1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিপদের সময়েও টাকা পাবেন না ইউরোপের মানুষ?

৯ নভেম্বর ২০২০

করোনা সংকট মোকাবিলায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের আর্থিক সহায়তার পথে নতুন করে বাধা সৃষ্টি হতে পারে৷ হাঙ্গেরি ও পোল্যান্ড গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের শর্ত না মানতে চাওয়ায় সংকট দেখা যাচ্ছে৷

ছবি: Paulo Amorim/VWPics/Imago Images

একযোগে করোনা সংকট মোকাবিলা করতে ব্যর্থতার কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এমনিতেই সমালোচনার মুখে পড়েছে৷ কমপক্ষে এই সংকটের অর্থনৈতিক ধাক্কা সামলাতে সম্মিলিত উদ্যোগের চেষ্টা করছেন সদস্য দেশগুলির শীর্ষ নেতারা৷ তীব্র মতবিরোধ কাটিয়ে সাত বছরের দীর্ঘমেয়াদী বাজেটে সাধারণ মানুষের উপকার হয়, এমন অনেক পরিকল্পনা রাখা হয়েছে৷ এক লাখ দশ হাজার কোটি ইউরোর মূল বাজেটের পাশাপাশি করোনা সংকটের মোকাবিলা করতে ৭৫ হাজার কোটি ইউরো অঙ্কের এককালীন সহায়তা সম্পর্কে ঐকমত্য অর্জন করা সম্ভব হয়েছে৷ গত বৃহস্পতিবারই ইইউ-র বর্তমান সভাপতি দেশ জার্মানি ও ইউরোপীয় পার্লামেন্টের মধ্যে এ বিষয়ে ‘অস্থায়ী’ বোঝাপড়া চূড়ান্ত হয়েছে৷

খাতা কলমে এমন উদ্যোগ নিলেও বাস্তবে সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা কতটা কঠিন, তা আবার স্পষ্ট হয়ে উঠছে৷ এই রাষ্ট্রজোটের ছোটবড় সব সদস্য দেশের হাতেই ভেটো শক্তি রয়েছে, যদিও সেই শক্তি প্রয়োগের ঘটনা এতকাল বিরল ছিল৷ গণতন্ত্র ও আইনের শাসন মজবুত রাখতে ইইউ যে কড়া শর্ত আরোপ করছে, তার তীব্র বিরোধিতা করছে হাঙ্গেরি ও পোল্যান্ড৷ শর্ত পূরণ না করলে শাস্তিমূলক নিষেধাজ্ঞার যে বিধান রাখা হয়েছে, সেটা তাদের মোটেই পছন্দ নয়৷ উল্লেখ্য, এই দুই দেশের বর্তমান শাসক দল আইন প্রণয়ন করে একাধিক গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করেছে৷ হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান ইইউ-র সেই শর্তের বিরোধিতা করতে বাজেট অনুমোদন বানচাল করতে ভেটো শক্তি প্রয়োগ করতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে৷ শুক্রবার তিনি বলেছিলেন, বর্তমান সংকটের মাঝে আইনের শাসন নিয়ে আলোচনা করার সময় নেই৷ বিশেষ করে ইউরোপের দক্ষিণের দেশগুলিকে দ্রুত আর্থিক সাহায্য দেওয়া জরুরি বলে ওরবান মন্তব্য করেন৷

হাঙ্গেরির এক সংবাদ সংস্থার সূত্র অনুযায়ী অরবান জার্মানি ও ইউরোপের অন্যান্য নেতাদের চিঠি লিখে ভেটো শক্তি প্রয়োগের হুমকি দিয়েছেন৷ তিনি গণতন্ত্র ও আইনের শাসন সংক্রান্ত শর্তে মানতে একেবারেই প্রস্তুত নন৷ সংবাদ সংস্থা এএফপি-র সূত্র অনুযায়ী জার্মানি ছাড়াও ইউরোপীয় কমিশন ও ইউরোপীয় সরকার পরিষদের প্রধান এমন চিঠি পেয়েছেন৷ হাঙ্গেরির সরকার অবশ্য এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করে নি৷

গণতন্ত্র ও আইনের শাসন সংক্রান্ত ইইউ-র শর্ত ষথেষ্ট স্পষ্ট নয় বলেও সমালোচনা শোনা যাচ্ছে৷ এই শর্তের আইনি সংজ্ঞা না থাকায় বাস্তবে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে বলে সমালোচকরা মনে করছেন৷ তাদের মতে, হাঙ্গেরি ও পোল্যান্ডের মতো দেশের বর্তমান সরকার সেই দুর্বলতার সুযোগ নিতে পারে৷ এমনকি হাঙ্গেরিও স্পষ্ট সংজ্ঞার অভাবের সমালোচনা করছে৷

নতুন করে রাজনৈতিক সংকটের কারণে করোনা সংকট মোকাবিলায় গঠিত তহবিলের অর্থ বিতরণে বিলম্ব ঘটলে ইউরোপের অনেক অঞ্চল আরও সংকটের মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ বিশেষ করে করোনা ভাইরাসের চলমান ‘দ্বিতীয় ঢেউ' পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটতে পারে৷

এসবি/কেএম (এএফপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ