1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আত্মহত্যার প্রবণতা

১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪

বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস আজ, অর্থাৎ বুধবার৷ দিবসটি উপলক্ষ্যে বাংলাদেশেও আলাপ-আলোচনার ঘাটনি নেই৷ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা এই ব্লগওয়াচে তুলে ধরা হলো৷

Eltern Streit Kind Familienstreit
ছবি: Fotolia

জাফরুল মবীন সামহয়্যার ইন ব্লগে ‘‘বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস-এর প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের তরুণ সমাজের আত্মহত্যা প্রবণতা ও করণীয়'' নামে বেশ সমৃদ্ধ একটি ব্লগ লিখেছেন৷ তিনি যেমন কিছু পরিচিত ব্যক্তির উদাহরণ দিয়েছেন৷ তেমনি নানা জরিপ এবং ঘটনার কার্যকারণ ব্যাখ্যা করেছেন৷ লিখেছেন, ‘‘সারাবিশ্বে প্রতি ২ সেকেন্ডে একজন মানুষ আত্মহত্যার চেষ্টা করছেন এবং প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একজন সফলভাবে আত্মহত্যা করছেন৷ বিশ্বব্যাপী আত্মহত্যার এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যেই প্রতিবছর ১০ সেপ্টেম্বর পালিত হয় বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস৷''

জাফরুল মবীন তাঁর ব্লগ পোস্টে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জরিপে পাওয়া আত্মহত্যা সংক্রান্ত তথ্যের কিছু চুম্বক অংশ তুলে ধরেন৷ যেমন, ২০১২ সালে বাংলাদেশে মোট ১০,১৬৭ জন আত্মহত্যা করেছেন, অর্থাৎ বাংলাদেশে প্রতি ৫০ মিনিটে একজন আত্মহত্যা করছেন৷ এছাড়া বাংলাদেশে প্রতি ২.৫ মিনিটে একজন আত্মহত্যার চেষ্টা করে থাকেন৷

২০১০ সালে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃক প্রকাশিত এবং প্রফেসর এএমএম ফিরোজ ও প্রফেসর এসএম নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের বিশেষজ্ঞ প্যানেল পরিচালিত এক জরিপে দেখা যায়, বাংলাদেশের প্রায় ৬৫ লক্ষ মানুষ আত্মহত্যাপ্রবণ৷ ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়েসিদের মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ আত্মহত্যা৷ বাংলাদেশে পুরুষের তুলনায় নারীরা বেশি আত্মহত্যা করেন৷ এর মধ্যে বিষপানে আত্মহত্যার সংখ্যা বেশি৷

মবীনের পোস্ট থেকে জানা যায়, ‘‘বিশ্বব্যাপী মানসিক রোগ আত্মহত্যার সবচেয়ে বড় কারণ হলেও আমাদের দেশে মানসিক রোগের পাশাপাশি তাৎক্ষণিক তীব্র তাড়না বা হঠকারিতা খুব গুরুত্বপূর্ণ কারণ হিসাবে প্রতিভাত হয়েছে৷ যৌথ পরিবারের সদস্যদের তুলনায় একক পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আত্মহত্যার ঘটনা বেশি ঘটে৷ আমাদের দেশেও অভাব-অনটন তথা আর্থিক দৈন্যতা মানসিক চাপ ও মানসিক রোগ তৈরিতে এবং আত্মহত্যার অন্যতম নিয়ামক হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে৷ এছাড়া অবিবাহিতদের তুলনায় বিবাহিতরা বেশি আত্মহত্যা করে থাকে৷ বাংলাদেশে শহরের তুলনায় গ্রামে আত্মহত্যার ঘটনা প্রায় ১৭ গুণ বেশি৷''

আত্মহত্যা করার আরও কয়েকটি কারণ উল্লেখ করে মবীন লেখেন, ‘‘আমাদের অনেক অভিভাবকই সন্তানদের উপর প্রত্যাশার চাপ বাড়িয়ে দেন৷ সামান্য ব্যর্থতাতেও তাদের উপর নেমে আসে মানসিক নির্যাতনের খড়গ৷ অনেকেই এই চাপ সহ্য করতে না পেরে আত্মহননের পথ বেছে নেয়৷''

আরেক ব্লগার রাজীব নুর একই ব্লগে লিখেছেন, ‘‘অনেক ধর্মেই আত্মহত্যাকে পাপ হিসেবে বিবেচনা করা হয়৷ যখন জ্ঞান-বুদ্ধি-উপলব্ধি-অনুধাবন শক্তি লোপ পায়, নিজকে অসহায়-ভরসাহীন মনে হয়, তখনই মানুষ আত্মহত্যা করে৷ আত্মহত্যা হলো ঈশ্বরের বিরুদ্ধে একটি ভয়ানক পাপ৷ এ কাজ থেকে বিরত থাকতে মহান আল্লাহ্‌ তা'আলা বিশেষভাবে নির্দেশ দান করেছেন এবং এর পরিণামের কথা ভাববার জন্য কঠোর ও যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির বর্ণনা দিয়ে পবিত্র আল কুরআনে আয়াত অবতীর্ণ করেছেন৷ মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন, ...আর তোমরা নিজেদের হত্যা করো না৷ নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের প্রতি দয়ালু এবং যে কেউ জুলুম করে, অন্যায়ভাবে উহা (আত্মহত্যা) করবে, অবশ্যই আমি তাকে অগ্নিদগ্ধ করবো, আল্লাহর পক্ষে উহা সহজসাধ্য৷ (সূরা-নিসা-২৯-৩০)

রাসূল (সাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি নিজেকে পাহাড়ের ওপর থেকে নিক্ষেপ করে আত্মহত্যা করে, সে জাহান্নামের মধ্যে সর্বদা ঐভাবে নিজেকে নিক্ষেপ করতে থাকবে৷ যে ব্যক্তি বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে সেও জাহান্নামের মধ্যে সর্বদা ঐভাবে নিজ হাতে বিষপান করতে থাকবে৷''

সংকলন: অমৃতা পারভেজ

সম্পাদনা: জাহিদুল হক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ