বড় বড় এয়ারলাইনারের সেফটি রেকর্ড ছোট বিমানের তুলনায় ভাল৷ তার একটি কারণ হল, বড় যাত্রীবাহী বিমানে অটো-পাইলট থাকে৷ ছোট বিমানের ক্ষেত্রেও এ ধরনের যান্ত্রিক সহযোগীর ব্যবস্থা করতে চাইছেন গবেষকরা৷
বিজ্ঞাপন
বিমানটাকে অন্য সব বিমানের মতোই দেখতে৷ ছোট বিমান চালানোর ক্ষেত্রেও নিরাপত্তা বাড়ানো যায় কিনা, তা দেখার জন্য এটি তৈরি করা হয়েছে ৷
ইউরোপে ছোট বিমানগুলির ক্ষেত্রে প্রতি ১০,০০০ ঘণ্টা উড়ালপ্রতি কোনো না কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে থাকে৷ বড় এয়ারলাইনারগুলির তুলনায় ছোট বিমানের সেফটি রেকর্ড অনেক বেশি খারাপ৷ গবেষকরা সে বিষয়ে কিছু একটা করার চেষ্টা করছেন৷
ধরা যাক, অস্ট্রিয়ান আল্পসের উপর দিয়ে একটি সাধারণ ছোট বিমান উড়ে যাচ্ছে – বিমানটির ফ্লাইট কন্ট্রোল কিন্তু মানুষের হাতে নয়; ইলেকট্রনিক সংকেত আর কম্পিউটারের উপর নির্ভর করে বিমানটি চলেছে৷ সহজ কথায়, পাইলট একটি কম্পিউটারের মাধ্যমে বিমানটি চালাচ্ছেন – সারা বিশ্বে যা ডিজিটাল ‘ফ্লাই-বাই-ওয়্যার' উড়াল প্রণালী বলে পরিচিত৷
‘ফ্লাই-বাই-ওয়্যার'
ছোট বিমানে ওড়ার নিরাপত্তায় ব্যাপক অবদান রেখেছে এই প্রণালী৷ বড় বড় এয়ারলাইনার ও বিজনেস জেটে বহু দশক ধরে এই প্রণালী ব্যবহার করা হচ্ছে – কিন্তু ছোট বিমানের জন্য এই ফ্লাইট সিস্টেম বড় ভারি, আকারে অনুপযোগী এবং দামী বলেই এযাবৎ ধরে নেওয়া হত৷ তারপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি গবেষণা প্রকল্পে বিষয়টির দিকে নজর দেওয়া হয়৷
নতুন চেহারায় জার্মানির বিমান লুফটহানসা
কিছুদিনের মধ্যেই জার্মানির সবচেয়ে বড় বিমান সংস্থা লুফট হানসার বিমানের ডিজাইন বদলাচ্ছে৷ বদলে যাচ্ছে তাদের লোগো-ও৷ তবে এই প্রথম নয়,আগেও বহুবার বদলেছে তাদের বিমানের চেহারা৷ দেখে নেওয়া যাক একনজরে৷
ছবি: picture alliance/dpa/B. Roessler
৭ বছরের পরিকল্পনা
আসল বিমানের ছবি নয়৷ গ্রাফিক ডিজাইনে এমনই দেখতে লাগছে লুফটহানসার নতুন লোগো৷ বোয়িং ৭৪৭-৮ মডেলের বিমানে প্রথম ব্যবহার করা হবে এই লোগো৷ তবে বিমান সংস্থাটি জানিয়েছে, সমস্ত বিমানে এই লোগো তৈরি করতে প্রায় ৭ বছর লাগবে৷ তখন আর পরিচিত নীল-হলুদ লোগো দেখা যাবে না৷
ছবি: picture alliance/dpa/B. Roessler
লেজ দেখে যায় চেনা
বিমানের লেজের দিকে তাকালে নতুন লোগোর তফাৎটা বোঝা যাবে৷ নতুন লোগোয় নীলের উপর উড়ে যাচ্ছে হাঁস৷ ভাজা ডিমের কুসুমের মতো হলুদ অংশটা আর থাকছে না৷ বিমানের পেটের কাছেও আর ধূসর রং করা হবে না৷ তার জায়গায় ব্যবহার করা হবে সাদা রং৷
ছবি: Getty Images/AFP/C. Stache
তারও আগে যেমন ছিল
ছবিতে দেখা যাচ্ছে বোয়িং ৭৩৭-১০০ বিমান৷ ১৯৬৮ সালে লুফটহানসা এই বিমান প্রথম ব্যবহার করে৷ মূলত এই রং এবং লোগোর উপর নির্ভর করেই পরবর্তীকালে লুফটহানসা তাদের ডিজাইন বদলেছে৷ কালো নাক, ধূসর পেট আর ডিমের কুসুমের উপর নীল হাঁস লেজে, এই ছিল সেই নকশার বৈশিষ্ট৷ এতদিনের ঐতিহ্য এবার ভাঙতে চলেছে লুফটহানসা৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Lufthansa
প্রথম যুগের চেহারা
প্রথম যুগে লুফটহানসার বিমান একেবারে অন্যরকম ছিল৷ এখনকার সঙ্গে তার কোনো তুলনাই চলে না৷ ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ‘জাংকার ২৪’ মডেলের বিমান৷ সেখানে অবশ্য লোগোতে হলুদ রঙের কোনো ব্যবহার ছিল না৷ বিমানের পাশে বাসের দিকে চোখ সরালে দেখা যাবে তার গায়ে আঁকা আছে হাঁস৷ অপূর্ব সেই পাখিটির লোগো প্রথম তৈরি করেছিলেন বিশিষ্ট শিল্পী ওট্টো ফিরলে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Lufthansa-Bildarchiv
যুদ্ধের আগে কর্পোরেট নকশা
বিশ্বযুদ্ধের ঠিক আগে এ ধরনের বিমান বাজারে এনেছিল লুফটহানসা৷ কালো রঙের নাক, ইঞ্জিনের রং-ও কালো৷ বিমানের গায়ে লেখা কোম্পানির নাম৷ তখনো বিমানের গায়ে লোগো ব্যবহার শুরু হয়নি৷
ছবি: DW / Nelioubin
১৯৬০ সালের নকশা
এই সময়ে বিমানের নকশায় প্রচুর পরিবর্তন আসে৷ ছবিতে যে বিমানটি দেখা যাচ্ছে, সেটি ‘ভাইকার্স ভি-৮১৪ ভিসকাউন্ট’ মডেলের৷ লেজে হাঁসের লোগো থাকলেও তা এখনকার মতো বড় নয়৷ ‘লুফটহানসা’ শব্দটিও অনেক বড় অক্ষরে লেখা৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Deutsche Lufthansa AG
বিশ্বজয়ের বিমান
২০১৪ সালে জার্মানি ব্রাজিল ফিফা বিশ্বকাপ জেতার পর এই বিমানে করে ফুটবলারদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়৷ বিমানের গায়ে আঁকা হয় বিশেষ ছবি৷ সেখানে জার্মানির বিশ্বজয় মনে রেখে নকশা আঁকা হয়৷ বিমানটি বার্লিনে ল্যান্ড করার আগে বার্লিন পার্কের ওপর একবার চক্করও খায়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
জ্বালানি বদল, কিন্তু নকশা এক
‘এ ৩২১’ মডেলের বিমান এটি৷ এই বিমানে প্রথম ভেষজ উদ্ভিদ থেকে তৈরি তেল ব্যবহার করা হয় জ্বালানি হিসেবে৷ বাদবাকি নকশা এক থাকলেও বিমানের গায়ে লিখে দেওয়া হয় ‘লুফটহানসা বায়ো ফুয়েল পাওয়ার’৷
ছবি: Lufthansa Bildarchiv
সবকিছু নতুন
নকশার বদল মানে কেবল লেজ বা নাকের নকশার পরিবর্তন নয়, বিমানের ভিতরের প্রতিটি ব্যবহার্য জিনিসেরও নকশা বদল করতে হয়৷ লুফটহানসাও বারবার তা করেছে৷
ছবি: dapd
9 ছবি1 | 9
র সেবাস্টিয়ান পোলেনৎস বললেন, ‘‘আমরা যদি বিমানচালনাকে গাড়ি চালানোর মতো সহজ করে তুলতে চাই, তাহলে আমরা প্রত্যাশা করতে পারি না যে, সব পাইলট বিমানচালনায় উচ্চ প্রশিক্ষণ নিয়ে বিমানে উঠবেন ও বিমান চালনার সময় নানা ধরনের যোগ্যতা প্রদর্শন করবেন৷ কাজেই আমাদের কম অভিজ্ঞ বিমানচালকদের জন্য এমন সব ফাংশন ও অপারেশনের প্রণালী রাখতে হবে, যার ফলে এই বিমানগুলো আরো নিরাপদ হয়ে উঠতে পারে৷''
‘ডিজিটাল ফ্লাইট কন্ট্রোল'
জার্মানির একটি এয়ারোস্পেস ল্যাবরেটরিতে বিজ্ঞানীরা নিরাপদ, অটোমেটেড ও অটোনোমাস বিমানচালনার জন্য প্রয়োজনীয় সফ্টওয়্যার ও হার্ডওয়্যার তৈরি করেছেন৷ সেজন্য তাদের এমন সব ইলেকট্রনিক প্রণালী উদ্ভাবন করতে হয়েছে, যেগুলি বিমানের কর্মপদ্ধতিতে কোনোরকম গুরুতর গোলযোগ দেখা দিলেও সামাল দিতে পারে – এমনকি বিমানচালক যদি সে গোলযোগ খেয়াল পর্যন্ত না করে থাকেন, সেক্ষেত্রেও৷
নেদারল্যান্ডসে গবেষকরা একটি সিমিউলেটরে একটি ডিজিটাল ফ্লাইট কন্ট্রোল সিস্টেম পরীক্ষা করেন৷ পরীক্ষায় দেখা যায় যে, সিমিউলেটর বিমানের উড়ালে অথবা পারিপার্শ্বিকে ব্যাপক গোলযোগের অনুকরণ করলেও, ঐ ডিজিটাল ফ্লাইট কন্ট্রোল সিস্টেম তা সামলে দিতে সক্ষম হয়েছে, এমনকি টেস্ট পাইলটদের হস্তক্ষেপ পর্যন্ত করতে হয়নি৷
বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ/অনিরাপদ এয়ারলাইন্সের তালিকা
২০১৬ সালের তথ্য অনুযায়ী বিশ্বের ৬০টি এয়ারলাইন্সের মধ্যে সবচেয়ে নিরাপদ এবং সবচেয়ে অনিরাপদ এয়ারলাইন্সগুলোর তালিকা করেছে জার্মানির জেএসিডিইসি ইনস্টিটিউট৷ তালিকাটি দেখে বোঝা যায় বিমানযাত্রায় বড় ঝুঁকির মুখে রয়েছে মানুষ৷
ছবি: Reuters/E. Su
অনিরাপদ চায়না এয়ারলাইন্স
২০১৬ সালে ৩৭০ কোটি যাত্রী তাদের বিমানে যাতায়াত করেছে৷ যাঁরা চায়না এয়ারলাইন্সে যাতায়াত করেছেন তাঁদের অনেকেরই মনে হয়েছে এটি একটি অনিরাপদ পরিবহন৷ তাই ৬০ টি এয়ারলাইন্সের তালিকায় তাইওয়ানিজ এয়ারলাইন সবচেয়ে অনিরাপদ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/X. Qintao
কলম্বিয়ার অ্যাভিয়াঙ্কার বিকল্প নেই
গত ৩০ বছরের নিরাপত্তার উপর ভিত্তি করে ঐ তালিকা করা হয়েছে৷ বিমান কতবার দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে, কত যাত্রী নিহত হয়েছে, বিধ্বস্ত হয়েছে কিনা, এছাড়া কত কিলোমিটার যাত্রা করেছে এবং যাত্রী সংখ্যা কত- এসবের ভিত্তিতে তালিকা করা হয়েছে৷ এসবের ভিত্তিতে তাদের ০ থেকে ১.০০ পয়েন্ট দেয়া হয়েছে৷ কলম্বিয়ার অ্যাভিয়াঙ্কার স্কোর দাঁড়িয়েছে ০.৯১৪৷ ২০১৬ সালের সবচেয়ে খারাপ বিমানের মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থান তাদের৷
ছবি: AFP/Getty Images
ইন্দোনেশিয়ায় এয়ারলাইন্সে বিধ্বস্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি
গারুদা ইন্দোনেশিয়ার স্কোর ০.৭৭৭৷ খারাপ বিমানের তালিকায় এর অবস্থান তৃতীয়৷ ১৯৫০ সালে চলাচল শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত এই এয়াররলাইন্স ৪৭টি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে, দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে মোট ৫৮৩ জন৷
ছবি: A.Berry/AFP/GettyImages
গবেষণা নিয়ে সমালোচনা
কিন্তু জেএসিডিইসি’র তালিকা কিছুটা সমালোচনার মুখে পড়েছে, কেননা, টেকনিক্যাল কোনো ত্রুটির কথা তারা উল্লেখ করেনি৷ এমনকি মানব আচরণের সমস্যার কথাও নেই সেখানে৷ আবহাওয়া বা সন্ত্রাসী হামলার উল্লেখ নেই, যেমন, সন্ত্রাসবাদ বিমানের নিরাপত্তার জন্য বর্তমানে সবচেয়ে বড় হুমকি৷ এর কারণে ১০ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটেছে৷ বিমান নিরাপত্তা বিশ্লেষক সিমন অ্যাশলে বলেছেন, সন্ত্রাসের ভয় দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ৷
ছবি: AP
খারাপ আবহাওয়া
এছাড়া ভয়াবহ খারাপ আবহাওয়ার কারণে বহু দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বিমান৷ সাম্প্রতিক তথ্য বলছে, দুর্ঘটনার ১০ ভাগ দুর্ঘটনা তুষারপাত, কুয়াশা এবং ঝড়ের কবলে পড়ে হয়েছে৷
ছবি: dapd
প্রযুক্তিগত কারণ
বর্তমানের বিমানগুলো নতুন প্রযুক্তি সমৃদ্ধ৷ দুর্ঘটনার ২০ ভাগ যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে হয়৷
ছবি: Getty Images/AFP/J. Eisele
মানব আচরণ
বিমানের চালকরা ঝুঁকির অন্যতম কারণ৷ সাম্প্রতিক সময়গুলোতে অর্ধেকের বেশি দুর্ঘটনা হয় তাদের ভুলের কারণে৷ মানুষ ও যন্ত্রের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়ার ভুল থেকেও দুর্ঘটনা ঘটে৷ এছাড়া পাইলটের মানসিক অবস্থার উপরও দুর্ঘটনা নির্ভর করে৷
ছবি: picture alliance/ROPI
আকাশের হিরো
২০০৯ সালে হাডসন নদীতে ১৫৫ জন যাত্রী নিয়ে নেমে পড়েছিল বিমান৷ পাইলট ছিলেন চেসলে শুলেনব্যর্গার৷ কিন্তু তিনি পানিতে বিমানটি অবতরণ করাতে পারায় প্রাণে বেঁচেছিলেন যাত্রীরা৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/S. Day
দুর্ঘটনার শিকার বিমান
দুর্ঘটনার পর যেসব বিমান মেরামত করে আবার চালানো হয়, সেগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে সবসময়ই উদ্বেগ থাকে৷ বিশেষজ্ঞরা এ নিয়ে কখনোই প্রশ্ন তোলেন না যে দুর্ঘটনায় পড়া বিমান আদৌ নিরাপদ কিনা৷
ছবি: Reuters
এবং বিজয়ী
হামবুর্গভিত্তিক ঐ গবেষণা তালিকায় হংকংয়ের ক্যাথে প্যাসিফিক ২০১৬ সালের সবচেয়ে নিরাপদ এয়ারলাইন্স হয়েছে৷ দ্বিতীয় অবস্থানে আছে এয়ার নিউজিল্যান্ড এবং তৃতীয় অবস্থানে চীনের হাইনান এয়ারলাইন্স৷ জার্মানির লুফৎহানসার অবস্থান তালিকায় দ্বাদশ৷
ছবি: picture-alliance/dpa
যে দুর্ঘটনা সবাইকে নাড়িয়ে দিয়েছে
জেএসিডিইসি জানিয়েছে, গত বছর বিমান দুর্ঘটনায় ৩২১ জন প্রাণ হারিয়েছে৷ এ বছর যে বিমান দুর্ঘটনাটি সবাইকে নাড়িয়ে দিয়েছে, সেটা হলো ৭২ জন যাত্রী নিয়ে বলিভিয়া থেকে কলম্বিয়া যাওয়ার সময় মেডেলিন বিমানবন্দরের কাছে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা, যেখানে ব্রাজিলের শাপেকোইনসি রেয়াল ফুটবল দলের খেলোয়াড়রাও নিহত হন৷
ছবি: Reuters/F. Builes
11 ছবি1 | 11
এয়ারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার আলেক্সান্ডার ইন 'ট ভেল্ড জানালেন, ‘‘খারাপ আবহাওয়ায় পড়লে অথবা বাতাসের ধাক্কা এলে, বিমানটাকে ঠিকভাবে চালিয়ে নিয়ে যাওয়া সত্যিই কঠিন৷ এই ফ্লাই-বাই-ওয়্যার সিস্টেম লাগানোর ফলে শুধুমাত্র বিমানের উচ্চতা নিয়ন্ত্রণ করলেই চলে – যা খুব সহজ৷ সিস্টেম সুইচ অন করলেই আর চিন্তা নেই৷ তা বলে বিমান কিন্তু নিজে থেকে উড়ছে না৷ কিন্তু পাইলটকে শুধু ছোটখাট পরিবর্তন করতে হচ্ছে৷ বাতাসের ধাক্কার ফলে যে বিমানের দিক বা গতি পরিবর্তন ইত্যাদি রদবদলের কাজ করতে হয়, সিস্টেমই তা করে দিচ্ছে৷''
গবেষকদের সামনে এখন চ্যালেঞ্জ হল: একটানা ওড়া এক কথা – কিন্তু আকাশে ওঠা বা মাটিতে নামার সময়েও ডিজিটাল ফ্লাইট কন্ট্রোল ব্যবহার করা কি সম্ভব?