বিদেশে চাকরি
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১২প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির প্রধান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, তবে এজন্য বিদেশে বাংলাদেশি দূতাবাসগুলোতে জনশক্তি বাড়াতে হবে৷ আর যাতে কেউ হয়রানির শিকার না হন, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে৷
বাংলাদেশ থেকে যারা বিদেশে চাকরি নিয়ে যান, তারা দুধরনের ভিসায় যান৷ একটি হল গ্রুপ ভিসা৷ আরেকটি একক ভিসা৷ এতদিন যারা একক ভিসায় গিয়েছেন, তাদের ভিসা সংশ্লিষ্ট দেশে বাংলাদেশি দূতাবাস থেকে পরীক্ষা করানোর প্রয়োজন ছিলনা৷ শুধুমাত্র গ্রুপ ভিসা পরীক্ষা করাতে হত৷ কিন্তু প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় একক ভিসাও পরীক্ষার নিয়ম চালু করেছে৷ গ্রুপ ভিসা আর একক ভিসায় বিদেশে শ্রমশক্তি রফতানির পরিমাণ প্রায় সমান সমান৷ তাই জনশক্তি রফতানিকারকরা বলছেন, এতে দীর্ঘসূত্রিতা বাড়বে , বাড়বে হয়রানি৷ এর জবাবে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির প্রধান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, প্রতারণা বন্ধেই এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে৷ কারণ একক ভিসায় বিদেশে চাকরি নিয়ে অনেকেই প্রতারণার শিকার হচ্ছেন৷
তিনি বলেন, তবে বিদেশে, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের বাংলাদেশি দূতাবাসগুলোতে জনশক্তি বাড়াতে হবে৷ কারণ এখন তাদের কাজের চাপ বাড়বে৷ খেয়াল রাখতে হবে, কেউ যেন দূতাবাসে হয়রানির শিকার না হন৷
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে বাংলাদেশের নাগরিকদের শিরশ্ছেদের ঘটনা ঘটলেও তা বিদেশে বাংলাদেশের শ্রমবাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবেনা৷ কারণ সংখ্যা বিবেচনা করলে অপরাধে জড়িয়ে পড়ার ঘটনা খুবই নগণ্য৷ তবু্ও তিনি মনে করেন, বিদেশে বাংলাদেশের নাগরিকদের সে দেশের আইন কানুন জানতে হবে এবং তা যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে৷
তিনি জানান, এখন থেকে বিদেশে বাংলাদেশের যারা চাকরি নিয়ে যাবেন, তাদের সেই দেশের আইন কানুন এবং রীতি-নীতিরও আগাম প্রশিক্ষণ দেয়া হবে৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন