1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইসলামপন্থিদের মাত্র অর্ধেক ‘বিপজ্জনক'

২৩ ডিসেম্বর ২০১৭

এখন থেকে আরো সূক্ষ মানদণ্ডের ভিত্তিতে ইসলামপন্থিদের ভয়াবহতা নির্ধারণ করা হবে৷ ‘রাডার-আইটিই' নামের এক যন্ত্র ব্যবহার করে জার্মান পুলিশ আরো নিখুঁতভাবে বলতে পারবে, ইসলামপন্থিদের মধ্যে সহিংস হয়ে ওঠার ঝুঁকি কতটুকু৷

ছবি: picture-alliance/dpa/S. Pförtner

এখন থেকে আরো সূক্ষ মানদণ্ডের ভিত্তিতে ইসলামপন্থিদের ভয়াবহতা নির্ধারণ করা হবে৷ ‘রাডার-আইটিই' নামের এক যন্ত্র ব্যবহার করে জার্মান পুলিশ আরো নিখুঁতভাবে বলতে পারবে, ইসলামপন্থিদের মধ্যে সহিংস হয়ে ওঠার ঝুঁকি কতটুকু৷

জার্মান পুলিশ বিকেএ-এর এক নতুন রিপোর্ট বলা হচ্ছে, জার্মানিতে ‘সাংঘাতিক' হিসেবে যে সব ইসলামপন্থিদের চিহ্নিত করা হয়েছে, তাদের মধ্যে কেবল অর্ধেক সংখ্যককে সত্যিকার অর্থে ভয়ংকর বলা যায়৷ জার্মান পত্রিকা স্যুড ডয়চে সাইটুং এবং সরকারি গণমাধ্যম এনডিআর ও ডাব্লিউডিআর-এ প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, জার্মানিতে যে ৭২০ জন ইসলামপন্থিকে ‘বিপজ্জনক' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, তাদের মধ্যে অর্ধেকই আক্ষরিক অর্থে বিপজ্জনক নয়৷ তবে বাকি অর্ধেক ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক'৷

প্রথমবারের মতো এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে বিকেএ ব্যবহার করেছে নতুন একটি যন্ত্র, যা দিয়ে এই বিশ্লেষণ করা হয়েছে৷ এর আগে  বার্লিনের ক্রিসমাস মার্কেটে টিউনিশীয়ার নাগরিক আনিস আমরির ট্রাক হামলায় মারা যান ১২ জন, আহত হন আরো অনেকে৷ ঘটনার পর থেকে সন্দেহভাজনদের সম্পর্কে খোঁজ রাখার বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়৷ জার্মানির কন্সটান্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেনসিক মনোবিদদের সহায়তায় বিকেএ উদ্ভাবন করেছে ‘রাডার-আইটিই' নামের এ প্রযুক্তি৷ বিকেএ-র মতে, ‘রাডার-আইটিই' নামের এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে সন্দেহভাজনদের বিশ্বাস বা ধর্মাচারণ নিয়ে বিশ্লেষণ না করে তাদের ‘আচরণ', বিশেষ করে তাদের জীবনাচরণ সংক্রান্ত তথ্যের ভিত্তিতে সামগ্রিকভাবে নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে বিশ্লেষণ করা হয়৷

এ ‘রিস্ক অ্যাসেসমেন্টে' ৭৩ টি প্রশ্নের নির্ধারিত উত্তরের প্যাটার্ন অনুযায়ী ব্যক্তিটি কতটা বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে তার ধারণা নেয়া হবে৷ এর মাধ্যমে ‘সর্বোচ্চ ঝুঁকি', ‘লক্ষ্যণীয় ঝুঁকি' ও ‘সহনীয় ঝুঁকি' এই তিন মাত্রার ঝুঁকি নির্ধারিত করা হবে৷

এ পদ্ধতি আবিষ্কারের সাথে জড়িত কন্সটান্স বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিদ জেরোম এনড্রাস বলেন, ‘‘আমরা যে পদ্ধতি ব্যবহার করেছি, আগের গবেষণা থেকে জানি যে এগুলো ভালো কাজ করে৷ অনেক যন্ত্র রয়েছে যেগুলো মতবাদের উপর জোর দেয়, কিন্তু আমরা জানি যে মতবাদই একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়৷ এ এলাকায় অনেক বিপজ্জনক মানুষ আছে, যাদের ক্ষেত্রে মতবাদের প্রভাব খুব সামান্য৷''

এনড্রাস বলেন, অভ্যাসগতভাবে অপরাধী এমন অনেকে আছেন যারা পরবর্তীতে ইসলামের বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছেন, তাদের আগের পদ্ধতি অনুযায়ী ‘ভয়াবহ বিপজ্জনক' হিসেবে চিহ্নিত করার সম্ভাবনা কম৷ ‘‘এমন হতে পারে যে তাদের ইসলাম সম্পর্কে কোনো ধারণাই নেয়, কিন্তু তারা অত্যন্ত হিংস্র৷ আবার অনেকে আছেন যারা মতাদর্শের দিক থেকে অত্যন্ত গোঁড়া, কিন্তু বিপজ্জনক নন কারণ তারা হয়ত সহিংসতা থেকে অনেক দূরে থাকেন৷ এ জন্যই একটি বিষয়ে নজর দেয়ার চাইতে অনেকগুলো বিষয় নজর দেয়া এত জরুরি৷'' এ পদ্ধতিতে মতবাদ যাই হোক না কেন, যারা অতীতে সহিংসতা দেখেছেন বা এর শিকার হয়েছেন, ছোট বেলায় কিংবা যুদ্ধাবস্থায়, তাদের  ‘সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়৷

যদিও বিপজ্জনক চিহ্নিত করার কোনো নির্দিষ্ট সংজ্ঞা নেই, জার্মান পুলিশের মতে কিছু তথ্যের ভিত্তিতে কেউ ভবিষ্যতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত হতে পারে বলে ধরে নেয়া হয়৷ পুলিশ ইউনিয়ন জিডিপি-র প্রধান অলিভার মালচাও বলেন, ‘‘এর আগে আমাদের কোনো নির্দিষ্ট পদ্ধতি ছিল না এবং এক-একজন একএকভাবে বিচার করত৷'' যদিও এ পদ্ধতি কতটা কাজ করবে এর উত্তরে অলিভার বলেন, ‘‘এটা কতটা সফল তা জানতে আমাদের আরো অপেক্ষা করতে হবে৷''

বেন নাইট/আরএন

প্রতিবেদনটি নিয়ে কোনো মন্তব্য থাকলে লিখুন নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ