বিদ্ধস্ত বুদ্ধমূর্তিগুলিকে সংস্কার করছে আফগানিস্তান
৩ সেপ্টেম্বর ২০১০আফগানিস্তানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ঐতিহ্য বুদ্ধমূর্তি৷ পাহাড়ের খাঁজ কেটে তৈরি করা বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা বুদ্ধমূর্তিকে দেখতে ছয়ের দশকের হিপি আন্দোলনের সময় থেকে পাশ্চাত্ত্যের ভ্রামণিকরা ভিড় করতেন সেখানে৷ কিন্তু তালেবানরা যখন সে দেশে ক্ষমতায় ছিলো সে সময় ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ভেঙ্গে ফেলে মূর্তি দু'টোকে৷
যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশটির হারানো পর্যটনশিল্পকে আবারও মাথা তুলে দাড়াতে পনেরোশ বছরের পুরানো মূর্তি দু'টিই পারে একমাত্র সাহায্য করতে৷ তাই আফগান সরকার মূর্তিগুলোর সংস্কার কাজে নেমেছে৷
এদিকে, সেখানকার অধিবাসীরা যদিও দাবি করে আসছে দেশটির মধ্যে সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ জায়গা হচ্ছে বামিয়ান৷ কিন্তু সাম্প্রতিককালে জঙ্গিদের কিছু কার্যকলাপ তাদের সেই দাবিকে প্রশ্নের সম্মুখীন করে তুলেছে৷
জুলাই মাসে নিউজিল্যান্ডের এক সৈনিক তালেবানদের হামলায় মারা যান বামিয়ানে৷ সে সময়ে জঙ্গিদের অতর্কিত হামলায় মারা যান আরও ছয়জন আফগান নাগরিক৷ তারপরেও বামিয়ান কিন্তু পর্যটকদের টানছে৷
মোহাম্মদ হাশিম সম্প্রতি কাবুল থেকে বামিয়ানে বেড়াতে এসেছিলেন৷ বলছিলেন, বুদ্ধগুহা এতটা বিস্ময়বিহবল করে তোলে যে আমি আমার নিজের চোখকেই বিশ্বাস করতে পারছিলাম না৷ মূর্তি দুটির একটি তিপ্পান্ন মিটার এবং আরেকটি পয়ঁত্রিশ মিটার লম্বা৷ এগুলোকে দেখিয়ে তিনি বলছিলেন, কিন্তু আমার খুব মায়া লাগছে যে মুর্তিগুলো আর আগের মতো নেই৷
আফগানিস্তানের রাজধানী ও দেশটির যেকোনো অঞ্চলের সবকিছুকে ছাপিয়ে গেছে বামিয়ান শহরের বুদ্ধমূর্তি৷ যা এরইমধ্যে জাতিসংঘের বিশ্ব ঐতিহ্যেও স্থান পেয়েছে৷ আর এই ভাস্কর্যকে নতুন করে মূল আদলে ফিরিয়ে আনতে তহবিল দিচ্ছে জাপান৷ কীভাবে একে মূল আদলে ফিরিয়ে আনা হবে তা নিয়ে এরইমধ্যে স্থানীয় ও বিদেশি সংস্থাগুলোর কাছ থেকে প্রস্তাবও এসে গেছে৷
প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস
সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়