1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জীবাণুর বিরুদ্ধে কীটপতঙ্গ

ইউডিথ হার্টল / আরবি১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪

ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিষ্ঠান সানোফি ও ফ্রাউনহোফার ইন্সটিটিউট একটি গবেষণা কেন্দ্র গড়ে তোলার যৌথ উদ্যোগ নিয়েছে৷ এই কেন্দ্রের গবেষকরা খুঁজে বের করতে চান, কোন ধরনের প্রাকৃতিক উপাদান অ্যান্টিবায়োটিকের প্রসারে উপযোগী৷

Fotowettbewerb Frühling und Natur
ছবি: Khondalkhan

বহু ব্যাকটেরিয়া প্রচলিত অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়ে পড়ায় নতুন ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক তৈরি করা এখন একান্তই জরুরি হয়ে পড়েছে, বলেন ফ্রাউনহোফার ইন্সটিটিউটের আন্ড্রেয়াস ভিলসিন্সকা৷ তিনি জানান, যক্ষ্মার মতো সংক্রামক ব্যাধির বিরুদ্ধে লড়তে হলে অ্যান্টিবায়োটিকের জুড়ি নেই৷ তবে ইতিমধ্যে এই ওষুধটির কার্যকারিতা হ্রাস পাচ্ছে, যা বিশ্বব্যাপী এক বিরাট সমস্যা সৃষ্টি করছে৷

নতুন ওষুধ আবিষ্কার করতে হবে

ভবিষ্যতে গবেষকদের নতুন কোনো ওষুধ আবিষ্কার করতে হবে৷ গত কয়েক বছরে প্রচুর অর্থ এই সব পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ঢালা হয়েছে৷ কিন্তু কার্যকর তেমন কোনো উপাদান আবিষ্কার করা সম্ভব হয়নি৷ এবার প্রকৃতি থেকে শিখতে চান গবেষকরা৷ তাঁরা এমন সব অর্গানিজম নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন, যা মারাত্মক জীবাণুকে প্রতিহত করতে পারে৷

ফ্রাউনহোফার ইন্সটিটিউটের গবেষকরা বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম ফার্মাসিটিউক্যাল প্রতিষ্ঠান সানোফির সঙ্গে এক যৌথ উদ্যোগে এমন ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক আবিষ্কার করতে চান, যা প্রাকৃতিক উপাদানের ওপর নির্ভর করে বৃদ্ধি পায়৷ যেমনটি দেখা গিয়েছিল পেনিসিলিন আবিষ্কারের ক্ষেত্রে৷

কীটপতঙ্গকে কাজে লাগানো যায়

গবেষকরা কীটপতঙ্গ থেকে কার্যকর উপাদান বের করতে চেষ্টা করছেন৷ বিশ্বে ১০ লক্ষেরও বেশি ধরনের পতঙ্গ রয়েছে৷ সাফল্যের দিক দিয়ে সেরা এইসব ক্ষুদ্র প্রাণী৷ ‘কার্যকর উপাদানের বিশাল এক আধার' উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন ফ্রাউনহোফার ইন্সটিটিউটের গবেষক৷ দৃষ্টান্তস্বরূপ তিনি ক্ষত ভালো হওয়ার জন্য এক রকম লার্ভা বা শূককীটের প্রয়োগের কথা উল্লেখ করেন৷ সারা বিশ্বে এটি ওষুধ হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে৷ ইন্টারনেটের মাধ্যমেও পাওয়া যায় এই কীট৷ এই প্রাণীগুলি ক্ষত ভালো হওয়ার প্রক্রিয়া দ্রুততর করতে পারে৷ এই প্রক্রিয়াটা কীভাবে হয় সেটা অবশ্য জানা যায়নি৷ তবে এটির লালা ক্ষতের ওপর লাগালে, ১৮ গুণ দ্রুতগতিতে ঘা ভালো হয়৷

খাপ খাওয়াতে ওস্তাদ বহু কীটপতঙ্গ

বিশেষ করে সেই সব পতঙ্গই গবেষকদের জন্য আকর্ষণীয়, যেগুলি তাদের পারিপার্শ্বিকতার মধ্যে খাপ খাইয়ে নিতে পারে৷ রোগজীবাণু যেমন ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক ইত্যাদি দ্বারা পরিপূর্ণ৷ জীবাণু প্রতিরোধী উপাদান খুঁজতে এই সব কীটপতঙ্গ বেশি কার্যকরী৷ যেমন ‘ব়্যাট টেল লার্ভা'৷ এই লার্ভা মলমূত্র, নর্দমা বা অত্যন্ত নোংরা জায়গায় থাকতে পারে৷ তাই এই কীটের ইমিউন সিস্টেমও সেরা৷ সহজে অসুস্থও হয় না৷ ‘‘আমরা এগুলি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আশানুরূপ ফলাফল পেয়েছি'', বলেন আন্ড্রেয়াস ভিলসিন্সকাস৷ তিনি আরো জানান, আমাদের লক্ষ্য রোগ প্রতিরোধী উপাদান বেশি পরিমাণে তৈরি করা ও বাজারে ছাড়া৷

প্রচুর সময় ও অর্থ প্রয়োজন

তবে এ জন্য প্রচুর সময় ও অর্থ প্রয়োজন৷ মাত্র একটি ওষুধ তৈরি করতেই ১৫ বছর লেগে যেতে পারে৷ আর খরচও কয়েকশ মিলিয়ন৷ শুধু বড় বড় ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিষ্ঠানই এ ব্যাপারে ঝুঁকি নিতে সাহস করে৷ আর এই জন্যই সানোফির সঙ্গে সহযোগিতামূলক কার্যক্রম৷

সানোফি ও ফ্রাউহোফার ইন্সটিটিউটের গবেষকরা প্রথম দিকে ফ্রাংকফুর্টে সানোফির ল্যাবরেটরিতে কাজ করবেন৷ ২০১৭ সাল থেকে গিসেন শহরের নতুন ভবনে কাজ শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ