1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রে সুপারকন্ডাক্টিভিটি

গাবেল্ট/ভিনৎসেন/এসবি১৩ জুলাই ২০১৫

টেকসই পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে গোটা বিশ্বে নানা রকম উদ্যোগ চলছে৷ কিন্তু সেই বিদ্যুৎ বিতরণের সময় যে শক্তি নষ্ট হয়, তা দূর করা এখনো সম্ভব হয়নি৷ সুপারকন্ডাক্টরের মাধ্যমে সেই প্রচেষ্টা চলছে৷

Solar System in Pakistan
ছবি: picture-alliance/Asianet Pakistan PPI Images

সাধারণ বাল্ব আলোর পাশাপাশি উত্তাপও সৃষ্টি করে৷ এ কথা প্রায় সবারই জানা আছে৷ আসলে একটি লাইট বাল্ব যতটা শক্তি শুষে নেয়, তার মাত্র ১০ শতাংশ আলো৷ নব্বই শতাংশই উত্তাপে পরিণত হয়৷

কিন্তু বিদ্যুৎ কেন আদৌ অন্য কিছুতে রূপান্তরিত হয়? আলো ও উত্তাপের উৎস কী? এর চাবিকাঠি লুকিয়ে রয়েছে ‘ইলেকট্রিকাল রেজিস্টেন্স'-এর মধ্যে৷ তারের মধ্যে যে ইলেকট্রন প্রবাহ ঘটে, তা তারের পরমাণুর মধ্যে শক্তি ছেড়ে দেয়৷ রেজিস্টেন্স যত বেশি হয়, পরমাণু তত বেশি পরিমাণ শক্তি ছাড়ে এবং উত্তাপও সেই মাত্রায় বাড়ে৷ এর ফলে সরু তার গরমে লাল হয়ে যায়৷ সেটি আলো এবং উত্তাপ – দুটিই বিকিরণ করে৷

লাইট বাল্বের ক্ষেত্রে সেটাই কাম্য৷ কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে তাতে শক্তি হারিয়ে যায়৷ ওভারহেড বিদ্যুতের লাইনেও একই পরিস্থিতি দেখা যায়৷

এক শতাব্দী আগে নেদারল্যান্ডস-এর পদার্থবিদ হাইকে কামারলিং অনেস একটি আবিষ্কার করেছিলেন৷ তিনি দেখেছিলেন যে, বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে কয়েকটি পদার্থের আর কোনো ইলেকট্রিক রেজিস্টেন্স থাকে না৷ তারা ‘সুপারকন্ডাক্টিভ' হয়ে যায়৷ তরল হিলিয়াম ব্যবহার করে তিনি পারদকে মাইনাস ২৬৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত ঠান্ডা করতে পেরেছিলেন, যা সর্বনিম্ন সম্ভাব্য তাপমাত্রার কাছাকাছি৷ তিনি পর্যবেক্ষণ করেছিলেন যে, ঠান্ডা করার পর এই ধাতুর রেজিস্টেন্স আচমকা উধাও হয়ে যায়৷

অনেককাল ধরে এটি শুধু পদার্থবিদদের আগ্রহের বিষয় ছিল৷ কিন্তু বিংশ শতাব্দীর শেষদিকে গবেষকরা আবিষ্কার করেন যে, পদার্থগুলি আরও উচ্চ তাপমাত্রায় সুপারকন্ডাক্টিভ হয়ে ওঠে৷ মাইনাস ১৯৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে এই প্রভাব বাস্তবেও প্রয়োগ করা সম্ভব৷ সহজলভ্য তরল নাইট্রোজেন দিয়ে এমন নিম্ন তাপমাত্রা অর্জন করা সম্ভব৷

আজ সুপারকন্ডাক্টর ব্যবহারের সবচেয়ে পরিচিত উদাহরণ হলো এমআরআই পরীক্ষা৷ সুপারকন্ডাকটিভ কয়েল এক শক্তিশালী চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি করে, যেমনটা কোনো সাধারণ পদার্থ দিয়ে সম্ভব নয়৷ এমআরআই স্ক্যান শরীরের টিস্যুর নিখুঁত ছবি তুলে ধরে, এক্সরে-র মাধ্যমে যা একেবারেই সম্ভব নয়৷

সুপারকন্ডাক্টিভ কয়েল চৌম্বক শক্তিচালিত কয়েক টন ওজনের ম্যাগলেভ ট্রেনের ক্ষেত্রেও কাজে লাগে৷ সেটি লাইনের উপর ট্রেনকে ভেসে থাকতে এবং ঘণ্টায় ৫৮০ কিলোমিটার গতি ছুঁতে সাহায্য করে৷

সুপারকন্ডাক্টিভিটির এই গুণাগুণ কাজে লাগিয়ে যদি বিদ্যুতও দূরে পাঠানো যেত, সেটা হতো এক বিশাল সাফল্য৷ তারের মধ্যে যে শক্তি হারিয়ে যায়, সেই সমস্যা তখন দূর হতো৷ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিকে গ্রাহকের যতটা সম্ভব কাছে তৈরি করার প্রয়োজন আর থাকতো না৷

সে ক্ষেত্রে পৃথিবীর রৌদ্রোজ্জ্বল অঞ্চলে সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি শক্তি উৎপাদন করে কোনো ক্ষয় ছাড়াই গোটা বিশ্বে পাঠাতে পারতো৷ ডেনমার্ক ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ ক্ষেত্রে প্রাথমিক পরীক্ষা চালানো হয়েছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ