রোমাঞ্চকর সময় কাটাতে বিপজ্জনক কাজ করে থাকেন অনেকে৷ তার মধ্যে অন্যতম হলো পাহাড়ে পাহাড়ে বিপজ্জনক ট্রেকিং৷ ফেসবুকের স্টোরিট্রেন্ডারে ভারতের একটি পাহাড় থেকে এমনই একটি বিপজ্জনক নামার দৃশ্য ভিডিও করে আপলোড করা হয়েছে৷
বিজ্ঞাপন
মহারাষ্ট্রের অন্যতম পর্যটন স্পট কালাভান্তি দুর্গে পৌঁছানোর পথ এটি৷ ভিডিওতে দেখানো হয়, ২৩০০ ফুট উচুঁ ও ৭০০ ফুট খাড়া পথ বেয়ে নামছেন অনেকে৷ দূর্ঘটনা এড়াতে প্রায় কারোরই নেই কোনো প্রস্তুতি৷
অনেকে অবশ্য মন্তব্য করেছেন, যতটা দেখানো হয়েছে ঠিক ততটা ভয়াবহ নয় এ পাহাড়৷ ভারতের মহারাষ্ট্র জুড়েই রয়েছে এমন অসংখ্য পাহাড়, যেখানে সারা বছরই পর্যটকদের আনাগোনা লেগে থাকে৷
গত চারমাসে এ ভিডিও দেখা হয়েছে প্রায় দুই কোটি ৫০ লক্ষবার৷ শেয়ার হয়েছে সাড়ে তিন লক্ষেরও বেশি বার৷
আরএন/ডিজি
ভিডিওটি দেখলেন? কেমন লাগলো লিখুন নীচের ঘরে৷
শিশুদের স্কুলে যাওয়ার বিপজ্জনক কিছু রাস্তা
এমন অনেক দেশ আছে, যেখানে শিক্ষার আলো পেতে শিশুদের অনেক দুর্গম পথ পার হতে হয়৷ পাহাড়ে উঠে, পানিতে ভিজে, ঝুলন্ত সেতু পেরিয়ে, বিপজ্জনক সব রাস্তা দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে যায় তারা৷ তেমনই কিছু ছবি দেখে নিন ছবিঘরে৷
ছবি: Senator Film Verleih, Berlin
কী ভয়ঙ্কর!
পুরনো একটি গাড়ির চাকায় হাওয়া ভরে ছোট্ট দুই শিশু পানির ওপরে ভেসে যাচ্ছে৷ চাকার মধ্যে জড়ো হয়ে বসে এভাবেই তারা প্রতিদিন স্কুল থেকে বাড়ি ফেরে৷ এতে স্কুলের ইউনিফর্ম যতই ভিজুক না কেন, রাতের মধ্যে তা শুকাতেই হবে৷ কারণ পরেরদিন সকালে যে আবার ঐ পোশাকই ওদের পরতে হবে!
ছবি: picture-alliance/dpa/D. M. Sabagan
৮০০ মিটার উঁচু খাড়া পাহাড় পেরিয়ে স্কুলে...
চীনের সিচুয়ান প্রদেশের লিয়াংশান জেলার একটি পাহাড়ি গ্রাম আটুলের৷ সেখানকার এই রাস্তাটাই হচ্ছে শিশুদের স্কুলে যাওয়ার জন্য বিশ্বের সবচেয়ে দুর্গম পথ৷ প্রতিদিন ছোট্ট ছোট্ট শিশুদের এই পথ দিয়ে পাহাড়ে উঠে বহু কষ্টে যেমন করে স্কুলে যেতে হয়, তেমনি ফিরতেও হয় ঐ একই পথ ধরে৷
ছবি: picture alliance/AP Images/Chinatopix
নীচে তাকালেই যে বিপদ!
ঝুলন্ত দড়ির মই বেয়ে প্রতিদিন ৯০ মিনিট ধরে স্কুলে যেতে হয় এই শিশুদের৷ শিশুদের জন্য এভাবে পথ চলা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ৷ এর জন্য এ অঞ্চলে আগে অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে, মারাও গেছে অনেকে৷ তবে আশার কথা, এতদিনে সিচুয়ান প্রদেশের টনক নড়েছে৷ শোনা যাচ্ছে শীঘ্রই এখানে একটি পাতের সিঁড়ি তৈরি করা হবে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Imaginechina Tao ge
কাঠের রাস্তা
দক্ষিণ চীনের প্রত্যন্ত অঞ্চল গুয়াংশির একটি গ্রামের শিশুদের স্কুলে যাওয়ার জন্য রোজ নংইয়ং পর্যন্ত যেতে হয়৷ এর জন্য প্রতিদিন দুই ঘণ্টা কাঠের সিঁড়ি বেয়ে পাহাড়ে উঠতে হয় তাদের৷ শুধু তাই নয়, কাঠের এই সিঁড়িগুলোতে কোনো রেলিং পর্যন্ত নেই!
ছবি: picture alliance/Photoshot/H. Xiaobang
তারের সেতু
ইন্দোনেশিয়ার লেবাক অঞ্চলের শিশুদের স্কুলে যেতে হলে একসময় তারের এই ঝুলন্ত সেতুটির ওপর দিয়ে যেতে হতো৷ নীচেই নদী, তাই এ পথও ছিল যথেষ্ট দুর্গম৷ এখন অবশ্য এখানে নতুন রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/Str
ভেলায় চড়ে স্কুলে যাওয়া
শুনলেই রোমাঞ্চকর মনে হতে পারে৷ কিন্তু ফিলিপাইন্সের একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিশুদের এমনটা প্রতিদিন করতে হয় প্রয়োজনে, সাধ করে নয়৷ হ্যাঁ, গ্রাম থেকে রিজাল প্রদেশে যেতে ভেলায় চড়ে রোজ নদী পার হতে হয় তাদের৷ সেখানেই রয়েছে এলাকার একমাত্র স্কুলটি৷ তাই লাখো শিশু এভাবেই ভেসে ভেসে স্কুলে যায় প্রতিদিন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/D. M. Sabagan
শিক্ষার আলো পেতে পাহাড়ে ওঠো!
মরক্কোয় স্কুলে যাওার এই রাস্তাটা চীনের সিচুয়ান প্রদেশের লিয়াংশান জেলার মতো এতটা ঝুঁকিপূর্ণ না হলেও, কষ্টকর বটে৷ জাহিরা নামের ছোট্ট এই মেয়েটিকে স্কুলে যাতায়াতের জন্য প্রতিদিনই অন্তত চার ঘণ্টা পাথর বিছানো এই উঁচু-নীচু পথে হাঁটতে হয়, তাও আবার দীর্ঘ ২২ কিলোমিটার৷