1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘বিমানকে ঢেলে সাজানো দরকার’

অরুণ শঙ্কর চৌধুরী৯ জানুয়ারি ২০১৩

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান কর্মীদের ধর্মঘট ও পরে মন্ত্রীর আশ্বাসে সেই ধর্মঘট প্রত্যাহার, এসব হবার পরে বিমানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হল কিনা, সে প্রশ্ন তুলে লাভ নেই৷ প্রশ্ন হল, বিমানের আদৌ কোনো ভাবমূর্তি আছে কিনা৷

A Boeing 777-300ER aircraft which was delivered to Biman Bangladesh Airlines Wednesday is seen at the Shahjalal International Airport in Dhaka. Biman is also buying Boeing 787 planes.
ছবি: picture alliance/Asian News Network

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ সরকার বিমানের পিছনে বড় বিনিয়োগ করেছেন, নতুন বিমান ইত্যাদি কেনা হয়েছে৷ সব সত্ত্বেও বিমানের যে ‘ঘুরে দাঁড়ানোর' আশা ছিল, তা কিন্তু পূর্ণ হয়নি৷ তার কারণ হিসেবে ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত বললেন, ‘‘সামগ্রিক ব্যবস্থাপনাতে কিছু উন্নতি হয়নি৷ কিছু বিনিয়োগ হয়েছে ঠিকই, কিন্তু বাংলাদেশ বিমানের একটি আন্তর্জাতিক মানের সেবা দেবার জন্য যে ধরণের ব্যবস্থাপনা থাকা দরকার, তার কোনো উন্নতি হয়নি৷ হয়ত কিছু বিমান কেনা হয়েছে, কিছু বিনিয়োগ হয়েছে ঠিকই, কিন্তু যাত্রীসেবা বলতে যা বোঝায়, সেই জায়গাতে খুব বেশি উন্নতি হয়নি৷''

BM/090113/Interview: Shyamal Datta, Editor, Bhorer Kagoj, about Biman - MP3-Mono

This browser does not support the audio element.

সাম্প্রতিক মন্ত্রীবদলের ফলেও অবস্থার বিশেষ হেরফের ঘটেছে বলে শ্যামল দত্ত মনে করেন না৷ বিমানের অভ্যন্তরে নানামুখী দ্বন্দ্ব, চেয়ারম্যান বনাম এমডি এবং চেয়ারম্যান বনাম মন্ত্রী, বা অন্যান্য বিভিন্ন গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, এগুলোও সমস্যার সমাধান না হওয়ার একটা বড় কারণ বলে তিনি মনে করেন৷ সরকারপন্থি ইউনিয়ন যে আন্দোলন করছে, তাকেও তিনি সরকারের সঠিক নজরদারির অভাবের পরিচায়ক বলেই মনে করেন৷ ফলে ‘‘একটি পেশাদারিত্ব নিয়ে বিমানকে পরিচালনা করার সবচেয়ে জরুরি বিষয়টি'' উপেক্ষিত হচ্ছে৷

মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থাগুলো ঢাকা থেকে তাদের সেবা বাড়িয়ে চলেছে৷ এত চাহিদা সত্ত্বেও বাংলাদেশ বিমান তার সুযোগ নিতে পারছে না কেন? এই প্রসঙ্গে শ্যামল দত্ত উল্লেখ করেন যে, এমিরেটস-এর দিনে উড়াল আছে তিনটি৷ রিয়াধের উড়াল, জেদ্দার কিংবা কাতারের উড়াল৷ এর কারণ, ‘‘মধ্যপ্রাচ্য আমাদের জন্য একটা বিশাল শ্রমবাজার৷ ৫০ থেকে ৬০ লক্ষ বাংলাদেশি নাগরিক সেখানে বসবাস করে৷'' কিন্তু বাংলাদেশ বিমানের উপর যাত্রীরা ভরসা করতে পারেন না, শিডিউল ঠিক থাকে না, যাত্রীদের অন্যান্য সেবাও ঠিকমতো হয় না৷ বাংলাদেশিরা বিমানে যেতে পছন্দ করা সত্ত্বেও ‘‘টিকিট পেতে সমস্যা হয়৷ টিকিট থাকলেও নাই বলে৷''

আসল কথা হল, ‘‘বিমানের যে পুরনো বিমানের বহর, এগুলি দিয়ে এখন আর আধুনিক বিমান সংস্থা চলতে পারে না৷'' ছয়টি না পাঁচটি মাত্র বিমান, অথচ পাঁচ-ছয় হাজার কর্মচারী৷ বাংলাদেশ বিমানের বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনো বিদেশি বিমান সংস্থার সঙ্গে জয়েন্ট ভেঞ্চার বা যৌথ উদ্যোগকেই সঠিক পন্থা বলে মনে করেন শ্যামল দত্ত৷ ‘‘সামগ্রিকভাবে ঢেলে না সাজালে এই পরিস্থিতির আগামীতেও কোনো উন্নতি হবে না৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ