1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিদ্রোহীদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার কথা জানিয়েছে লিবিয়া সরকার

৪ জুলাই ২০১১

খবরটা একটা ইমেল থেকে শুরু৷ সরকারি মুখপাত্র মুসা ইব্রাহিম সেই ইমেল’এ বলেন, ইটালি, মিশর এবং নরওয়ে’তে এ ধরনের বৈঠক হয়েছে৷ সেসব দেশের প্রতিনিধিরাও নাকি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন৷

BENGHAZI (LIBYA), 18/03/2011.- People celebrate the UN Security Council's decission of authorizing the military action to protect the civilians from the attacks of Libyan leader Muammar Gaddafi's troops, at the seat of the provisional National council in Benghazi, Lybia, early 18 March 2011. EFE/Manu Brabo
বিদ্রোহীদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করবে লিবিয়াছবি: picture-alliance/dpa

আলোচনা নাকি এখনও চলেছে, বলেছেন ইব্রাহিম তো তাই৷ আলাপ-আলোচনার উদ্দেশ্য দৃশ্যত একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান৷ সেক্ষেত্রে বিদ্রোহীদের জাতীয় ক্রান্তি পরিষদের অনুমোদন থাকা চাই, অন্তত তাদের জানা থাকা চাই৷ সেটা কিন্তু এখনও স্পষ্ট নয়৷

এমনকি আলোচনা কাদের সঙ্গে হচ্ছে, তা'ও স্পষ্ট নয়৷ ইব্রাহিম'এর ইমেল বিবৃতিতে আছে, একটি বৈঠক হয়েছে রোমে৷ তাতে লিবিয়া সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা আলোচনা করেন আবদেল ফাত্তা ইইনেস আল আবিদি'র সঙ্গে৷ ইনি ছিলেন গাদ্দাফির প্রাক্তন নিরাপত্তা মন্ত্রী, গত ফেব্রুয়ারিতে বিদ্রোহীদের সঙ্গে যোগ দেন৷ আগামীতে হয়তো আরো বিশদ জানা যাবে৷

সোচি

ওদিকে কৃষ্ণসাগরের সোচি'তে রুশ প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভের সঙ্গে একদিকে ন্যাটো, অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট জেকব জুমার সাক্ষাতের মূল বিষয়ও হল লিবিয়া৷ ন্যাটোর মহাসচিব আন্ডের্স ফঘ রাসমুসেন লিবিয়ায় ন্যাটোর অভিযানের সপক্ষে বক্তব্য রেখেছেন সোচি'তে৷ রাশিয়ার দৃষ্টিতে ঐ অভিযান জাতিসংঘের সনদকে ছাড়িয়ে গেছে৷ ক্রেমলিন আফ্রিকান ইউনিয়ন এবং জাতিসংঘের শান্তি প্রচেষ্টার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে৷ গত শুক্রবারই আফ্রিকান ইউনিয়নের নেতারা লিবিয়া সরকার এবং বিদ্রোহীদের মধ্যে আলাপ-আলোচনার ব্যবস্থাপনা করার প্রস্তাব দেন৷ এমনকি জুমা এ'ও বলেন যে, আলাপ-আলোচনা হবে আদ্দিস আবেবা'য়, অর্থাৎ এইউ'এর মুখ্য কার্যালয়ে৷

বিদ্রোহ এখনও তুঙ্গে লিবিয়া’তেছবি: picture alliance/dpa

জুমার কূটনৈতিক অবস্থান

তিনি নাকি মেদভেদেভ'কে এইউ'এর চিন্তাধারা এবং পরিকল্পনা সম্পর্কে অবহিত করতে এসেছেন৷ এছাড়া তিনি দৃশ্যত ন্যাটোর প্রতিনিধিদের সঙ্গেও কথাবার্তা বলবেন৷ এক হিসেবে জুমা দ্বিপাক্ষিক নয়, চতুর্পাক্ষিক মধ্যস্থতার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন, বলা চলে৷

এইউ'এর শান্তি পরিকল্পনা

যেমন জাতিসংঘের নেতৃত্বাধীন একটি আন্তর্জাতিক শান্তিবাহিনী স্থাপন৷ সেটা বিদ্রোহীরা মেনে নেয়নি বা নেবে না৷ ওদিকে রাশিয়াও গাদ্দাফিকে লিবিয়া ত্যাগ করতে রাজি করাতে পারেনি৷ - এবার কিন্তু বিদ্রোহীরাই বলেছে, গাদ্দাফি সব ক্ষমতা ছাড়লে তিনি লিবিয়াতেই থাকতে পারেন, অবশ্য আন্তর্জাতিক তত্ত্বাবধানে৷ এবং ন্যাটোও দৃশ্যত আভাস দিয়েছে, তাতে তাদের বিশেষ আপত্তি নেই৷ কেননা ন্যাটোও ‘যুদ্ধ' শেষ করতে ব্যগ্র৷

যাই হোক, সোচি'তে রাশিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকা মিলে ন্যাটোকে চাপে না হলেও, কিছুটা বিড়ম্বনায় ফেলেছে৷ কিন্তু বাস্তবে সব পক্ষই একটা সর্বাঙ্গীণভাবে অসন্তোষজনক, কিন্তু বাস্তবে গ্রহণযোগ্য আপোষের দিকে এগোচ্ছে৷ এই মাটির পৃথিবীতে যেমন হয়ে থাকে৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ