করোনা ভাইরাস সবার জন্য সমান৷ কিন্তু করোনা থেকে যাত্রীদের দূরে রাখতে একেক দেশের বিমান চলছে একেক নিয়মে৷
বিজ্ঞাপন
করোনাভাইরাস এখনো কোনো দেশ থেকে একেবারে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়নি৷ সংক্রমণ আর মৃত্যু কোথাও কোথাও কমলেও স্বাস্থ্যবিধি সবার জন্য একই আছে৷ কিন্তু সব দেশের বিমানে সব নিয়ম সমানভাবে মানা হচ্ছে না৷
বিভিন্ন দেশে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চালু হয়েছে৷ বেশিরভাগ দেশে বিমানে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক৷ তবে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়ার মতো কিছু দেশে দু'জন যাত্রীর মাঝের একটি আসন ফাঁকা রেখে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা হয়৷ সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকলে বিমানে মাস্ক ব্যবহার করার দরকার পড়ে না৷ অবশ্য যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের দেশগুলো এখনো বিমানের ভেতরে কোনো আসন ফাঁকা রাখা বাধ্যতামূলক করেনি৷
চীনের অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচলও চলছে একই নিয়মে৷ বিমানে প্রবেশের আগে এবং বিমান থেকে নামার সময় তাপমাত্রা মেপে দেখাসহ অনেক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হলেও বিমানে কোনো আসন ফাঁকা রাখতে হয় না৷
কম যাত্রী নিলে টিকিটের দাম না বাড়িয়ে ক্ষতি এড়ানো সম্ভব নয়৷ করোনার কারণে সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছে৷ এই পরিস্থিতিতে টিকিটের দাম বাড়াতে পারছে না বিমান সংস্থাগুলো৷ ফলে খরচ কমাতে গিয়ে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে খাবার পরিবেশন বন্ধ করেছে অনেক সংস্থা ৷ থাইল্যান্ডে বিমানের ভিতরে এখন আর খাবার বা পানি দেয়া আপাতত বন্ধ৷ অন্যান্য দেশে খাবারের খরচ কমাতে নেয়া হয়েছে অন্য রকম উদ্যোগ৷ এমিরেটস, এয়ার ক্যানাডা এবং ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের মতো বিমান সংস্থাও ইতিমধ্যে বিজনেস ক্লাসের যাত্রীদের প্যাকেটে নির্দিষ্ট কয়েকটি আইটেম দিতে শুরু করেছে৷
এসিবি/কেএম (রয়টার্স)
১০ মে’র ছবিঘরটি দেখুন...
কী অবস্থা পর্যটন খাতের
কোভিড-১৯ মহামারীতে বিপর্যস্ত পৃথিবী৷ লকডাউনে পর্যটনখাত সম্পূর্ণ অচল৷ এ খাতের সর্বশেষ পরিস্থিতি দেখে নেওয়া যাক৷
ছবি: picture-alliance/Zoonar/G. Kirsch
ভাইমারে খুলছে রেস্তোরাঁ
নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে জার্মান নগরীর মধ্যে ভাইমারে প্রথম আউটডোর রেস্তোরাঁ খোলা এবং অতিথিদের বসার অনুমতি (৬ মে থেকে) দেওয়া হয়েছে৷ রৌদ্রোজ্জ্বল দিনে লোকজন বিয়ার বা কফি হাতে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার চেষ্টা করছেন৷
আগামী ১৮ মে বাভারিয়ার বিখ্যাত বিয়ার গার্ডেনগুলোর উপর থেকে লকডাউনের নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে৷ তবে অবশ্যই কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে পানাহার করতে হবে৷
ছবি: Bamberg Tourism & Congress Service
বাল্টিক সাগরে ছুটির মৌসুম শুরু
মিক্লেনবুর্গ-ওয়েস্টার্ন পমেরানিয়া জার্মানির প্রথম ফেডারেল স্টেট যেটি পর্যটকদের জন্য খুলে (২৫ মে থেকে) দেওয়া হচ্ছে৷ যার অর্থ, বাল্টিক সি এবং মিক্লেনবুর্গ লেক ডিস্ট্রিকের মত জনপ্রিয় স্থানে পর্যটকরা যেতে পারবেন৷
ছবি: picture-alliance/Zoonar/G. Kirsch
বেইজিংয়ের ফরবিডেন সিটি
করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে দীর্ঘ কয়েক মাস বন্ধ থাকার পর গত ১ মে থেকে খুলেছে চীনের বিখ্যাত ফরবিডেন সিটি৷ কঠোর নিরাপত্তায় দর্শণার্থীদের তিয়ানানমেন স্কয়ারেও যেতে দেওয়া হচ্ছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Schiefelbein
শিগগির অস্ট্রিয়া-জার্মানি ভ্রমণ শুরু হবে
অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর সেবাস্টিয়ান কুরজ আশা করছেন, দ্রুত পর্যটকদের জন্য অস্ট্রিয়া-জার্মানি সীমান্ত খুলে দেওয়া হবে৷ কারণ, উভয় দেশ করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সঠিক পথে আছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/B. Gindl
এবছর গ্রীষ্ম আগের রূপে ফিরবে না
ধীরে ধীরে লকডাউন শিথিল হলেও এবছর ইউরোপে গ্রীষ্ম একটু অন্যরকমই হবে৷ সাধারণত সামারের ছুটিতে সৈকত, বার আর পাহাড়ি কুঁড়েঘরগুলোতে উপচে পড়া ভিড় থাকে৷ এ বছর তেমনটি দেখা যাবে না৷
ইউরোপ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা দীর্ঘ হচ্ছে
ইউরোপ থেকে আসা বিদেশি নাগরিকদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের দরজা আরো কিছুদিন বন্ধই থাকবে৷ ইতালি, স্পেন ও ফ্রান্সের পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও এখনো করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে তাদের লড়াই করতে হচ্ছে৷ এই তিন দেশের যথেষ্ট উন্নতি না হলে নিষেধাজ্ঞা উঠবে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প৷