1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিপজ্জনক পর্যটন থেকে খুনের অভিযোগ

৩০ নভেম্বর ২০২০

নিউজিল্যান্ডের হোয়াইট দ্বীপে আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণ হতে পারে জেনেও সেখানে হাজির ছিলেন পর্যটকেরা৷ বিস্ফোরণ হওয়ার পর এখন ঘটনা গড়িয়েছে খুনের অভিযোগ পর্যন্ত৷

নিউজিল্যান্ডের হোয়াইট দ্বীপের আগ্নেয়গিরি
২০১৯ সালে নিউজিল্যান্ডের হোয়াইট দ্বীপের আগ্নেয়গিরি আচমকা ফেটে পড়েছবি: INSTAGRAM@ALLESSANDROKAUFFMANN Reuters/Instagram/AllessandroKauffmann

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে নিউজিল্যান্ডের হোয়াকারি বা হোয়াইট দ্বীপের একটি আগ্নেয়গিরি আচমকা ফেটে পড়ে৷ আগ্নেয়গিরিটি সেদেশের জনপ্রিয় পর্যটনস্থল হওয়ায় তা দেখতে প্রতি বছরই ভিড় জমান প্রায় ১০ হাজার মানুষ৷ কিন্তু গত বছর নভেম্বর মাসে এই আগ্নেয়গিরিটির বিপজ্জনক অবস্থা হওয়ায় সতর্কতা জারি করে স্থানীয় সংস্থা জিওনেট৷ বিস্ফোরণ হতে পারে এমন আশঙ্কা তারা এক মাস আগেই করেছিলেন৷

কিন্তু বিস্ফোরণের মুহূর্তেও সতর্কতা উপেক্ষা করে সেখানে উপস্থিত ছিলেন ৪৭জন পর্যটক, যাদের মধ্যে রযেছেন অস্ট্রেলীয়, জার্মান, ব্রিটিশ, মালয়েশিয় ও চীনা নাগরিকরা৷ একটি প্রমোদতরীতে করে তারা নিউজিল্যান্ডের সফর সারছিলেন৷ মাঝপথে, এই দ্বীপে তারা নামেন আগ্নেয়গিরিটি দেখতে৷ তখনই বিস্ফোরণ হয়৷

মৃত্যুর দায় কার?

এই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২২জন, আরো ২২জন গুরুতরভাবে জখম হয়েছেন৷ শুধু তাই নয়, আরো দুই পর্যটকের এখনও কোনো খোঁজ মেলেনি

কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কর্মরত সংস্থা ‘ওয়ার্কসেফ’ সোমবারে জানায় যে তারা এই মৃত্যুগুলির জন্য দায়ী করছেন দশটি গোষ্ঠী ও তিন ব্যক্তিকে৷ এমতে তারা অকল্যান্ড জেলা আদালতে ১৩টি মামলা দায়ের করেছেন ইতিমধ্যে, যেখানে শুনানিপ্রক্রিয়া শুরু হবে ১৫ ডিসেম্বর৷

সতর্কতা জারি করা সত্ত্বেও কেন এই দ্বীপে পর্যটকদের নিয়ে যাওয়া হলো, তা জানতেই প্রাথমিকভাবে তদন্ত শুরু করে ওয়ার্কসেফ৷ সংস্থাটির চিফ এক্সিকিউটিভ ফিল পার্স একটি বিবৃতিতে বলেন, ‘‘এই দুর্ঘটনা অপ্রত্যাশিত ছিল ঠিকই, কিন্তু বিস্ফোরণের সম্ভাবনাও ছিল সেখানে৷ পর্যটনের ট্যুর অপারেটর যারা ছিলেন, তাদের দায়িত্ব পর্যটকদের সুরক্ষিত রাখা৷ আমাদের সমাজের স্বাস্থ্যগত মূল্যবোধের কাছে এতটুকু প্রত্যাশা তাকেই৷ দেশ হিসাবে, আমাদের এই দুর্ঘটনা দেখে নিজেদের প্রশ্ন করা দরকার যে আসলেই আমরা আমাদের প্রিয়জনদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যথেষ্ট সচেষ্ট কি না, যাতে করে দিনের শেষে তারা নিরাপদে ঘরে ফিরতে পারেন৷''

মামলায় অভিযুক্তদের সামনে রয়েছে বিরাট অঙ্কের জরিমানার সম্ভাবনা, যা আনুমানিক দেড় মিলিয়ন নিউজিল্যান্ড ডলার (নয় কোটি বাংলাদেশি টাকা) হতে পারে৷ অন্যদিকে, স্থানীয় কোরোনারের অফিস বা শবপরীক্ষক বিভাগ আরেকটি নিরপেক্ষ তদন্ত চালাচ্ছে, যেখানে ট্যুর অপারেটর সংস্থাদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করার সম্ভাবনাও রয়েছে৷

আলেক্স বেরি/এসএস (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

বাংলাদেশ