বিদ্রোহীদের সঙ্গে গাদ্দাফি বাহিনীর ব্যাপক সংঘর্ষ
২৪ মার্চ ২০১১সবশেষ পরিস্থিতি
মিস্রাতা আর আজদাবিয়াতে গাদ্দাফি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের ব্যাপক সংঘর্ষের খবর পাওয়া যাচ্ছে৷ ত্রিপোলি আর বেনগাজির পর মিস্রাতা হলো সবচেয়ে বড় শহর৷ সেখানকার এক অধিবাসী বলছেন, মিস্রাতার বন্দরটির দখল নিয়ে নিয়েছে গাদ্দাফি বাহিনী৷ জানা গেছে, রাতে যৌথবাহিনী মিস্রাতা শহরের বাইরে থাকা গাদ্দাফি বাহিনীর ট্যাঙ্ক লক্ষ্য করে হামলা করেছে৷ কিন্তু শহরের মধ্যে থাকা ট্যাঙ্কগুলো অক্ষত রয়েছে৷ ফলে দিন শুরু হওয়ার পর ঐ ট্যাঙ্কগুলো থেকেই বিদ্রোহীদের উপর হামলা শুরু করা হয়৷ আরেক শহর আজদাবিয়াতেও গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে৷ সেখানকার ঘরবাড়িতে আগুন জ্বলছে বলে জানা গেছে৷ লোকজন ভয়ে শহর ছেড়ে যাচ্ছেন৷
শুধু স্থলে হামলা
গাদ্দাফি বাহিনী এখন শুধু স্থলে হামলা করছে৷ কারণ লিবিয়ার বিমানবাহিনীর উপর যৌথ বাহিনীর ব্যাপক হামলা৷ যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু হয়েছে পাঁচ দিন আগে৷ এতদিন খুঁজে খুঁজে বিমানবাহিনীর স্থাপনার উপর হামলা করেছে যৌথ বাহিনী৷ ফলে লিবিয়ার বিমানবাহিনীর ক্ষমতা প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে বলে যৌথ বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন৷ ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও বিমান হামলা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন৷ তিনি বলছেন, লিবিয়ার সামরিক বাহিনীকে শেষ করে দিতে এক মাসও সময় লাগবে না৷
নিরীহ মানুষ
জাতিসংঘের যে সিদ্ধান্তের কারণে যৌথ বাহিনী অভিযান চালাতে পারছে তাতে বলা ছিল, লিবিয়ার নিরীহ মানুষকে বাঁচাতেই অভিযান প্রয়োজন৷ কিন্তু এখন লিবিয়া সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, যৌথ বাহিনীর অভিযানে নিরীহ লোকও মারা যাচ্ছে৷ কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের যে মিশন লিবিয়া অভিযানের সঙ্গে জড়িত তার প্রধান বলছেন যে, তাদের অভিযানে কোনো বেসমারিক লোক নিহত হয়নি৷
অভিযানের নেতৃত্ব
যুক্তরাষ্ট্র এই অভিযানের নেতৃত্বে থাকতে চাইছে না৷ তাই দায়িত্ব নেবার কথা ন্যাটোর৷ যদিও এ ব্যাপারে কয়েকটি দেশ, বিশেষ করে তুরস্কের অনুমতি পাওয়া যাচ্ছে না৷ তবে এক কূটনীতিক বলেছেন, চেষ্টা চলছে সবার কাছ থেকে অনুমতি পাওয়ার৷ এ ব্যাপারে আজই আর একটু পরে ন্যাটোর একটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে৷ গত তিন দিন ধরে এই বৈঠক চলছে৷ এদিকে আরেকটি সূত্রে জানা গেছে, যৌথ বাহিনীর নেতৃত্ব নেয়ার পর কীভাবে, কোথা থেকে কাজ পরিচালিত হবে সেই পরিকল্পনা করা হয়ে গেছে৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন