বিদ্রোহীদের কবল থেকে ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্টকে উদ্ধার
১ অক্টোবর ২০১০এই উদ্ধার অভিযানে দুই পুলিশ নিহত এবং ৩৭জন আহত হয়েছে৷
বৃহস্পতিবার দিনের প্রথমার্ধে সরকারের পরিকল্পিত বেতনহ্রাসের প্রতিবাদে বিদ্রোহী পুলিশ সদস্যরা সাময়িকভাবে রাজধানীর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি দখল করে নিয়েছিল৷ তারা হামলা চালিয়েছিল কংগ্রেস ভবনে৷ প্রেসিডেন্টের বাসভবনে হামলা পরিচালনা করেছিল তারা৷ এ ঘটনায় প্রেসিডেন্ট কোরেয়া সামান্য আহত হন এবং একটি হাসপাতালে আশ্রয় নেন৷
সংবাদ সংস্থাগুলো জানিয়েছে, পুলিশ হাসপাতালে আশ্রয় নেয়া প্রেসিডেন্টকে হত্যা করতে চেয়েছিল বিদ্রোহীরা৷ প্রায় ১২ ঘণ্টা অবরুদ্ধ অবস্থায় ছিলেন প্রেসিডেন্ট৷ এরপর অনুগত সৈন্যদের নিয়ে গড়া বিশেষ বাহিনী রুদ্ধশ্বাস অভিযান পরিচালনা করে তাঁকে উদ্ধার করেন৷ তিনি এখন তাঁর বাসভবনে রয়েছেন৷
তাঁর বাড়ির সামনে হাজার হাজার সমর্থক জমায়েত হলে তাদের উদ্দেশ্য প্রেসিডেন্ট বলেন, তিনি কোন ধরণের চাপের কাছে মাথা নীচু করবেন না৷ তিনি এই ঘটনাকে তাঁকে ক্ষমতা থেকে অপসারণের একটি ষড়যন্ত্র এবং অভ্যুত্থান হিসাবে উল্লেখ করেন৷
ঐ ঘটনার পর প্রতিবেশী দেশ পেরু এবং কলম্বিয়া ইকুয়েডরের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করে দেয়৷ সংবাদসংস্থাগুলো জানাচ্ছে, বিদ্রোহের অবসান হয়েছে৷ বিদ্রোহীদের অনেকেই আটক হয়েছে৷ তাদেরকে রাজধানী কিটোর পুলিশ কারাগারে রাখা হয়েছে৷
প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন