করোনা প্রতিরোধে ক্লোরোকুইন খাওয়ার কথা নিজেই জানালেন ট্রাম্প। একই সঙ্গে ফের আক্রমণ করলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে।
বিজ্ঞাপন
তিনি চিকিৎসকদের তোয়াক্কা করেন না। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শের ধার ধারেন না। এমনকী, দেশের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা এফডিএ-র সতর্কবার্তাকেও আমল দেন না। সেটাই করেন, যা তাঁর মনে হয়। আরও একবার তা প্রমাণ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানিয়ে দিলেন, করোনা প্রতিরোধে নিয়মিত ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন খেয়েছেন তিনি। যদিও এপ্রিল মাসেই এফডিএ জানিয়ে দিয়েছিল, এই ওষুধ অত্যন্ত বিপজ্জনক। হাসপাতাল না দিলে কোনও ভাবেই খাওয়া উচিত নয়। কারণ, এই ওষুধ খেলে হৃৎপিন্ডের স্পন্দনে গোলমাল হতে পারে।
জার্মানিতে রেস্তোরাঁ আর বার আবার খুলেছে
কোভিড-১৯-এর জন্য কয়েক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর জার্মানিতে বার আর রেস্তোরাঁগুলো আবার খুলতে শুরু করেছে। সেখানে শুরু হয়েছে খানাপিনা। তবে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হচ্ছে সবাইকে। দেখুন ছবিঘরে...
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Dedert
ফিরছে স্বাভাবিক ছন্দ
স্যাক্সনি রাজ্যের ড্রেসডেন শহরের এক রেস্তোরাঁর টেবিল পরিষ্কার করছেন এক কর্মী। বার্লিন, ব্রাণ্ডেনবুরগ, হেসে, স্যাক্সনি এবং থুরিঙিয়ার বার এবং রেস্তোরাঁগুলো খোলার অনুমতি পেয়েছে ১৫ মে থেকে। মেকলেনবুর্গ, ওয়েস্টার্ন-পমারানিয়া, নর্থ রাইন-ওয়েস্টফালিয়া, লোয়ার স্যাক্সনি, হামবুর্গ এবং রাইনল্যান্ড পালাটিনাটের রেস্তোরাঁ আর বার তার আগেই খুলেছে।
ছবি: picture-alliance/dpa/R. Michael
পুতুলের সঙ্গে পানাহার
পাশাপাশি বসে পানাহার করা যাবে না। সোশ্যাল ডিসট্যান্স বজায় রাখতে অনেক আসনে মানুষের জায়গায় বসানো হয়েছে পুতুল।সুতরাং আপনার পাশে মানুষের আকৃতির কোনো-না-কোনো পুতুল থাকবেই।
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Stratenschulte
সব জীবাণুমুক্ত
স্বাস্থ্যবিধি মানার বাধ্যবাধকতা মেনেই খুলতে হচ্ছে রেস্তোরা, বার। খেতে বসলে অনেক টেবিলে দেখা যাবে 'দয়া করে সব জীবাণুমুক্ত করুন’ লেখা বিজ্ঞপ্তি। অর্থাৎ, খাওয়া শুরুর আগে হাত খুব ভালো করে ধুয়ে নেয়া একান্ত কর্তব্য।
ছবি: picture-alliance/dpa/S. Sauer
খোলা আকাশের নীচে খাওয়া-দাওয়া
বার্লিনের এক রেস্তোরাঁর বাইরে চলছে খাবার পরিবেশনের প্রস্তুতি। করোনায় সংক্রমণ এড়াতে অনেকরেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষকে শুধু খোলা আকাশের নীচে খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার।
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Kalaene
সংখ্যা খুব গুরুত্বপূর্ণ
খাওয়া শুরুর আগে মাস্ক পরে থাকলে ভালো। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে দরকার হতে পারে ভেবে অনেক রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ ক্রেতাদের টেলিফোন নাম্বার এবং বাড়ির ঠিকানা জানতে চায়। এক ঘর থেকে সর্বোচ্চ দুজন অতিথি নেয়ার নিয়মও রয়েছে কিছু রেস্তোরাঁয়।
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Rumpenhorst
5 ছবি1 | 5
করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পরেই ভারত থেকে বিপুল পরিমাণ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন আমদানি করেছিলেন ট্রাম্প। দেশের প্রতিটি হাসপাতালে সেই ওষুধ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। প্রাথমিক পর্যায়ে করোনার চিকিৎসায় এই ওষুধ ব্যবহারও করছিল অ্যামেরিকা। কিন্তু তারপরেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন যে, এই ওষুধ ব্যবহার করা বিপজ্জনক। শুধু তাই নয়, এই ওষুধ করোনা প্রতিরোধে আদৌ সাহায্য করছে কি না, তা নিয়েও বিশেষজ্ঞদের মধ্যে দ্বিমত তৈরি হয়েছিল। ট্রাম্পের উপস্থিতিতেই সাংবাদিক বৈঠকে এই ওষুধ ব্যবহার না করার উপদেশ দিয়েছিলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা। কিন্তু ট্রাম্প যে সে সব কোনও কথাই গুরুত্ব দেননি, তা আরও একবার প্রমাণিত হলো।
এ দিকে সোমবার আরও একবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কড়া সমালোচনা করেছেন ট্রাম্প। ফের সংস্থাটিকে 'চীনের পাপেট' বা পুতুল বলে দাবি করেছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, চীনের হয়ে কথা বলতে গিয়ে করোনা মহামারি রোধে কোনও ব্যবস্থাই করতে পারেনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এ দিন ফের একবার হিসেব দিয়েছেন ট্রাম্প। তাঁর দাবি, অ্যামেরিকা এই সংস্থাটিকে বছরে ৪৫০ মিলিয়ন ডলার দেয়। চীন দেয় ৩৮ মিলিয়ন ডলার। তা সত্ত্বেও সংস্থাটি চীনের হয়ে কাজ করছে। এ দিন আরও একবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে আর ফান্ড না দেওয়ার ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
বিশ্ব নেতৃত্বের আদর্শ এখন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী
জাসিন্ডা আর্ডার্ন৷ নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী থেকে তিনি এখন পরিণত হয়েছেন বিশ্বকে শান্তির পথে নেতৃত্ব দেয়ার দূত হিসেবে৷ তার উত্থানের গল্প থাকছে এই ছবিঘরে৷
ছবি: Reuters/A. Wiegmann
যোগাযোগের ছাত্রী
১৯৮০ সালে জন্ম নেয়া আর্ডার্নের বেড়ে ওঠা মুরুপাড়া নামে নিউজিল্যান্ডের মাউরি আদিবাসী অধ্যুষিত একটি ছোট্ট শহরে৷ যেখানে শিশুদের পায়ে দেয়ার মতো জুতা ছিল না, এমনকি দুপুরে তারা খাবারও পেত না৷ এই ঘটনাই তাকে রাজনীতিতে উদ্বুদ্ধ করে৷ উচ্চ মাধ্যমিক শেষে আর্ডার্ন পড়াশোনা করেন যোগাযোগ বিদ্যায়৷ তার আগে ১৭ বছর বয়সেই যুক্ত হন নিউজিল্যান্ডের লেবার পার্টির রাজনীতিতে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/M. Baker
বিশ্ব রাজনীতির পাঠ
স্নাতক শেষ করে আর্ডার্ন নিউজিল্যান্ডের লেবার পার্টির একজন সংসদ সদস্যের অধীনে গবেষক হিসেবে কাজ করেন৷ ২০০৫ সালে পাড়ি জমান ব্রিটেনে৷ আড়াই বছর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের মন্ত্রীসভার দপ্তরে চাকরি করেন৷ ২০০৭ সালে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অব সোশ্যালিস্ট ওয়েলথের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘুরে বেড়িয়েছেন আলজেরিয়া, চীন, ভারত, ইসরায়েল, জর্ডার্ন ও লেবাননে৷
ছবি: Reuters/A. Wiegmann
জাতীয় রাজনীতির পথ চলা
২০০৮ সালে আর্ডার্ন লেবার পার্টির সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েও ১৩,০০০ ভোটে হেরে যান৷ কিন্তু দেশটির সংবিধানিক নিয়মে তিনি সংসদে যাওয়ার সুযোগ পান৷ ২৮ বছর বয়সে সর্বকনিষ্ঠ রাজনীতিবিদ হিসেবে জায়গা করে নেন হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভে৷
ছবি: Getty Images/P. Walter
‘জাসিডামেনিয়া’
২০১৭ সালে লেবার পার্টির উপ প্রধান নির্বাচিত হন আর্ডার্ন৷ নির্বাচনের দু’মাস আগে দলটির প্রধান পদত্যাগ করলে সেই ভারও চাপে তার কাঁধে৷ নির্বাচনি প্রচারে তরুণদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় হন আর্ডার্ন৷ তাকে নিয়ে এসময় দেশটিতে জনপ্রিয়তার যে ঢেউ উঠে, তা পরিচিত ‘জাসিডামেনিয়া’ নামে৷
ছবি: Getty Images/P. Walter
বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ নারী প্রধানমন্ত্রী
মাত্র দু’মাসের নেতৃত্বে অনেকটা অপ্রত্যাশিতভাই দলকে নির্বাচনে বিজয়ী করেন আর্ডার্ন৷ ২০১৭ সালে ৩৮ বছর বয়সে বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন৷ নিউজিল্যান্ডের ১৫০ বছরের ইতিহাসেও তিনি সবচেয়ে কম বয়সি সরকার প্রধান৷
ছবি: picture-alliance/Zumapress
প্রভাবশালী নারী
আর্ডার্ন সমকামী বিবাহের সমর্থক৷ জলবায়ু পরিবর্তন, শিশু দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে তিনি উচ্চকিত৷ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, নিউজিল্যান্ডের সরকার হবে সহানুভূতিশীল৷ ২০১৮ সালে ‘ফোর্বসের পাওয়ার উইমেনের’ তালিকায় জায়গা করে নেন তিনি৷ আছেন টাইম ম্যাগাজিনে সবচেয়ে প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকাতেও৷
ছবি: Reuters/A. Wiegmann
সন্তান জন্ম
টিভি উপস্থাপক ক্লার্ক গেফোর্ডকে বেছে নিয়েছেন তিনি সঙ্গী হিসেবে৷ ২০১৮ সালের ২২ জুন বেনজির ভুট্টোর পর বিশ্বের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বকালে সন্তানের জন্ম দেন আর্ডার্ন৷ এজন্য মাত্র ছয় সপ্তাহের মাতৃত্বকালীন ছুটি নিয়েছিলেন তিনি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Office of the Prime Minister of New Zealand/D. Henderson
সন্তান কোলে জাতিসংঘে
বিশ্বে প্রথমবার কোনো প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের কক্ষে সন্তান নিয়ে বক্তৃতা দিতে যান৷ তিনি জাসিন্ডা আর্ডার্ন৷ গত বছর নেলসন ম্যান্ডেলা পিস সামিটে অংশ নিয়ে আর্ডার্ন বিশ্ব গণমাধ্যমে খবরের শিরোনাম হয়েছেন৷ বক্তৃতা দেয়ার সময় সন্তান ছিল সঙ্গী ক্লার্ক গেফোর্ডের কোলে৷
ছবি: Reuters/C. Allegri
ক্রাইস্টচার্চের ঘটনায় প্রতিক্রিয়া
ক্রাইস্টচার্চে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ৫০ জনকে হত্যার পর জাসিন্ডা আর্ডার্নকে নতুন করে চেনে বিশ্ব৷ এই ঘটনার অভিযুক্তকে কোনো কার্পণ্য না করেই সন্ত্রাসী ও জঙ্গি হিসেবে অভিহিত করেন তিনি৷ দ্রুত অস্ত্র আইন পরিবর্তনের ঘোষণা দেন৷ মুসলমানদের উদ্দেশ্যে জানান, নিউজিল্যান্ড মোটেও এমনটা নয়৷ এই দেশে তারা স্বাধীনভাবেই থাকতে পারবে৷
ছবি: Reuters/E. Su
হিজাবে আর্ডার্ন
জাসিন্ডা আর্ডার্ন ক্রাইস্টচার্চের ঘটনার পর ছুটে যান নিহতদের স্বজনদের কাছে৷ তাদের জড়িয়ে ধরেন, সমবেদনা প্রকাশ করেন৷ শুধু তাই নয়, মুসলমানদের সাথে একত্মতার প্রকাশ হিসেবে তিনি একাধিক দিন হিজাব পরে বেরিয়েছেন৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/TVNZ
সংসদে আরবি ভাষা
২০১৯ সালে ১৯ মার্চ সংসদে বক্তব্য দেন আর্ডার্ন৷ শুরুতেই সবাইকে ‘আস সালামু আলাইকুম’ বলে সম্বোন্ধন করেন তিনি৷ জানান ক্রাইস্টচার্চের ঘটনায় অভিযুক্তের নামও তিনি কখনও মুখে আনবেন না৷
ছবি: Getty Images/M. Tantrum
করোনার বিরুদ্ধে লড়াই
করোনা প্রতিরোধে বিশ্বে যে কয়টি দেশ সাফল্য পেয়েছে তার একটি নিউজিল্যান্ড৷ আর্ডার্নের নেতৃত্বে দেশটির সরকার করোনা ভাইরাসকে কখনো হুমকি হতে দেয়নি৷ শুরুতেই সীমান্ত বন্ধ করে কড়াকড়ি আরোপ করে সরকার৷ সামাজিক দূরত্ব, কোয়ারান্টিন, আইসোলেশনসহ বিভিন্ন নিয়মগুলো সুচারুভাবে পালন করা হয়৷ চলে বিস্তৃত পরিসরে করোনার পরীক্ষা৷ ফলাফল অন্য দেশগুলো যখন হিমশিম পরিস্থিতিতে তখন অনেকটাই নির্ভার নিউজিল্যান্ড৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Mitchell
12 ছবি1 | 12
এ দিনই বিশ্ব স্বাস্থ্য অ্যাসেম্বলির বৈঠক বসেছিল। অ্যামেরিকা সেখানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওপর যথেষ্ট চাপ তৈরি করেছে বলেই সূত্র জানাচ্ছে। বস্তুত, বৈঠকের পরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, করোনা মহামারি নিয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত হবে।
করোনা-রাজনীতির এই পরিস্থিতির মধ্যেই সংক্রমণ বেড়ে চলেছে ব্রাজিলে। আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে ব্রাজিল এখন অ্যামেরিকা, রাশিয়া এবং স্পেনের পরেই। রোগীর সংখ্যা দুই লাখ ৫৫ হাজার। এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৬ হাজার ৮৫৩ জনের। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত অ্যামেরিকায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ লাখ ৫০ হাজার। মারা গিয়েছেন প্রায় ৯২ হাজার জন। তবে অর্থনীতিরস্বার্থে ক্রমশ লকডাউন তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অ্যামেরিকার বেশ কিছু রাজ্য। ট্রাম্প প্রশাসন এর মধ্যেই ১১ বিলিয়ন ডলার ঘোষণা করেছে। এই অর্থে লকডাউন ওঠার পরে টেস্টের সংখ্যা বহু গুণ বাড়ানো হবে বলে জানানো হয়েছে।
এ দিকে অ্যামাজনের জঙ্গলে বসবাসকারী জনজাতিগুলির মধ্যে করোনা দ্রুত ছড়াচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত ১০৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসকদের বক্তব্য, গভীর জঙ্গলে পৌঁছে তাঁদের চিকিৎসা করাও সব সময় সম্ভব হচ্ছে না। ফলে আক্রান্ত ব্যক্তিদের বিমানে তুলে শহরে এনে চিকিৎসা করা হচ্ছে। সোমবার থেকেই এ কাজ শুরু হয়েছে।