ্চাদের উৎসাহ দেয়ার জন্য এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ স্কুলে শিশুটির ১২-১৩ বছর যাতে মধুর হয়, সে জন্যই সম্ভবত ঠোঙার মধ্যে বেশি করে মিষ্টি চকলেট ভরে দেওয়া হয়৷ সেই ঊনিশ শতক থেকেই এটা চালু রয়েছে৷
ছবি: imago/Kickner
নতুন অধ্যায়ের সূচনা
অধিকাংশ শিশুর বয়স ছ’বছর হলে রাজ্য ভেদে আগস্ট বা সেপ্টেম্বর মাসে স্কুল জীবন শুরু হয়৷ তবে এই শিশুদের অধিকাংশই এর আগের সময়টা কিন্ডারগার্টেন বা ডে-কেয়ার সেন্টারে কাটিয়ে আসে৷ এ সমস্ত সেন্টারে লেখাপড়া বা নিয়মকানুনের বিশেষ কোনো চাপ নেই৷
ছবি: Getty Images/AFP/S.Khan
সঠিক ব্যাগ বাছাই
প্রথমদিন শিশুকে স্কুলে পাঠানোর আগে তার জন্য সঠিক ব্যাকপ্যাকটি বাছাই করতে হয় অভিভাবকদের৷ এই ব্যাগের নাম ‘শলরানৎসেন’৷ এই ব্যাগ সাধারণ চৌকো হয়, যাতে সেটা বেঁকে না যায় এবং ভেতরে থাকা খাবার নষ্ট না হয়৷ শিশুরা স্কুল জীবনের শুরুর দিকে নিজেদের পোশাকের চেয়ে ব্যাগকেই গুরুত্ব দেয় বেশি৷ তাই বাচ্চাকে হালের ফ্যাশন অনুযায়ী ব্যাকপ্যাক কিনে দিলে তারা খুশি হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
স্কুলে যা দেয়া গুরুত্বপূর্ণ
কেনার পর ব্যাগটি প্রথমদিনের জন্য প্রয়োজনীয় কলম, পেন্সিল, রুলার এবং ফোল্ডার দিয়ে ভরতে হয়৷ জার্মানির স্কুলগুলোতে প্রায়ই লাঞ্চের ব্যবস্থা থাকে না৷ তবে ক্লাসের ফাঁকে বাচ্চাদের একটা স্ন্যাক বিরতি দেয়া হয়৷ সেসময় খাওয়ার জন্য তাদের দিতে হয় ‘পাওসেব্রট’ বা ‘বিরতির রুটি’৷ তাই এ জন্য উপযোগী একটি টিফিনবক্সও স্কুলব্যাগের মধ্যে রাখা চাই৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Gentsch
মনে রাখার মতো একটা দিন
অনেক অভিভাবকই সন্তানের প্রথম স্কুলে যাওয়ার দিনটির বা স্কুলের জন্য তৈরি হওয়া, সাজসজ্জার ছবি তুলে রাখেন৷ তাই কাঁধে ব্যাগ আর হাতে ‘শুলট্যুটে’ – প্রায় সব বাচ্চারই এমন ছবি দেখা যায়৷ ব্যাগটির আয়তন অবস্য বেশিরভাগক্ষেত্রেই শিশুর বড় হয়৷ ওপরে লেখা থাকে ‘স্কুলে আমার প্রথম দিন’৷ হ্যাঁ, ঠিক যেমনটা দেখতে পারছেন ছবিতে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/R. Hirschberger
আশীর্বাদ
জার্মানিতে স্কুলের প্রথমদিনটি পড়াশোনা দিয়ে শুরু হয় না৷ বরং এই দিন বিশেষ এক প্রার্থনাসভার মাধ্যমে শুরু হয় বাচ্চাদের স্কুল জীবন৷ শিশুদের অভিভাবক, আত্মীয়স্বজন আর ‘গড-প্যারেন্টসদের’ সেই সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়৷ সার্বজনীন গির্জায় অনুষ্ঠিত এই সভায় শিশুদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য প্রার্থনা করা হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
অভিজ্ঞদের নেতৃত্বদান
স্কুলের শুরুতে পুরনো শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকরা স্কুল সম্পর্কে নবাগতদের একটি ধারণা দেয়ার চেষ্টা করেন৷ অনেক স্কুলে তৃতীয় বা চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নবাগতদের মধ্যে বন্ধুত্ব করিয়ে দেয়া হয়, যাতে তারা নতুনদের স্কুলটি চেনিয়ে দিতে সাহায্য করতে পারে৷
ছবি: picture alliance/dpa/P. Steffen
স্কুলের সঙ্গে মানিয়ে নেয়া
স্কুলে নবাগতদের প্রথম দিনই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে স্কুলটি দেখানো হয়, যাতে তারা সেখানে নিজেদের মানিয়ে নিতে পারে৷ স্কুলের আকার অনুযায়ী নবাগতদের ক্লাসরুমগুলো ‘ওয়ান এ’, ‘ওয়ান বি’, ‘ওয়ান সি’ ইত্যাদি লেবেলে সাজিয়ে দেয়া হয়৷ আর ক্লাসরুমের ভেতরে ব্ল্যাকবোর্ডে লেখা থাকে ‘‘স্বাগতম, ক্লাস ওয়ান এ’’ – এমন সব শুভেচ্ছাবার্তা৷
ছবি: picture alliance/dpa/G. Kirchner
পারিবারিক পুর্নমিলনী
প্রথমদিন স্কুল শেষে বাড়ি ফিরেই শিশুরা বাবা-মা, ভাই-বোন, এমনকি দূরের আত্মীয়স্বজনদেরও কাছে পায়৷ কেননা, অনেক পরিবারই সন্তানের স্কুলে যাওয়ার প্রথম এই দিনটিকে উদযাপন করার জন্য বাড়িতে ছোটখাট পার্টির আয়োজন করেন৷ সেখানে শিশুটিকে নতুন জগতে প্রবেশের জন্য অভিনন্দন জানানো হয়৷ বলাবাহুল্য, একদিনে এতসব আয়োজন অনেক শিশুকে কিছুটা শঙ্কিতও করে তোলে৷
ছবি: picture alliance/R. Goldmann
স্কুলে দ্বিতীয় দিন
প্রথমদিন উৎসবে শেষ হলেও ,দ্বিতীয় দিনে কিন্তু শিশুদের প্রথম কাজ হয় নিজের ক্লাসরুম খুঁজে বের করা৷ আর এভাবেই শুরু হয় তার শিক্ষা জীবন৷ প্রাথমিক স্কুলে চারবছর কাটানোর পর, মেধার ভিত্তিতে শিশুদের তিন ধরনের পৃথক স্কুলে পাঠানো হয় জার্মানিতে৷
ছবি: picture alliance/dpa/P. Steffen
10 ছবি1 | 10
আদালতের রায়ে ‘নুমেরুস ক্লাউজুস' নাড়া খেল
সম্প্রতি জার্মানির সাংবিধানিক আদালত রায় দেন যে, ডাক্তারি পড়ার সিট বণ্টনের প্রণালী অংশত অসাংবিধানিক, কেননা তা সকলের জন্য সমান সুযোগের নীতির বিরোধী৷ কাজেই ফেডারাল সরকারকে সিট পাবার – ও দেবার শর্তাবলী নতুন করে নির্দেশ করতে হবে৷
আদালতের রায়ের আগে প্রণালীটা ছিল এইরকম: ডাক্তারি পড়ার ৯,০০০ সিটের প্রায় ২০ শতাংশ যেত আবিটুর-এ ভালো ফলাফল করা ছাত্রছাত্রীদের কাছে৷ আরো ৬০ শতাংশ যেতো সংশ্লিষ্ট মেডিক্যাল কলেজটির নির্দিষ্ট শর্তাবলী অনুযায়ী, যদিও এখানেও প্রার্থীদের আবিটুর ফলাফলের গুরুত্ব থাকছে৷ বাদবাকি সিটগুলো পেতেন সেই সব প্রার্থী, যাঁরা ডাক্তারি পড়ার জন্য ধৈর্য ধরে এতদিন অপেক্ষা করছেন৷ যাঁদের আবিটুর গ্রেড ভালো নয়, ডাক্তারি পড়ার সিট পাবার জন্য বর্তমানে তাঁদের ছ'বছর অপেক্ষা করতে হয়৷
বছরে ১০,০০০ ইউরো টিউশন ফি
স্টেটিনের পমেরেনিয়ান মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটিতে ডাক্তারি পড়ার জন্য জার্মান ছাত্রছাত্রীদের বছরে ১০,০০০ ইউরো টিউশন ফি দিতে হয়৷ অর্থাৎ স্বচ্ছল, এমনকি বিত্তশালী পরিবারের সন্তান না হলে, বিদেশে ডাক্তারি পড়াটা সব জার্মান ছাত্রছাত্রীর পক্ষে সম্ভব নয়৷ স্টেটিনে যে সব জার্মান ছাত্রছাত্রী ডাক্তারি পড়ছেন, তাঁরা অর্থবলে এই সুযোগ পাওয়ার ব্যাপারে কিছুটা বিবেকদংশনে ভোগেন৷ অপরদিকে তাঁদের যুক্তি হলো, তাঁদেরও ডাক্তারি পড়ার অধিকার আছে; এছাড়া জার্মানিতে প্রার্থীদের অপরাপর পেশাগত দক্ষতা বা অভিজ্ঞতা বিচার করা হয় না – যা সাংবিধানিক আদালতেরও নজর এড়ায়নি৷
জার্মান ভাষা শিখুন
নতুন একটা ভাষা শিখতে অনেক সময় লাগতে পারে৷ অনেক সময় হতাশারও কারণ হয়৷ তাই এখানে থাকছে সহজে জার্মান ভাষা শেখার কয়েকটি উপায়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
জোরে বলুন
নতুন একটি ভাষায় কথা বলা অনেক কঠিন, কেননা শুধু শিখলে হয় না শেখার সঙ্গে সঙ্গে সেটা ব্যবহারও করতে হয়৷ তাই প্রচুর চর্চা করতে হবে৷ আপনার যদি জার্মান বলার কোনো সঙ্গী না থাকে তাহলে নিজেই জোরে জোরে নিজের সঙ্গে জার্মান ভাষায় কথা বলুন৷
ছবি: Fotolia/athomass
ঘরের সব কিছুর উপর জার্মান নাম লিখুন
গৃহস্থালির জিনিসপত্রের উপর ছোট ছোট কাগজ সেঁটে দিন যার উপরে যেসব জিনিসের জার্মান নাম লেখা থাকবে৷ ভাষা শেখার এটা একটা সহজ উপায়৷ চাইলে সেগুলো ‘ডিফেনেট’ নাকি ‘ইনডেফিনেট’ নাউন তাও উল্লেখ করে দিতে পারেন৷
ছবি: Colourbox
শিশুদের বই এবং কমিক পড়ুন
জার্মান ভাষায় লেখা শিশুদের বই এবং কমিকগুলো সাধারণত সহজবোধ্যভাবে লেখা হয়৷ তাতে অনেক ছবিও থাকে৷ যাঁরা ভাষা শিখতে সবে শুরু করেছেন, তাঁদের জন্য এটা বেশ কার্যকর উপায়৷
ছবি: DW/N. Steudel
বাজারের ফর্দ লিখুন জার্মান ভাষায়
জার্মান শব্দ শেখার এবং মনে রাখার এক উপায় হতে পারে বাজারের ফর্দ সে ভাষায় লিখলে৷ এটা কার্যকর এ জন্য যে এ সব শব্দ প্রতিদিনই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে আপনার ব্যবহার করতে হতে পারে৷
ছবি: DW/A.-S. Bändlin
ভাষা ‘পার্ফেক্ট’ হওয়া অবধি অপেক্ষা নয়
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আপনি যা বলতে চাচ্ছেন, তা অন্যরা বুঝতে পারছে কিনা৷ আর এর অর্থ এই নয় যে আপনার প্রতিটি একেবারে ব্যাকারণের নিয়ম মেনে সঠিক হতে হবে৷ আর ‘নাউন’ বা বিশেষ্যের ‘আর্টিকেল’ আপনি সঠিকভাবে বলতে না পারলে তাতে বড় কোনো ক্ষতির শঙ্কাও নেই৷ তাই ভাষা বলার চেষ্টা করুন৷
ছবি: Elizabeth Shoo
জার্মান রেডিও শুনুন
আপনি যখন ভাষা শিক্ষায় নতুন, তখন হয়ত জার্মান রেডিও শুনে কিছুই বুঝতে পারবেন না৷ তবে যত বেশি শুনবেন ততই ভাষাটির সঙ্গে আপনার সখ্যতা বাড়বে৷ মোটামুটি যাঁরা জার্মান জানেন তাঁরা ভাষার উন্নতির জন্য নিয়মিত রেডিও শুনতে পারেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/L. Schulze
একজন জার্মানকে খুঁজে নিন
ভাষা শেখার অন্যতম ভালো উপায় হচ্ছে সেই ভাষাভাষী একজনকে খুঁজে নেয়া যার সঙ্গে আপনি নিয়মিত কথা বলতে পারবেন৷ পশ্চিমা সমাজে ‘টানডেম পার্টনার’ পাওয়া যায় যাঁরা একে অপরকে ভাষা শিখতে সহায়তা করেন৷ চুক্তিটা এমন, আপনি একজন জার্মানকে বাংলা শেখাবেন, আর সে আপনাকে জার্মান শেখাবে৷
ছবি: Colourbox
রান্নায় জার্মান রেসিপি ব্যবহার করুন
রান্নায় মানে শুধু এই নয় যে আপনি আপনার দিনের আহার তৈরি করছেন৷ এটা জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশও৷ বিভিন্ন খাবারের জার্মান নাম জানতে তাই জার্মান রেসিপি ব্যবহার করতে পারেন৷
ছবি: Deyan Georgiev/Colourbox
আপনার পরিচিত বইয়ের জার্মান সংস্করণ পড়ুন
আপনার প্রিয় বইটি হচ্ছে অনেকটা আপনার হাতের উল্টো পিঠের মতো যার সবকিছু আপনি জানেন, তাই না? তাই এই বইয়ের জার্মান সংস্করণ যখন আপনি পড়বেন, তখন তা বুঝতে সুবিধা হবে৷
ছবি: Colourbox
জার্মান গান শুনুন, বোঝার চেষ্টা করুন
সংগীত মানুষকে আবেগী করে তোলে এবং একে অপরের মাঝে সেতু তৈরি করে দেয়৷ তবে এটি ভাষা শিখতেও সহায়ক৷ ডয়চে ভেলের এ সংক্রান্ত একটি অনুষ্ঠানও আছে৷ সেটি পেতে ছবির নীচে ডান পাশে ‘আরো’ লেখায় ক্লিক করুন৷
ছবি: Getty Images/A. Rentz
জার্মান সিনেমা, টিভি দেখুন
ভাষা শেখা এবং বিনোদনের এক উপায় এটি৷ অনেক ছবি বা টিভি অনুষ্ঠান ‘সাবটাইটেলসহ’ থাকে, ফলে তা সহজে বোঝা যায়৷ ডয়চে ভেলের জার্মান ভাষা শিক্ষা প্রকল্পের আওতায় একটি নাটক তৈরি করা হয়েছে যা আপনাকে সহায়তা করতে পারে৷ সেটি পেতে ‘আরো’ লেখায় ক্লিক করুন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
11 ছবি1 | 11
দোভাষী নিয়ে রোগী দেখা
পমেরেনিয়ান মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির বিদেশি ছাত্রছাত্রীরা হাসপাতালের ওয়ার্ডে দোভাষী সঙ্গে নিয়ে রোগী দেখেন, কেননা পোলিশ ভাষা পুরোপুরি আয়ত্ত করতে তাঁদের এখনও অনেক বাকি৷ কাজেই চারজন করে বিদেশি ছাত্রছাত্রী একজন পোলিশ দোভাষীকে সঙ্গে করে রাউন্ডে বেরোন৷
সম্প্রতি আরেকটি পন্থা আবিষ্কৃত হয়েছে: স্টেটিনে পড়াশুনা করার পর জার্মান ছাত্রছাত্রীরা দেশে ফিরে গিয়ে আস্কলেপিওস গোষ্ঠীর বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ পান৷ এই মর্মে ইউনিভার্সিটির সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও আস্কলেপিওস গোষ্ঠীর মধ্যে চুক্তি হয়েছে৷
ডাক্তারের অভাব শুধু জার্মানিতেই নয়
জার্মানিতে ডাক্তারদের শ্রমিক সংগঠন মারবুর্গার বুন্ড বহুদিন ধরে জার্মানির মেডিক্যাল স্কুলগুলিতে আসনসংখ্যা বাড়ানোর ডাক দিয়ে আসছে৷ ওদিকে পোল্যান্ডে ডাক্তারের অভাব জার্মানির তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ৷ কাজেই স্টেটিনে ইংরেজি ভাষায় হবু জার্মান ডাক্তারদের প্রশিক্ষণ দিয়ে জার্মানিতে ডাক্তারের অভাব কিছুটা কমাতে পারলে, পোলিশ ডাক্তারদেরও দেশ ত্যাগ করে বিদেশে যাওয়ার প্রবণতা কিছু কমতে পারে, এমন আশাও রয়েছে – যদিও এই স্টেটিন শহরেই গত গ্রীষ্মে তরুণ ডাক্তাররা তাঁদের দীর্ঘ কাজের সময় ও অপর্যাপ্ত পারিশ্রমিক নিয়ে আন্দোলন করেছেন৷