বিবাহ বিচ্ছেদ বৈধ হতে চলেছে এবার মাল্টাতেও
৩১ মে ২০১১মাল্টা, ভ্যাটিক্যান সিটি এবং ফিলিপাইন্স – এই তিনটি দেশে বিবাহ বিচ্ছেদ অবৈধ৷ তবে এই গণ্ডির মধ্যে থেকে বেরিয়ে আসতে চলেছে মাল্টা৷
গত রবিবার বিবাহ বিচ্ছেদের পক্ষে এক গণভোট অনুষ্ঠিত হয় মাল্টায়৷ প্রশ্ন করা হয়, বিবাহ বিচ্ছেদকে বৈধ ঘোষণা করা হবে কি না৷ গণভোটে বৈধ করার পক্ষে ভোট পড়ে প্রায় ৫৩.২ শতাংশ৷ অর্থাৎ, এখন থেকে মাল্টায় বিবাহ বিচ্ছেদের পথে এগিয়ে যেতে পারবেন স্বামী অথবা স্ত্রী৷
মাল্টার প্রধানমন্ত্রী লরেন্স গন্জি অবশ্য বিবাহ বিচ্ছেদের বিপক্ষে প্রচারাভিযান চালিয়েছিলেন৷ তিনি জানান, এখন ভূমধ্যসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জের সংসদের হাতে ক্ষমতা থাকলো একটি বিয়েকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবসানের৷
গণভোটে ৫৩.৩ শতাংশ ভোট পড়লেও, প্রায় এক চতুর্থাংশ মানুষ ভোটই দেয়নি বলে জানা গেছে৷ এর আগে ২০০৪ সালে বিবাহ বিচ্ছেদকে বৈধ ঘোষণা করে চিলি৷ এবং তা করা হয় সাধারণ মানুষের প্রবল দাবির মুখে৷ এখব শুধু দুটি মাত্র দেশ বাকি রইল যেখানে বিবাহ বিচ্ছেদ অবৈধ৷ ভ্যাটিক্যান সিটি এবং ফিলিপাইন্স৷
মাল্টায় প্রায় তিন লক্ষ মানুষের বসবাস৷ সেখানকার মানুষকে প্রশ্ন করা হয়, যে সব স্বামী-স্ত্রী প্রায় চার বছর ধরে পৃথকভাবে বসবাস করছে, তারা এবার বিবাহ বিচ্ছেদের দিকে এগিয়ে যেতে পারবে কিনা৷ এর উত্তরে ‘হ্যাঁ' বোধক জবাব আসে অধিকাংশ ভোটাধিকারদের পক্ষ থেকে৷
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যদেশগুলোর মধ্যে প্রতিটি দেশেই বিবাহ বিচ্ছেদ বা ‘ডিভোর্স' বৈধ৷ মাল্টায় অসংখ্য স্বামী-স্ত্রী পৃথকভাবে বসবাস করছে৷ তাতে কোন সমস্যা ছিল না৷ কিন্তু দ্বিতীয়বার বিয়ে করতে গেলে দেশের আইন তা এতদিন পর্যন্ত সমর্থন করত না৷ এ অবস্থার পরিবর্তন আনতেই এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলো৷
এরপরেও অবশ্য রাজধানী ভ্যালেটার আর্চবিশপ পল ক্রেমোনা এই গণভোটের বিরোধীতা করে বলেন, এই গণভোট হয় মানুষকে ধ্বংস করবে নয়তো নতুন করে সৃষ্টি করবে৷ সারাজীবন একজন সঙ্গীর সঙ্গে থাকার যে বাসনা বা প্রতিজ্ঞা করা হয়, পরিবার গড়ে তোলার যে স্বপ্ন দেখা হয়, তা ভঙ্গ করা হয়েছে এই গণভোটের মাধ্যমে৷ ভালবাসাকে অপমান করেছে এই গণভোট, বলেন তিনি৷
প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ