যাত্রীদের হাতে লেখা খাবারের মেনু দিয়েছিলেন বিমানের কেবিন ক্রুরা৷ বিজনেস ক্লাসে উপস্থিত এক ভ্লগারের চোখ এড়ায়নি বিষয়টি৷ নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে হাতে লেখা মেন্যুর একটি ছবি পোস্ট করেন তিনি৷
বিজ্ঞাপন
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের হাসির খোরাক হয়ে উঠে এ ছবি৷
সিডনি থেকে ইন্দোনেশিয়া ফিরছিল বিমানটি৷ নিয়ম অনুযায়ী যাত্রীদের খাবার মেনু বিতরণ করছিলেন অ্যাটেন্ডেন্টরা৷ তবে এ খাবারের মেন্যুটি ছিল নোটবুকের কাগজে হাতে লেখা অক্ষরে৷ বিষয়টি নজরে আসে বিমানে থাকা রিউস ভেরনান্দেস নামে এক সোশ্যাল মিডিয়া একটিভিস্টের৷ হাতে লেখা মেনুর একটি ছবি তুলে তিনি আপলোড করেন ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে৷ রিউস ভেরনান্দেসের রয়েছে প্রায় এক লাখ ফলোয়ার৷ মুহূর্তের মধ্যেই মেন্যুর ছবি ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে৷ আর শুরু হয় গারুদা এয়ারলাইন্স নিয়ে কে হাস্যকর সব মন্তব্যের৷
তবে বিষয়টি মানতে পারেননি বিমান কর্তৃপক্ষ৷ নিজেদের টুইটার অ্যাকাউন্টে তারা দাবি করেন, হাতে লেখা এ মেন্যু যাত্রীদের জন্য নয় বরং ফ্লাইটকর্মীদের জন্য লেখা হয়েছিল৷ পাশাপাশি এ ঘটনার জন্য রিউস ভেরনান্দেসের বিরুদ্ধে একটি মানহানির মামলাও করেন তারা৷ শুধু কি তাই! বিমানের ভেতরে যাত্রীরা যেন ছবি তুলতে না পারে সে বিষয়ক নির্দেশনা দেয়া হয়৷
গারুদা কর্তৃপক্ষের এমন পদক্ষেপের প্রতিবাদ জানায় অনেকেই৷ নিজেদের ব্যর্থতা লুকাতেই নাকি এমন পদক্ষেপ নিয়েছে বিমান কর্তৃপক্ষ, দাবি তাদের৷ প্রতিবাদের মুখে পিছু হটেছেছে কর্তৃপক্ষ৷ তবে বিমানের ভেতরে ছবি উঠানোর সময় অন্যদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা বিষয়টিকে বিবেচনায় নিতে অনুরোধ জানায় যাত্রীদের৷
আরআর/কেএম (রয়টার্স, ডিপিএ)
বিমানে চড়ার আগে আপনার এসব জানা উচিত
বিশ্বব্যাপী বিমানযাত্রীর সংখ্যা বাড়ছে৷ ব্যবসা করতে হোক, কিংবা লেখাপড়া বা ঘুরতে যাওয়া, মানুষের বিমানে চড়া বেড়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Rumpenhorst
পরিবেশের ক্ষতি করে স্বপ্নের গন্তব্যে
অনেক জার্মানের পছন্দের গন্তব্য এখন মালদ্বীপ৷ জার্মানি থেকে মালদ্বীপের দূরত্ব প্রায় আট হাজার কিলোমিটার৷ একটি বিমান এতখানি পথ গিয়ে আবার ফিরে আসতে অনেক কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমন করে৷ যাত্রীপিছু সেই পরিমাণ পাঁচ টনের বেশি বলে জানিয়েছে জার্মানির পরিবেশ সংস্থাস ইউবিএ৷ মাঝারি আকারের একটি গাড়ি ২৫ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিলে এই পরিমাণ কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গত হয়৷
ছবি: Imago/Zumapress/A. Nekrasov
শুধু কার্বন ডাই-অক্সাইড নয়
আকাশ দিয়ে বিমান যাওয়ার সময় পেছন থেকে সাদা ‘মেঘ’ বের হতে নিশ্চয় দেখেছেন৷ ইঞ্জিন থেকে বের হওয়া প্রচণ্ড গরম বাতাস বাইরের ঠাণ্ডা বাতাসের সঙ্গে মিশে এমন মেঘ তৈরি হয়৷ এই মেঘ নীচের ভূমি শীতল কিংবা উষ্ণ করতে পারে৷ এছাড়া বিমান থেকে নির্গত হওয়া নাইট্রোজেন অক্সাইডের কারণেও বিশ্ব উষ্ণ হয়ে উঠতে পারে৷
ছবি: picture alliance/dpa/H. Tittel
বিমান ওঠানামায় সমস্যা
বিমানবন্দরের কাছে যাঁদের বাড়ি তাঁরা বিমান ওঠানামার কারণে নানান সমস্যায় পড়েন৷ যেমন বিমানের বিকট শব্দে মানুষের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে৷ এছাড়া শিশুরা কোনো কিছুতে মনোযোগ দিতে সমস্যায় পড়ে৷ আর নাইট্রোজেন অক্সাইডের কারণে স্থানীয় বায়ুর গুণও নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/H. Ossinger
করমুক্ত জ্বালানি
ইউরোপীয় ইউনিয়নে বিমান চালাতে ব্যবহৃত তেলের উপর কোনো কর নেই৷ জার্মানির বাইরে আসা-যাওয়া করা ফ্লাইটও জার্মানির ভ্যাটের আওতামুক্ত৷ ফলে ২০১২ সালে ৪.৭ বিলিয়ন ইউরোর বেশি কর আয় থেকে জার্মানি বঞ্চিত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির পরিবেশ সংস্থা ইউবিএ৷ অর্থাৎ পরিবহনের সবগুলো মাধ্যমের মধ্যে বিমান চলাচল সবচেয়ে বেশি করসুবিধা পেয়ে থাকে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/L. Forra
নতুন সাম্রাজ্যবাদ?
বিশ্বের মোট জনসংখ্যার মাত্র ২০ শতাংশ বিমানে চড়েন বা চড়েছেন৷ ‘স্টে গ্রাউন্ডেড’ নামের এক সংস্থা জানিয়েছে, ধনী ও শিক্ষিত মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ, যাঁরা নিয়মিত বিমানে চড়েন, তাঁরা বিমান চলাচলের কারণে যে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হয়, তার ৭০ শতাংশের জন্য দায়ী৷